DESHERPATRO

Saturday, June 20, 2015

বিদ্রোহী কাফেলা মোরা আল্লাহর পথের সৈনিক

বিদ্রোহী কাফেলা মোরা আল্লাহর পথের সৈনিক

কত.........!! আর কত বিভেদ......???

এবার একতার সময় এসেছে। হানাফি, শাফেঈ, মালেকি, হাম্বলী, মাযহাবী-লা মাযহাবী, কওমী-আহলে হাদীস,
সুন্নি-সালাফি, তাবলীগী, পীরের মুরিদ সবাই যে যেখানে আছো হাত শক্ত করে বেধে রাখো। আমাদের
অভ্যন্তরীন আকিদাহ গন তর্ক বিতর্কের সুযোগ নিয়ে গোটা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও তাগুত সরকারের
ক্ষোভানলে পড়েছে আজ ইসলাম। এইখানেই আমরা ধরা খাই! আমাদের শত্রু যখন আমাদেরকে এক সাইড থেকে আক্রমণ
শুরু করে আমরা তখন তাদের মোকাবেলা না করে আমাদের মধ্যকার নফল নিয়ে একে অন্যেকে দুর্বল করার চেষ্টা করি!
অস্ত্র নেই বলে আমদের বসে থাকলে চলবে না। অস্ত্র আর অ্যামুনেশন এর চেয়ে বেশি দরকার আমদের আল্লাহর
উপরে ভরসা। আল্লাহ যখন দেখবেন আমারদের ভাইরা জিহাদের জন্য প্রস্তুত আর শাহাদতের তামান্না করে তখন
অস্ত্র আর যুদ্ধ সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা হবেই ইনশাল্লাহ। কিন্তু অস্ত্র নেই বলে আমদের বসে থাকলে চলবে না। আজ
কুফররা তাদের সর্বচ্ছ শক্তি দিয়ে জিহাদকে সন্ত্রাসী কাজ বলে প্রমান করতে চাচ্ছে এবং মুসলমানদের মন
থেকে জিহাদ উটিয়ে দিতে চাচ্ছে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তারা সফল।
রাসুল (সা) একদিন পূর্ব দিকে তাকেয়ে বড় বড় করে নিশ্বাস নিচ্ছিলেন, এমন অবস্থায় এক সাহাবিজিজ্ঞাস করল,
ইয়া রাসুল আল্লাহ্, আপনি এমন করছেন কেন ?
রাসুল (সাঃ) বললেন আমি পূর্ব দিক থেকে বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছি।
সাহাবি (রাঃ) জিজ্ঞাস করলেন, ইয়া রাসুল আল্লাহ্ কিসের বিজয়ের গন্ধপাচ্ছেন?
রাসুল (সাঃ) বললেন পূর্ব দিকে মুসলিম ও মুস্রিক ( যারা মূর্তি পূজা করে ) তাদের মাঝে একটি যুদ্ধহবে, যুদ্ধ
টা হবে অসম , মুসলিম সেনাবাহিনী সংখ্যায় খুব কম থাকবে,এবং মুস্রিকরা থাকবে সংখ্যায় অধিক।
মুসলিম রা এত মারা যাবা যে রক্তেমুসলিমদের পায়েয় টাঁকুনি পর্যন্তডুবে যাবে।
মুসলিম রা তিন ভাগে বিভক্ত থাকবে,এক সারি এত বড় মুস্রিক সেনাবাহিনী দেখে ভয় পেয়ে পালাবে ।
রাসুল (সাঃ) বললেন তারাই হোল জাহান্নামি।
আর এক ভাগ এর সবাই শহীদ হবেন।
শেষ ভাগ এ যারা থাকবে, তারা আল্লাহ্ আর উপর ভরসা করে যুদ্ধ করে যেতে থাকবে , এবং শেষ পর্যন্তজয় লাভ
করবেন।
রাসুল (সাঃ) বলেছেন – এই যুদ্ধ, বদর এর যুদ্ধের সমতুল্ল। সুবাহানাল্লাহ।
উনি এর ও বলেছেন, মুসলিম রা যে জেখানেই থাকুক না কেন , সবাই যেন ওই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
হযরত সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন আমার উম্মতের দুটি দলকে আল্লাহ
তায়ালা জাহান্নাম থেকে মুক্ত ও স্বাধীন করে দিবেন। একদলহল, যারা হিন্দুস্থান তথা ভারতেরবিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।
আরেক দল হল, যারা শেষ জামানায় হযরত ঈসা ইবনে মারিয়ম (আ) এর সঙ্গী হবে। (নাসায়ী শরীফ খন্ড-১,পৃষ্ঠা-১৫২ও
তাবরানী)
এই হাদীসটি অন্য বর্ণনায় এভাবে এসেছে, রাসুল (সা) বলেছেন, আমার উম্মতের দুটি দলকে আল্লাহ
তায়ালা জাহান্নামের আগুন থেকে হিফাজত করবেন। একদল হল, যারা হিন্দুস্থান তথা ভারতের বিরুদ্ধেজিহাদ
করবে। আরেক দল হল,যারা শেষ জামানায় হযরত ঈসা ইবনেমারিয়ম (আ) এর সঙ্গী হবে। (মুসনাদে আহমাদ
হাদিস-২২২৯৫, খ-১৬ পৃষ্ঠা-২৯৫, বায়হাকী খ-৯,পৃষ্ঠা-১৭৬,নাসায়ীশরীফ জিহাদঅধ্যায়)
হযরত আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত। রাসূল (সা) বলেছেন, এ উম্মতের মধ্যে একটি মিশন সিন্ধু ও হিন্দুস্থান তথা ভারতের
দিকে পরিচালিত হবে। আমি যদি এ অভিযান পেয়ে যাই এবং জিহাদ করে শহীদ হতেপারি তাহলে এমনটিই করব। আর
যদি জীবিত ফিরে আসি তাহলে আমি মুক্ত স্বাধীন আবু হুরায়রা হয়ে যাব। আল্রাহ আমাকে দোযখের আগুন থেকে মুক্ত
করে দিবেন। (মাসনাদে আহমাদ,হাদিস-৮৮০৮, খ-৯ পৃষ্ঠা-১১)
হযরত আবু হুরায়রা আরও বর্ণনা করেন, রাসূল (সা) আমাদেরকে ভারতেরবিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার
ওয়াদা নিয়েছিলেন।আমি যদি এ অভিযান পেয়ে যাই আহলেআমি যেন আমার জান-মাল এতে ব্যয় করি। আর
যদি আমি এ যুদ্ধে নিহত হইতাহলে সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদরুপে পরিগনিত হব। আর যদি জীবিত
ফিরে আসি তাহলে আমিজাহান্নাম থেকে মুক্ত আবু হুরায়রা হয়ে যাব। (মাসনাদে আহমাদ,হাদিস-৭১২৮, খ-৬
পৃষ্ঠা-৫৩৩, সুনানে কুবরা, ইমাম নাসায়ী হাদিস ২/৪৩৮৩ খ-৩ পৃষ্ঠা-২৮)
আলোচ্য হাদিস সমূহে এন্টি ভারত মুসলিমের মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। অর্থাৎ যে মুসলিম ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই
করে নিহত হবে সে হবে শ্রেষ্ঠ শহীদ। আর যে মুসলিম লড়াই করে জীবিত ফিরে আসবে, সে হবে জাহান্নাম হতে মুক্ত
স্বাধীনমুসলিম। এ থেকে আরও প্রতিয়মান হয় যে, যদি কোন মুসলিম ভারতপন্থিদের হাতে নিহত হয় সেও শ্রেষ্ঠ
শহীদের মর্যাদা লাভ করবে। আর যদি কোন মুসলিম কোন ভারতপন্থির হাতে নির্যাতিত হবে, জখমী হবে তাহলে সেও
জাহান্নাম হতে মুক্তি লাভ করবে ইনশাআল্লাহ ।
উনি বলেছেন খোরাসান অঞ্ছল থেকে কলেমা সম্বলিত পতাকাবাহী এক দল এই যুদ্ধ শুরু করবে।
পূর্ব দিকে আমরাও ও পড়ি , একসময় খোরাসান আমাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলযা এখন নেই।
আল্লাহ্ আমাকে ও আমাদের যেন ওই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার তৌফিক দান করেন ।
আমীন। (সংগৃহীত)

No comments:

Post a Comment