সালাহ (নামাজ) আসলে কাদের জন্য?
সালাহ জান্নাতে চাবি নয়।
কলেমা জান্নাতের চাবি,
কোরানে কোথাও সালাতের বিনিময়ে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি আল্লাহ দেননি।।আল্লাহ দিয়েছেন -জান ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর রাহে জেহাদ করলে তওহীদ অর্থাৎ কলেমা কায়েম করলে (মানে আল্লাহ ছাড়া কারো হুকুম মানা যাবেনা ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্রে)তাহলে সে মোমেন (হুজুরাত১৫)আর মোমেনকে জান্নাতি আল্লাহ বলেছেন- দুনিয়ার শাসন করবে মোমেন।(নুর ৫৫)
আর যাহারা আল্লাহ যাহা নাযেল করেছেন তাহা দিয়া বিচার কায়েম করেনা তাহারা কাফের জালেম ফাসেক(মায়েদা ৪৪;৪৫;৪৭)
আর যাহারা কাফের তাহাদের নামাজ দিয়ে আল্লাহ কি করিবেন?
কাফের নামাজ পড়লে কি হইবে?
আজ খুব নামাযী লোকেরা যে মসজিদে নামাজ পড়ছে সেই মসজিদও কোরান দিয়ে চালানো নয়-- সেই মসজিদ দাজ্জাল!! ইহুদী-খ্রিস্টান সভ্যতার তেরি গনতন্ত্র শাসনের আওতায়।
আল্লাহর দীন এসলাম অর্থাৎ এসলামী জীবনব্যবস্থা বাদে অন্যকোন জীবনব্যবস্থা কেয়ামতে আল্লাহ নেবেন না।।তাহারা কাফের মোশরেক হইয়া কেয়ামতে উঠিবেন।
তাহলে এই কাফের মোশরেক দের জন্য সালাহ?
অসম্ভব -
সালাহ তাহাদের জন্য যাহারা মোমেন- সত্য বিশ্বাসী।
তাই আল্লাহ বললেন - হে নবী মোমেনদের সালাহ কায়েম করতে বলুন(সুরা এবরাহীম ৩১)
আগে মোমেন হতে হবে, তারপরে আমল (সুরা হুজুরাত১৫)
এই সালাহ কেন? এর উদ্দেশ্য কি?
সালাহ মোমেন দের এইজন্য যে তাহারা জেহাদের জন্য প্রশিক্ষণ নেবে সালাহর মাধ্যমে এমামের পেছনে লাইন সোজা কোরে আর্মির মতো করে।সালাতে শৈথিল্যতার কোন যায়গা নাই,শরীর সোজা শক্ত হইতে হইবে;নইলে মোনাফেকে পরিনত হইবে,নরম কোরে সালাহকারীদের এদিকেও না ওদিকেও না, এরা পথভ্রষ্ট -দেখুন (কোরান- নেসা ১৪২-১৪৩)এবং এমামের তাকবীরের সাথে রুকু, সেজদাহ, এতেদাল করবে।জামাতে সালাহ কায়েম করিবে।মোসলেম উম্মাহকে এই সালাহ একতাবদ্ধ রাখিবে।।
রসুল নিজেও খন্দকের যুদ্ধের পরিখা খনন কালে আসরের সালাহ কায়েম করেননি।কারন রসুল (দ) জানতেন যে আল্লাহ যুদ্ধের আশংকা কালীন সময়ে সালাহ কম কোরে নিয়ে এক রাকাত করে দুই রাকাত পড়লে সমস্যা নেই,(নেসা ১০১-১০৩ দেখুন)
যুদ্ধ আশংকা কালীন সময়ে যদি সালাহ কমে যায়।
তাহলে যুদ্ধ চললে কি করবে?
এ থেকে বুঝা গেলো যে যুদ্ধের সময় সালাহ নেই।। যুদ্ধের সময় সালাহ কায়েম করেননি রসুল (স) এবং তার সাহাবীরা (রা)
বিপদসংকুলে আল্লাহ সালাহ মওকুফ করেছেন-
কিন্তু যুদ্ধের শেষ, সময় হলে সালাহ ঠিকঠাক করে কায়েম করতে বলেছেন- (সুরা নেসা ১০৩)
আপনার পাশে মানুষ না খেয়ে মরছে-আপনি এতিমদের গলা ধাক্কা দিচ্ছেন,অন্ন দানে সাহায্য করছেন না,আপনার সালাহ হোচ্ছে না, এ সমস্ত নামাযী (মুস্লল্লীদের জন্য) দুর্ভোগ। (সুরা মাউন)
মোহাম্মদ হাবিব বিন আব্দুস ছোবান।
No comments:
Post a Comment