DESHERPATRO

Tuesday, May 12, 2015

আল্লাহ সব গুনাহ ইচ্ছা কোরলে মাফ কোরতে পারে তবে শিরক ব্যতীত

আল্লাহ সব গুনাহ ইচ্ছা কোরলে মাফ কোরতে পারে তবে শিরক ব্যতীত

রসুল (স) বলেছেন-আল্লাহ বলছেন-যদি তুমি পৃথিবীর পরিমাণ গোনাহ নিয়ে আস তাহলে আমি তোমার কাছে সেই পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে আসবো- এর মধ্যে আল্লাহ কিন্তু হিসেবে বসাইলেন- আর তা হইলো এই "যদি তুমি শিরক করো তাহলে ক্ষমা নাই"

এখন কথা হলো তাহলে সেই ভয়াবহ শিরকটা কি? 

শিরক -মানে শরিক স্থাপন অর্থাৎ আল্লাহর অংশী স্থাপন করাকে বুঝায়।

সেইটার সাক্ষী স্বরুপ আমরা সবাই কিন্তু কলেমা বলি ভাই, আর সেইটা কি?- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ (স)অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন হুকুমদাতা, বিধানদাতা নেই(ইলাহ অর্থাৎ যার হুকুম শুনতে হবে,যার হুকুম শুনা হবে সেই ইলাহর স্থান দখল কোরে বসল) এবং মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত রসুল।অর্থাৎ মানবজাতির সত্য ও ন্যায়বান উত্তম আদর্শবান নেতা।


উপরের কলেমা অনুযায়ী আমরা কিন্তু স্বীকার করলাম যে আমরা ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্রীয় জীবনে অর্থাৎ জীবনের কোন অঙ্গনে আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্যটা মানিনা। আর ইলাহ স্বীকৃতি দেওয়ার সাথে সাথে সেই ব্যক্তি অন্যটা মানতে পারেনা। আর যদি কেউ দুনিয়াতে আল্লাহর টা মানেন এবং সেই সাথে ইবলিসের আইন মানে সমাজতন্ত্র রাজতন্ত্রে,গণতন্ত্র ইত্যাদি মানেন তাহলে সে দুই ইলাহর অর্থাৎ হুকুমদাতা দাড় করালো- কোরানে আল্লাহ সরাসরি ঘোষণা দিলেন - "তাহলে কি তোমরা এমন সিধান্ত নিয়েছো যে দুনিয়াতে আল্লাহরটা পাশাপাশি ইবলিসের আইন মানবে? তাহলে মনে রেখো তোমাদের ইহ ও পরকালে কঠিন শাস্তি আমি আল্লাহ রেখেছি(আল-কোরান)

তাহলে দেখুন আল্লাহর হুকুমের সাথে গণতন্ত্রের বলুন আর সমাজতন্ত্রই বলুন-এর হুকুমতের সাথে আল্লাহর হুকুমত এর মিশ্রিত হইলে কি মহা শিরক অর্থাৎ অংশী স্থাপন হলো না? আমরা যারা মুসলিম দাবীদার তারা কিন্তু অনেকেই মনে কোরেন যে শুধু মুর্তি পুজাই হলো শিরক। তাহলে আল্লাহর হুকুমত আল্লাহর দেওয়া কোরানিক ব্যবস্থাকে অমান্য কোরে অন্য সমাজতন্ত্র গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মানা কি শিরক নয়? কারন আল্লাহর হুকুম কে সমাজ রাষ্ট্রে কার্যকরী করার পর এটা মানলে সেটা হবে নেকী অর্থাৎ আল্লাহর এবাদত। আল্লাহর হুকুমত আইনের কাছে মাথা নত। শুধু কি সালাতই(নামাজই) আল্লাহর এবাদত?  সৃষ্টি জগতের আল্লাহর অন্য সৃষ্টির সবাই কিন্তু আল্লাহর এবাদত কোরে । তারা কি মসজিদে আসে? তা কিন্তু নয় এরা আল্লাহর হুকুমত কে ১০০% পালন কোরে, বাতাস দেখুন আল্লাহর হুকুম ব্যতীত অন্যটা করবে? ১০০ ঘন্টা কি বন্ধ থাকবে বাতাস তার নিজের হুকুম মতো? অবশ্যই তা করবে না।


তাহলে বুঝুন আল্লাহর সকল সৃষ্টি চলছে সুশৃঙ্খল ভাবে আল্লাহর হুকুমে কিন্তু আমরা মুসলিম সহ পুরা মানবজাতি চলছি কার হুকুমে?

প্রশ্ন এখানে একটাই হুকুমটা আল্লাহর?

না কার? সেই কার হলো মানবরচিত বিধান সমাজতন্ত্র রাজতন্ত্র,গণতন্ত্র ইত্যাদি কুফুরি ব্যবস্থা যা নাকি আব্রাহাম লিংকন সহ অন্য মানব মস্তিষ্কে ব্রেইন ওয়াশকারী আইনদাতা। মানুষের ব্যবস্থায় মানুষ আইনদাতা আর আল্লাহর ব্যবস্থায় সয়ং আল্লাহ আইনদাতা।  

সুরা ইউনুছ এর ৪০ নং আয়াতে দেখবেন যে আল্লাহ নিজেই বলছেন যে "ইনিন হুকমু ইন্না লিল্লাহ (অর্থাৎ হুকুম দেওয়া বিধান দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর)

অন্য কেউ দিলে আর সেটা কেউ মানলে সেটাই হলো শিরক।

কোরানের সুরা মায়েদার ৪৪;৪৫;৪৭ নং আয়াতে দেখিবেন যে আল্লাহর হুকুম - আল্লাহ যাহা কেতাবে নাযেল করেছেন তদনুযায়ী যাহারা বিচার ফায়সালা না করিবে তাহারা জালেম,ফাসেক,কাফের।


তাহলে দেখুন শিরক এর পথে হাটলে সালাহ  আদায়কারী (নামাজদারী) পর্যন্ত কিন্তু এই কাতারে পড়তে পারে। 

তাহলে একবার ভাবুন যে আজ আমরা মুসলিম জাতি সহ পুরা মানবজাতি আল্লাহর হুকুমত বাদ দিয়ে মানবরচিত (গণতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক ইত্যাদি ব্যবস্থা)ইবলিসের হুকুমত মেনে অন্য ইলাহ অর্থাৎ হুকুমদাতা দাড় করিয়ে কি রকম শিরকে নিমজ্জিত আছি।সেই সয়ং আল্লাহর হুকুম বিধান বাদ দিয়ে অন্যটা মানলেই তারা আর মোমেন মুসলিম থাকেনা হোয়ে যায় কাফের মোশরেক। আর আল্লাহ কি এই নামধারী মোসলেম জাতির কার্যত -কাফের মোশরেক দের,  সালাহ সওম হজ্জ যাকাত সহ হাজার এবাদত কবুল করছেন?


১৪০০ বছর আগে মক্কার মিল্লাতে ইব্রাহিমরা সালাহ করতো হজ্জ করতো খাতনা করতো,তাদের নাম আল্লাহর নামের সাথে মিলিয়ে রাখতো আব্দুল্লাহ।  কাজের আগে আল্লাহুম্মা রাব্বিকা বেএসমেকা বলতো(মানে বিসমিল্লাহ)  তাহলে তাদের কেন কোরানের ঘোষণা অনুযায়ী কাফের বলা হতো?  কারণ তারা আল্লাহর হুকুমত কে বাদ দিয়ে নিজেরা আইন হুকুমত রচনা কোরে লাত উজ্জা মানতের নামে চালিয়ে দিতো। অর্থাৎ যাহা শিরক।  আজ মুসলিম সহ পুরা মানবজাতি লাত উজ্জা মানতের যায়গায় সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র ইত্যাদি  বসিয়ে প্রতিনিয়ত বুলি(পুজা)  পাঠ কোরছি। তাহলে বলুন ১৪০০ বছর আগের কাফের মোশরেক দের সাথে আজকের মুসলিম জাতির পার্থক্য কোথায়?

তারা সরাসরি মুর্তির সামনে ঝুকে পুজা করেছে। আজ পুরা মানবজাতি মুর্তি বাদে অদৃশ্য মুর্তি অর্থাৎ গণতন্ত্রের, রাজতন্ত্রের, সমাজতন্ত্রের ইত্যাদি পুজা কোরছে।

আমি আর আপনি কি বাদ রয়েছি?


মোহাম্মদ হাবিব বেন আব্দুস ছোবান।

No comments:

Post a Comment