DESHERPATRO

Sunday, April 30, 2017

স্বার্থের দোকান

স্বার্থের দোকান

ধর্ম বেচার দোকান খোলা রেখে
আত্মায় হীনবল নিয়ে
কেমনে ওরা কথ বলবে দেশের পক্ষে?

ওরা খোয়াতে না চায় তাদের স্বার্থ
দেশ সমাজ চলুক ইসলামের ব্যবস্থায়
এটা ওরা পারেনা কারন এখানে ব্যর্থ।

স্বার্থ রেখে জিয়িয়ে
আত্মা হারিয়ে,
দেশ রক্ষা হবেনা ওদের দিয়ে।

হতে হবে স্বার্থহীন
তেজে ভরা মন
বিনাস্বার্থে ধর্ম করণ।
তবেই হবে জয় সীমাহীন,
হবে কল্যাণ দেশ ও জাতির
মরবেনা কেউ ভয়ে আত্মঘাতীর।

Tuesday, April 25, 2017

মজলুমের মুক্তি

মজলুমের মুক্তি

মিঠুন রাজ এর কবিতা

যেদিন শুনবোনা মজলুমের আহাজারি
আর কোন মানুষের ক্রন্দন,
সেদিন থেকে থাকব সুখে
শান্ত হবে আমাদের অশান্ত মন।

যেদিন মরবেনা কোন নিরীহ মানুষ
বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে,
সেদিন থেকে ব্যস্ত হবো
আপন স্ত্রী-সন্তান সংসারাদি লয়ে।

যেদিন হবে না কোথাও কোন ধর্ষণ
কারো স্ত্রী কারো মেয়ে কারো অত্যন্ত-
আদরে গড়ে তোলা ছোটবোন
সেদিন আনন্দে মাতবে আমাদের মন।

যেদিন থাকবেনা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ
হয়ে যাবে সবাই সবার জন্য,
সেদিন সমস্বরে বলবো সবাই
আমাদের জীবন আজ হলো ধন্য।।

Saturday, April 22, 2017

ভজনালয়ে প্রভু নাই

ভজনালয়ে প্রভু নাই

মিঠুন রাজ এর কবিতা

মন্দিরে মসজিদে কত অর্থের ছড়াছড়ি
ওহে বিত্তশালী ঈমানদার মহা পুণ্যকারী
চক্ষু খুলিয়া দেখো কত আদম সন্তান
মাথার উপরে নাই কোন ছাউনি
আছে বিশাল এক উন্মুক্ত আসমান;
ওরা না পায় খানা না পায় পানি।

জান্নাত-স্বর্গ পাইবার অভিলাষে
মোল্লা পুরুতের পকেট ভরিছো
জড়ের মুখে -ভোগ ঠেলিছো,
করিছো না বুঝিয়াই তা মহা উল্লাসে
বুঝিলেনা তুমি স্বর্গতুল্য সুখ আছে,
যদি নিপীড়িত মানুষগুলো হাসে।

তোমার প্রভু কোথায় বলিয়াছে
তাহার উপাসনা করিতে হইবে চাকচিক্য ঘরে?
দিবারাত্রি তসবিহ জপে টিপে জপমালা
পাবেনা উনার কৃপা যদি কেহ,
না খেয়ে কাটি কাটি হয়ে দেহ,
মিটাতে না পারে এতো প্রাচুর্যের ভীরে
ওই হতদরিদ্রের ক্ষুধার জ্বালা,
মরে যদি মানুষ খাদ্য বিনা ধুকে অনাহারে।।

Friday, April 21, 2017

মাতৃভূমি তুমিই মা - মিঠুন রাজের গান

মাতৃভূমি তুমিই মা -

মিঠুন রাজ এর দলীয় সংগীত।

মাগো তুমি তোমায় নিয়ে ভেবোনা
তোমার জন্য জেগে আছে
এই প্রজন্মের সেনা
ওমা এই প্রজন্মের সেনা।

তোমায় মাগো দখল নিতে
এসেছিলো কত দানবেরা
প্রাণ দিয়ে তোমায় করেছে মুক্ত
তোমার শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা।

জঙ্গীবাদের ঐ বীজ বুনতে
করছে ওরা কতো ফন্দি
আদর্শ দিয়ে গড়বো মোরা প্রতিরোধ
নেবো ওগো শত্রুতারই প্রতিশোধ।
হবোনা কবু ওদের জালে বন্দি
ওমা হবোনা ওদের জালে বন্দি।।

শকুনের কালোথাবা আসুক না যতো
থাকুক ওদের গর্জন তর্জন,
তোমার তরে জীবন দিয়ে বিসর্জন
রাখব তোমায় নিরাপদ
ওমা এই মোদের শপথ।।
মাগো এই মোদের শপথ।।

Thursday, April 20, 2017

বেপরোয়া ফাইজুল - মিঠুন রাজ

বেপরোয়া ফাইজুল
______ মিঠুন রাজ এর ছড়া কবিতা।

চাপাভাঙা চেহারা
নামখানা ফাইজুল
জেলের মাখামাখিতে খাড়া
হয়ে গেছে তার চুল।

গায়ে কোন জোর নেই
টিনটিনে দেহখান
ভাব দেখে মনে হয়
বড় কোন মাস্তান।

স্কুলের নাম করে
দিতে যায় আড্ডা
সব তার অনুগত
পাড়ার ছোটখাটো গুন্ডা।

লেখাপড়া বোঝে ভালো
আসলে সে করেনা-
বাপ মা ভাইবোন
কারো ধার ধারেনা।

বাড়িতে থাকেনা সে
রাত দিন বাইরে
ভবিষ্যতের চিন্তাভাবনা
মাথায় তার নাইরে।

সবাই ভাবে ওকে নিয়ে
ওর কোন নাই হুশ
চিন্তা একটাই
কবে হবে মানুষ।

মা সমাচার - মিঠুন রাজের কবিতা

         "মা সমাচার"

                মিঠুন রাজ

গিন্নিবিবি বসে আছে
মুখটি কালো করে
সকালবেলা সেই যে গেল-
সাঁঝ গড়িয়ে রাত্রী হলো
আহাম্মকটা আসছে নাতো ফিরে।

কলিংবেলের শব্দ পেয়ে
কাজের মেয়ে দৌড়ে গিয়ে
দরজা খুলে দিলো-
এতবেলা পরে বুঝি
আসার সময় হলো?

ও এসেছে বুঝতে পেরে
গিন্নী এসে বলে-
'সারাবেলা কোথায় ছিলে,
গাড়ি নিয়ে কোথায় গেলে?
বলো একটু শুনি-
আমার ভাগ্যে সুখ হবেনা
আগে থেকেই জানি।
আমি ছাড়া অন্য কেউ
তোমার বউ হলে
লাথি দিয়ে বিদায় হতো
এই সংসার ফেলে।'
বেচারা স্বামী ক্লান্ত হয়ে
সোফায় বসে বউকে বলে-
'আমার কথা শোনো,
গাড়ির ভিতর মা আছে
তাকে গিয়ে আনো।'

মায়ের কথা শুনে বিবি
মাথায় দিলো হাত
ঠিক যেন মাথার উপর
হলো বজ্রপাত।

বলি তোমার বুদ্ধিশুদ্ধি
একেবারেই গেলো?
মাসের শেষে উনাকে
আনার সময় হলো?

তোমার ভাইয়েরা সব কি করে
তাদের কিছু নাই?
তোমারই বা কত আছে
কয় টাকা কামাই?
অতশত বুঝিনা-
কোনকিছু জানিনা
আজকের মতো বিদায় করা চাই।

তোমার বোনের তো বাসা আছে
খুব দূরে নয় এইতো কাছে।
পারবো না ভাত
হাড়ি হাড়ি রান্না করতে
তুমি একটু বুঝিয়ে বলো
কয়েকটাদিন ওখানে থাকতে।

উনিই বা কেমন মানুষ
কেমন চিন্তা করে?
একবারও ভাবলেননা,
এত ছোট বাসার ভিতর
থাকবো কেমন করে?

স্বামী বেচারা নির্বিকার হয়ে বসে আছে
বউয়ের কথা শুনলোনা বলে,
বউ বেচারি নিজে বলতে
ছুটলো গাড়ির কাছে-
স্বামী তখন দৌড়ে গেলো
বউয়ের পিছে পিছে।

কি যে কান্ড ঘটবে আজ!
সে জানে তার বউয়ের মেজাজ
দেখি খেলা কোনদিকে গড়ায়
ঝামটা মেরে দরজা খুলে
মুখটি হলো হা-
গাড়ির ভিতর আছে বসে
তার নিজেরই 'মা'।

"ওমা তুমি এলে কখন
কেন করোনি একটু টেলিফোন?"
মা বলে',তারও আছে কারন
জামাই বাবা ফোন করতে
করেছিলো বারণ।'

বউ বলে চলো মা
আগে ভিতরে যাই
স্বামীকে বলে শুনছো নাকি
লাগবে কিন্তু বাজার সদাই।

ড্রাইভারকে সাথে নিয়ে
বাজার আনতে যাও
রান্না করবো চিংড়ী-ইলিশ
আর মোরগপোলাও,
নিয়ে এসো ভালো যদি
দেশী মুরগী পাও।

মিঠুন রাজ
৭ বৈশাখ ১৪২৪
সাভার,ঢাকা।

Wednesday, April 19, 2017

মাইশামনির নানুবাড়ি - মিঠুন রাজ

        মাইশামনির নানুবাড়ি

               মিঠুন রাজ

আব্বু আমায় আম্মু বলে
নানু ডাকে ময়না বুবু সোনা
নানীর কাছে আমি যেন
তার আদরের গয়না।

মাইশামনি নামটি আমার
আরো আছে তিন-চার
বড় হয়ে হতে চাই নামকরা ডাক্তার।

আম্মুর চোখে স্বপ্ন ভাসে
শুধুই আমায় ঘিরে-
ছোট্ট নানু দেখতে আসে
খানিক বাদেই ফিরে।
ছোট নানীর ভালবাসায় হই যেন সিক্ত
ছোট্ট দুইটা পিচ্চি মামাও আমারই ভক্ত।

রাত যতো বেশিই হোক  কান্না কানে গেলে
বড় মামা ছুটে আসে গভীর ঘুম ফেলে-
মেজ মামা কোলে নিয়ে বাইরে গিয়ে হাটে
আমার জন্যে সবারই বুক বড্ড ফাটে।

ফাহিম মামা খুলনা থাকে হবে ইঞ্জিনিয়ার
কোথাও ঘুরতে গেলেই-
নতুন কিছু সামনে পেলেই
আনবে কিনে খেলনা যতো
সবগুলোই মনের মতো
পুতুল,বাঘ-হরিণ আর প্রিয় টেডিবিয়ার।

ছোটমামার ল্যাপটপটা আমার কাছে রাখে
এই ভেবে যে,
মাইশা যেন অনেক কিছু শেখে।
মামা যতো লজেন্স কেনে আমিই সব খাই
সকাল বেলা ব্যাগ ঝুলিয়ে স্কুলেও যাই।

মিঠুন রাজ
৬ বৈশাখ ১৪২৪
ঢাকা।