DESHERPATRO

Thursday, September 1, 2016

এমামুয্যামান কে আমরা কেন আত্মার পিতা বলি?

এমামুয্যামান কে আমরা কেন আত্মার পিতা বলি?

এক ভাইয়ের প্রশ্নের জবাবে,
Ahmed Nomani সাহেব,  আপনি বললেন যে মোহাম্মদ বায়াজিদ খান পন্নী যত বড় মাপেরই হোক না কেন উনি মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ (স) এর চাইতে বড় নন- (হ্যা তা ঠিক উনি বড় নন রসুলের (স) চেয়ে, আপনি হেযবুত তওহীদের এমন কোন বই থেকে প্রমাণ করতে পারবেন না যে “উনি নিজেকে রসুলের (স) চেয়ে বড় বলেছেন)
উনাকে হেযবুত তওহীদ মোজাহেদ প্রশ্ন করলো:- আমরা কার আদর্শ অনুসরণ করবো এমামুযযামান?
উনি উত্তরে বললেন:- আমাদের একমাত্র অনুসরণ সয়ং রাসুল (স), একই উসুয়াতুল হাসানা,অন্যতম আদর্শ, সুন্দরতম আদর্শ, আর এ ছাড়া অন্য কোন আদর্শ নাই, অন্যটার কথা চিন্তা করবা কেন? Every foot step of Rasolollah we must flow. এবং উনি পরক্ষণেই বললেন আমিও তোমাদের আদর্শ না,আল্লাহ ও তার রসুল (স) যা বলেছেন আমিও তাই বলেছি। এখানে অন্য কোন আদর্শ নাই। আর তিনিই আমাদের একমাত্র এমাম,
আদর্শ একটাই সেইটা সয়ং রাসুল(স) এবং তারই তরিকা কর্মসূচি দ্বীন কায়েমের।
আমরা তারই ডাকে তারই প্রেরণায় উজ্জীবিত সত্যের সৈনিক। উনি নিজেই বলেছেন আমি কোন পীর , ফকির, নবী -রাসুল নই।

আমরা কি উনার আধ্যাত্মিক প্রচার প্রসার কোরি? উনি আধ্যাত্মিক মহান পুরুষ ছিলেন সেইটা উনার পরিচয়ের ক্ষেত্রে প্রকাশ করা হয়েছে, উনার আধ্যাত্মিক ভাগ প্রতিষ্ঠা ইসলামের উদ্দেশ্য নয়, ইসলামের গুণে উনি গুণান্বিত সত্য সুন্দর ধারণ কোরেছেন সেই ক্ষেত্রে উনি মহান পুরুষ উনার গুণ, সততা ন্যায় নিষ্ঠা কে আমরা শ্রদ্ধা কোরি। ইসলামের উদ্দেশ্য হলো যে সত্য দ্বীন-উল-হক রসুল(স) নিয়ে এসেছিলেন সেইটা কায়েম করা আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য (যা কোরানে সুরা তাওবার ৩৩ নং আয়াতে বিদ্যমান)  তাহলে এর প্রক্রিয়া কি?
এর প্রক্রিয়া সয়ং রসুল(স) বলেছেন-
আল্লাহ আমাকে পাঁচটি কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন –
১-তোমার উম্মাকে(ঐক্যবদ্ধ)কোরবে,
২-তোমার উম্মাকে(শৃঙ্খলিত)কোরবে।
৩-তোমার উম্মাকে এতায়াত অর্থাৎ আনুগত্য করতে বলবে।
৪-তোমার উম্মাকে সমস্ত কিছু থেকে হেজরত কোরতে বলবে।(হেজরত মানে দল বর্জন, এক যায়গা থেকে অন্য যায়গা গমন, মিথ্যা থেকে সত্যে পদার্পণ)
৫- তোমার উম্মাহ ঐ চারদফার চরিত্র অর্জন কোরিয়ে আমার রাস্তায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ( জেহাদ) চালিয়ে যেতে বলবে।
এই পাচ দফা থেকে যারা আধা হাত সরে যাবে তারা ইসলামের বাহিরে অর্থাৎ Out of Islam. তারা যত নামাজ রোযা হজ্জ যাকাত অর্থাৎ যত আমলই করুক না কেন সবই অর্থহীন নিষ্ফল হবে এবং জাহান্নামের জ্বালানি তে পরিণত হবে।
এই পাচদফা হেযবুত তওহীদের কর্মসূচী যা দিয়ে রসুল (স) এর জীবনে সংগ্রাম কোরে ইসলাম কায়েম কোরে গিয়েছিলো অর্ধেক দুনিয়ায় হোয়েছিলো ইসলাম কায়েম সেই সুবাদে আপনি আমি মুসলিম নামে ধারণ কোরে আছি নইলে নামাবলী গায়ে দিয়ে পুজা পাঠ করিতে হইতো। রসুলের (স) জীবনী পড়েন দেখবেন এই পাচ দফা হুবহু রয়েছে এবং সাহাবীগণের  (রা)  ইতিহাসেও তাই পাবেন এনশা’আল্লাহ।
আপনি বললেন যে উনিই অনেক বড় আধ্যাত্মিক বড় সাধক?
হয়তো বা আপনি হিংসার বষবর্তী হয়ে একটু বাড়িয়ে বললেন ভাই,উনি কখনো বলেনি যে উনিই একমাত্র বড় আধ্যাত্মিক সাধক,প্রমাণও দিতে পারবেন না ভাই। আর আপনি এও বিশ্বাস করবেন যে দেহ ও আত্মার সংমিশ্রণে মানবদেহ, সয়ং রসুল (স) ছিলেন আধ্যাত্মিক গুরু।আল্লাহ কোরানের সুরা হিজরের ২৯ নং আয়াতে বলেছেন -আমার আত্মা মানুষের মধ্যে ফুকে দিলাম, আর সেই পবিত্র আত্মা অর্থাৎ আল্লাহর আত্মা কে যদি কেউ পবিত্র রেখে আধ্যাত্মিক গুণে গুণান্বিত হন তাতে দোষের কি? সেই গুণ অর্জন কোরে সারাজীবন জান ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ কোরে মোমেনের কাজ করে যাওয়া নিশ্চয়ই অন্যায় নয় তাইনা?(সুরা হুজুরাত ১৫)

যারা রসুলের সময় থেকে সত্য নিয়ে এসে যুগে যুগে মানবতার কল্যাণ কোরে জীবন উৎসর্গ কোরে গেছেন এরা সবাই (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মানে আল্লাহ এই মহান মানুষ দের প্রতি রাজি খুশি আছেন)  এখন কথা হলো যে আমরা নবী রাসুল ও তাদের অনুসারী সাহাবী দেরও মনে প্রাণে ভালোবাসি তাদের যে ভালোবাসি কি দিয়ে? আত্মা দিয়ে -আর আত্মা দিয়েই যদি ভালোবাসি তাইলে এরা কি আত্মার মানুষ নয়? আর যামানার এমাম মোহাম্মদ বায়াজিদ খান পন্নী উনি সয়ং রসুলের (স) আনীত সেই প্রকৃত ইসলাম মানবজাতির সামনে তুলে ধরেছেন এবং তা প্রতিষ্ঠার প্রদ্ধতি প্রক্রিয়া প্রসেস তরীকা আল্লাহর দেওয়া রসুলের(স) মাধ্যমে তাও তুলে ধরেছেন। সেই হিসেবে উনাকে আমরা ভালোবাসি আর ভালো বাসা কি দিয়ে হয়? #আত্মা_দিয়েই_ভালোবাসা_সম্ভব।  আর সেই হিসেবে #যামানার_এমাম_জনাব_মোহাম্মদ_বায়াজিদ_খান_পন্নী কে আমরা আত্মা দিয়েই ভালোবাসি,এবং উনি সত্য ন্যায় সুন্দরের খাতিরে আত্মার মানুষ, মহান পুরুষ, একজন বয়স্ক মুরুব্বী লোক পিতার মত,এই জন্য উনাকে আমরা আত্মার পিতা হিসেবেই ভালোবাসি ও মানি সম্মান কোরি।

(জন্মদাতা পিতা আর পিতার মতন সম্মানি এক জিনিস নয়:- জন্মদাতা পিতা এক জিনিস আর মুরুব্বী বয়সের লোকেরা আমাদের জন্মদাতা পিতা নন উনার পিতার মতন কারো না কারো পিতা, আপনার পিতাও মুরুব্বি উনাকে আঞ্চলিক লোকেরা পিতার সমান সম্মান করে, তবে উনি জন্মদাতা নন।। সকল মুরুব্বি গণ পিতার সমতূল্য তবে জন্মদাতা নন।জন্মদাতা একজনই।
অনেকেই বলে অমুক জাতির পিতা, এই পিতা মানে ফাদার নন।। পদ নির্দেশক নেতা সেটাকে এমামও বলা চলে। ইব্রাহীম(আ) আমার জন্মদাতা নন তবুও উনি আমার পিতা কিসের পিতা? বাঙালী জাতির জন্য আলাদা রাষ্ট্রের জন্য সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন হয় আমাদের দেশে বহু মানুষ উনাকে জাতির জনক /পিতা বলে সম্মান করে থাকে তাইলে উনি আমাদের জন্মদাতা?  আসলে তা নয় একটা বাঙালী জাতি নিয়ে উনি সংগ্রাম করেছেন এই বলে উনাকে জনক উপাধী দেওয়া হয়েছে এই জনক মানে বাংলার বাঘ তিনি,বাংলার মুক্তি চায় এরকম একজন সাহসী নেতা তিনি। সকলের বাচার অধিকার নিয়ে লড়াই করে অবশেষে তাকে মেরে ফেলা হয়।

আর মাননীয় এমামুয্যামান প্রকৃত ইসলামের সত্যিকারে রূপ মানবজাতির সামনে তুলে ধরেছেন উনার মাধ্যমে আমরা সত্যের সন্ধান পেয়েছি সেই সুবাদে উনি এ যামানার ইমাম অর্থাৎ বুঝাতে চাইছি জনক,আত্মার পিতা কিন্তু জন্মদাতা নন, উনি কেবলই উনার সন্তানদের জন্মদাতা। এ যামানায় সত্যদীন কায়েমের জন্য সেই রসুল (স)আনীত দীনকে আবার প্রকৃত রুপ ফিরিয়ে দিয়েছেন এইজন্য উনি এ যুগে সত্যদীনের ধারক বাহক, জনক। আল্লাহ উনাকে সত্যদীনের জ্ঞান দান করেছেন।

যারাই সত্যের তরে কাজ কোরে যাবে জীবন উৎসর্গ কোরে যাবে তারাই আত্মার মানুষ মহান মানুষ আল্লাহ এদের জন্যই সুখ শান্তি রহমত রেখেছেন সুবিমল জান্নাত এদের জন্যই।

মোহাম্মদ হাবিব বিন আব্দুস ছোবহান

No comments:

Post a Comment