সালাত মানুষ কে মন্দ ও অশ্লীল কর্ম থেকে দুরে রাখে।
আমার জানা আছে, ভালো আয়াত মনে করেছেন, যে নিশ্চয়ই সালাহ মন্দ ও অশ্লীল কাজ থেকে দুরে রাখে পবিত্র কোরে,একদম ঠিক কথা, অর্থাৎ সালাহ কোরলে তার আখলাক হবে উত্তম। ইসলামে তো সালাহ বাদ দেওয়া হয়নি,সালাহ হলো সালাতের বহুবচন, কাজেই এই সালাহ হলো রাষ্ট্রীয়, ব্যক্তিগত সালাহ এর চেয়ে রাষ্ট্রীয় সালাহর সমষ্টিগত সালাহর আল্লাহ ও তার রাসুল সওয়াব কোরেছেন মোমেনদের জন্য ২৭ গুন।
এই মোমেন দের কে আল্লাহ সরাসরি বলেছেন- যে জেহাদের কথা আল্লাহ সরাসরি ৫০০ বারের বেশি বলেছেন আর সালাহ আছে ৮২ বার আল্লাহর কোন কথার গুরুত্ব বেশি তা ইনশাআল্লাহ বুঝবেন যদি আল্লাহর এই কথা গুলো পড়েন। সাড়া কোরানে আর যত এবাদত আছে এ সব কিছুরই জের টেনে আল্লাহ একটা উদ্দেশ্যের মধ্যে এনে টেনে রেখেছেন, সেই উদ্দেশ্য কি? জেহাদ অর্থাৎ প্রধান উদ্দেশ্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। যারা সব ইবাদত করলো কিন্তু সত্য কায়েমের সংগ্রামে সামিল নেই ত্যাগ নেই, মানবতার কল্যাণে পদক্ষেপ নেই,এসমস্ত এবাদত তার হবে নিষ্ফল।
আল্লাহর নিজেরই বয়ান-
সূরা আল ইমরান:142 - তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল।
সূরা আল ইমরান:146 - আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন।
সূরা আন নিসা:75 - আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে(জেহাদ) লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।
সূরা আল হুজরাত:15 - তারাই মুমিন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনার পর সন্দেহ পোষণ করে না এবং আল্লাহর পথে প্রাণ ও ধন-সম্পদ দ্বারা জেহাদ করে। তারাই সত্যনিষ্ঠ।
এখন বলুন যে আপনি সত্য একথা স্বীকার কোরেন যে আপনি আল্লাহর কথা মানেন,আল্লাহর কথা এই যে সব ইবাদতের একটাই উদ্দেশ্য জেহাদ, সংগ্রাম, সত্য ন্যায় কায়েম। মানবতা কে উদ্ধার। উপরিউক্ত আয়াতে তাই বলা আছে।
এখন আল্লাহ এই এবাদতের বিরুদ্ধে বলেছেন এইজন্য যে, ভালো কাজ শুধু পুব পশ্চিমে মুখ ফেরানোই নয়--
সূরা আল বাক্বারাহ:177 - সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।
সূরা মাউন:1 - আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
সূরা মাউন:2 - সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়।
সূরা মাউন:3 - এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
সূরা মাউন:4 - অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর।
সূরা আল বালাদ:10 - বস্তুতঃ আমি তাকে দুটি পথ প্রদর্শন করেছি।
সূরা আল বালাদ:11 - অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি।
সূরা আল বালাদ:12 - আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি?
সূরা আল বালাদ:13 - তা হচ্ছে দাসমুক্তি
সূরা আল বালাদ:14 - অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান।
সূরা আল বালাদ:15 - এতীম আত্বীয়কে।
সূরা আল বালাদ:16 - অথবা ধুলি-ধুসরিত মিসকীনকে।
সূরা আল বালাদ:17 - অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সবরের ও উপদেশ দেয় দয়ার।
সূরা আল বালাদ:18 - তারাই সৌভাগ্যশালী।
No comments:
Post a Comment