নাইম হাসানের প্রশ্ন:- আল্লাহর আদেশ অমান্যকারী নিশ্চয়ই মুমিন নয়?
উত্তর:-হ্যা আপনার এই কথায় যুক্তি আছে, যে কি? আল্লাহর আদেশ অমান্যকারী, প্রত্যাখ্যান কারী অর্থাৎ যাকে আরবীতে কাফের বলেছেন আল্লাহ। যারা আল্লাহতে বিশ্বাসী ছিলো ১৪০০ বছর আগে, সেই বিশ্বাসী লোকগুলো আল্লাহ কে বাদ দিয়ে ইলাহ রুপে গ্রহন কোরেছিলো লাত মানত উজ্জাকে,তাদের নামে হুকুমত বানিয়ে তা চালাতো।
এদের কে গোমরাহী থেকে ফিরিয়ে সত্যের দিকে প্রথমেই ডাক দিয়েছিলো সয়ং রাসুল (স), কুল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ বল তিনি আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ অর্থাৎ হুকুম দাতা বিধানকর্তা নেই।
এই কথা প্রত্যাখ্যানকারী অর্থাৎ কাফের দের বলাতে ক্ষেপে যেয়ে বললো যে--- কি???? আমরা এই লাত মানত উজ্জা এর নামে যে হুকুমত চলে তা ব্যতিরেখে আল্লাহর হুকুমত মানবো? তা হতে পারেনা, এই বলে নবী(স) কে পাগল বলতো পাথর মারতো, আর বলতো আমরা মিল্লাতে ইবরাহীম, আমরা আল্লাহ বিশ্বাসী আমরা খাতনা কোরি সওম করি হজ্জ কোরি, সালাহ করি,আমরা কাজের আগে আল্লাহুমা বেসমেকা রাব্বুকা বলি, আমরা নামের পরে আল্লাহর নাম যোগ করি, যেমন আব্দুল্লাহ, আবুল হাকাম অর্থাৎ জ্ঞানী,, যার নাম আবু জাহেল, রসুল এর চাচা হয়েও বিরুধীতা করতো, যে ছিলো কাবা ঘরের রক্ষক, খাদেম, মস্তবড় আলেম ছিলো, কিন্তু রহমানের হুকুমত অমান্য কোরে নিজেরাই হুকুমত রচনা কোরে লাত মানত উজ্জার নামে চালিয়ে দিতো।।আর তুমি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহর ছেলে এসে আমাদের বলছো বিপদগামী?
এই কথা বলে রসুলের মাধ্যমে আসা সত্যদ্বীন কে অসীকার করতো।
আজ দুনিয়াময় মুসলিম জাতি আল্লাহকে বাদ দিয়ে লাত মানত উজ্জার যায়গায় বসিয়েছে সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র,গণতন্ত্র ইত্যাদি মানবরচিত কুফর জীবনব্যবস্থা। যে প্রত্যেকটি ব্যবস্থা আজও মানবজাতি কে শান্তি দিতে পারেনি। দিয়েছে অন্যায় অবিচার অশান্তি মাত্র।
আজ এই ব্যবস্থার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো গণতন্ত্র। (Democracy). আমাদের ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্র, মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল কলেজ, শিক্ষা সংস্কৃতি রাজনীতি ইত্যাদি প্রায় সবখানে এই দাজ্জালের দেওয়া গণতন্ত্রের ব্যবস্থার আওতাধীন হোয়ে গেছে।
তাহলে যারা আজ চাইছে যে লাত মানত উজ্জার হুকুমের পরিবর্তে যে জুডিশিয়াল হুকুমত দাজ্জালীও হুকুমত এসেছে এগুলো মানিনা তাহলে তারা ভুল করছেন কেননা তারা জোর কোরে বাধ্য কোরে ফেলেছে ইতিমধ্যে। আমরা কি কেহ বাদ আছি এই হুকুমত মানতে?
আল্লাহর হুকুমত এর পরিবর্তে আজ দুনিয়াময় স্রষ্টাহীন আত্মাহীন জড়বাদী দাজ্জালীও জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত এবং সব জায়গায় পালিত হচ্ছে।
আর কেউ কেউ কপালে কালো দাগ ফেলে ভাবছেন যে আমরা তো জান্নাতী, আমরা আল্লাহর ব্যবস্থায় না থাকলে কি হবে আমরা আমাদের মসজিদ সমাজ রাষ্ট্র সব চলবে অন্য আইনের আওতায় আর আমরা ৫ বার নামাজ পড়বো আর তসবিহ টপকাবো আর জান্নাতে চলে যাবো---। আমাদের আর কোন কাজ নাই দায়িত্ব নাই।-----
এই যে মনোভাব যা চৌদ্ধশত বছর আগের আল্লাহ বিশ্বাসী কাফের মোশরেক দেরও ছিলো।
শেখ মুহাম্মদ হাবিব বিন আব্দুস ছোবহান।
No comments:
Post a Comment