মুমিন ব্যক্তি ছাড়া কেউ কি জান্নাতে যাবে?
কেয়ামতের দিন একমাত্র আক্কেল যাদের আছে তাদের আমলের বিচার হবে, যারা বেআক্কেল তাদের কি হবে?
আল্লাহ বলবেন আমি তো তোমাকে সালাত দিয়েছি কি কারনে কি উদ্দেশ্যে দিয়েছি সেটা কি জেনে বুঝে করেছো? এটার নামই আক্কেল বা বুঝে নেওয়া। অর্থাৎ বুঝে করা।
নাইম হাসানের প্রশ্ন:-
আপনি একটা প্রশ্ন কোরেছেন যে, মুমিন ব্যক্তি ছাড়া কি আর কেউ জান্নাতে যাবে?-
উত্তরঃ- হ্যা আপনার এই প্রশ্নটা অত্যন্ত যুক্তিসংগত, মুমিন ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ জান্নাতে যাবেনা, এইজন্য আল্লাহ কোরানে বলেন যে,আমি দুনিয়াতে দুই দল লোক সৃষ্টি কোরেছি,এদের মধ্যে কেউ মোমেন কেউ কাফের অর্থাৎ দুই দল, অন্য কোন দল এখানে নাই,তৃতীয় কোন দল নাই।
সুরা তাগাবুনের 2 নং আয়াতে আল্লাহর ঘোষণা
- তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ কাফের এবং কেউ মুমিন। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন।
আর এই মোমেন দের জন্য আল্লাহ সালাত ফরদ কোরেছেন, সুরা ইবরাহীম এর ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ মোমেনদের সালাতের নির্দেশ দিয়েছেন।
সূরা ইব্রাহীম:31 - আমার বান্দাদেরকে বলে দিন যারা (মুমিন) বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তারা সালাত কায়েম রাখুক এবং আমার দেয়া রিযিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করুক ঐদিন আসার আগে, যেদিন কোন বেচা কেনা নেই এবং বন্ধুত্বও নেই।
আল্লাহ কোরানে একটি বারো বলেননি সে তাহারাই মোমেন যারা সালাত কোরে যাকাত দেয় হজ্জ কোরে সওম কোরে,আপনি দেখাতে পারবেন না।
তাহলে আল্লাহ মোমেনের সংজ্ঞা কিসের মধ্যে রাখলেন? যা হলে জান্নাতে যাওয়া যাবে?
মহান আল্লাহ ঘোষণা কোরেন-
- তারাই মুমিন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনার পর সন্দেহ পোষণ করে না এবং আল্লাহর পথে প্রাণ ও ধন-সম্পদ দ্বারা জেহাদ করে। তারাই সত্যনিষ্ঠ।
( সূরা আল হুজরাত:15)
আপনি যদি এই আয়াত নিশ্চিত বলে বিশ্বাসী হন। আর মুমিন হওয়ার ব্যাপারে কি আল্লাহ অন্য কোন ভাবে বলেছেন যে তুমি নামায রোযা করলেই মোমেন? তা নয়,এগুলো হলো প্রক্রিয়া, চরিত্র, আখলাক গঠনের মুল উপাদান মাত্র। উদ্দেশ্য নয়,উদ্দেশ্য হলো দ্বীন কায়েমের জেহাদ,এই জেহাদ কোরলে সে মোমেন আর এই মোমেন রাই জান্নাতি, নামায রোযা কোরলেই সে মোমেন নয়,এ শর্ত দেননি আল্লাহ, আল্লাহ শর্ত দিয়েছেন অন্যায় অবিচার কে রুদ্ধ কোরে শান্তি কায়েমের জেহাদ অর্থাৎ সর্বাত্মক সংগ্রাম, প্রচেষ্টা করা। মানবজাতি কে একটি সুন্দর জীবনব্যবস্থা উপহার দেওয়া।
মহান আল্লাহ এই উদ্দেশ্য পুরনের জন্য সয়ং নবী মুহাম্মদ (স) কে পাঠিয়েছেন-
- তিনিই প্রেরণ করেছেন আপন রসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন সহকারে, যেন এ দ্বীনকে (সত্য জীবনব্যবস্থা) অপরাপর দ্বীনের (ভুল জীবনব্যবস্থার) উপর জয়যুক্ত করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপ্রীতিকর মনে করে।
(সূরা আত তাওবাহ:33,ফাতাহ ২৮,সফ ৯)
মুমিনের আরো অন্য কোন সংজ্ঞা আছে কি আল্লাহর সংজ্ঞার বিপরীতে?
শেখ মুহাম্মদ হাবিব বিন আব্দুস ছোবহান।
No comments:
Post a Comment