আপনি জানেন কি?
পলাশী ট্রাজেডীর বিশ্বাসঘাতকদের পরিণাম
মীর জাফরঃ বিশ্বাসঘাতকদের সর্দার মীর জাফর পবিত্র কুরআন শরীফ মাথায় রেখে নবাবের পাশে থাকবেন বলে অঙ্গীকার করার পর বেঈমানী করেছিল। তার জামাতা মীর কাসেম পরবর্তীতে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। পরে তিনি দুরারোগ্য কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭৪ বছর বয়সে মারা যান।
ঘষেটি বেগমঃ মিরনের নির্দেশে নৌকা ডুবিয়ে হত্যা করা হয়।
মিরনঃ মীর জাফরের বড় ছেলে মীরন অসংখ্য কুকর্মের না্য়ক। ইংরেজদের নির্দেশে মেজর ওয়ালেস তাকে হত্যা করেন। ইংরেজরা বলে বেড়ায় যে, বজ্রঘাতে তার মৃত্যু হয়।
জগৎশেঠ, মহারাজা স্বরূপচাঁদঃ মীর কাসেম তাদের হত্যা করে। জগৎশেঠকে দূর্গের চূড়া থেকে গঙ্গায় নিক্ষেপ করা হয়।
রায় দুর্লভঃ যুদ্ধের পর তিনি কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।
উমিচাঁদঃ যুদ্ধের পর রবার্ট্ ক্লাইভ কর্তৃক প্রতারিত হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে উন্মাদ অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে তার মৃত্যু হয়।
রাজা রাজবল্লভঃ পদ্মায় ডুবে মৃত্যুবরণ করেন।
ইয়ার লতিফ খানঃ যুদ্ধের পর হঠাৎ নিরুদ্দেশ হন। ধারনা করা হয় তাকে হত্যা (গুম) করা হয়।
মহারাজা নন্দকুমারঃ তহবিল তছরুপ ও অন্যান্য অভিযোগের বিচারে তার ফাঁসিকাষ্ঠে মৃত্যু হয়।
রবার্ট্ ক্লাইভঃ পলাশী যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি কোটি টাকার মালিক হন। ইংরেজরা তাকে পলাশী হিরো বলে আখ্যায়িত করে।দেশে ফিরে গিয়ে একদিন বিনা কারণে বাথরুমে ঢুকে নিজের গলায় ক্ষুর চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মুহাম্মদী বেগঃ নবাব সিরাজউদ্দৌলার হত্যাকারী।মৃত্যুর সময় নবার দু রাকায়াত সালাত আদায় করার সুযোগ চেয়েছিলেন কিন্তু মুহাম্মদী বেগ সেই সুযোগ দেননি। পরে মুহাম্মদী বেগ মাথা গড়বড় অবস্থায় বিনা্ কারণে কূপে ঝাপ দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
ওয়াটসনঃ ওয়াটসনের ক্রমাগত স্বাস্থহানি হলে কোন ঔষধে ফল না পেয়ে কলকাতাতেই তার মৃত্যু হয়।
[মাসিক কারেন্ট ওয়ার্ল্ড: জুন/২০১৫ হতে গৃহিত]
No comments:
Post a Comment