উলিল আমর আনুগত্য প্রসংগে।
সংক্ষেপে বলা যায়, রসূল করবেন আল্লাহর আনুগত্য, উলিল আমর করবেন আল্লাহর ও রাসূলের আনুগত্য আর রসূলের মৃত্যুর পর আল্লাহর আনুগত্য, সাধারণ মু’মিনগণ করবেন আল্লাহর, রাসূলের ও উলিল আমরের আনুগত্য আর রসূল যখন যেখানে থাকবেন না সেখানে বা রাসূলের মৃত্যুর পর আল্লাহর ও উলিল আমরের আনুগত্য। কারণ, রসূল উলিল আমরের আনুগত্য করতে পারেন না, উলিল আমর আল্লাহ ও রাসূলের ছাড়া ‘গায়রে উলিল আমরের’ তথা সাধারণ মু’মিনদের আনুগত্য করতে পারেন না, যেহেতু তা আল্লাহর আদেশের বিপরীত। আবার, যেখানে রসূল উপস্থিত সেখানে উলিল আমরের আনুগত্য চলতে পারে না বরং উলিল আমর রসূলের উপস্থিতিতে আদেশ দেবারই অধিকার রাখে না। রসূলের জীবিতকালেও যেখানে রসূল স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি সেখানেই উলিল আমরের ও তাদের আনুগত্যের প্রয়োজন ছিলো। আর রসূলের মৃত্যুর পর উলিল আমরই কুরআনের নির্বাহী দায়িত্বের আমানাতদার। মহান আল্লাহ তাঁর মনোনীত দ্বীন ইসলামের অনুসারী মুসলিম উম্মাহকে একই রজ্জুতে বেঁধে রাখার জন্য এবং তিনি রব, মালিক ও ইলাহ হিসাবে তাঁর ভূমিকা রাখার জন্য একমাত্র আল কুরআনকে সংবিধান, নবী রসূলকে এবং নবী রসূলের মৃত্যুর পর উলিল আমরকে সরকার এবং মাসজিদুল হারামকে রাজধানী হিসাবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। চূড়ান্ত কথা হলো, বর্তমানে আল কুরআন ছাড়া অন্য গ্রন্থকে দ্বীনের দলীল বা সংবিধান হিসাবে বিশ্বাস ও স্বীকার বা অনুসরণ করা যাবে না, উলিল আমর ছাড়া আর কাউকে সরকার হিসাবে স্বীকার করা যাবে না এবং মাসজিদুল হারাম ছাড়া অন্য কিছুকে রাজধানী হিসাবে স্বীকার করা যাবে না। অবশ্য ইউনিটভিত্তিক মাসজিদসমূহ হবে মুসলিম উম্মাহর উপরাজধানী এবং উলিল আমরের বাড়িতেই উপরাজধানী হবে বা উলিল আমরকে উপরাজধানীর সীমানায় বাড়ি করতে হবে (১০:৮৭)।
হেদায়াহ এবং তাকওয়া দীনুল এসলামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্বন্ধে বর্তমানে আমাদের আকিদা যেমন বিকৃত ও ভুল, তেমনি তাক্ওয়া ও হেদায়াহ সম্বন্ধেও আমাদের ধারণা ভুল। কোন দুষ্ট প্রকৃতির গোনাহগার লোককে যদি উপদেশ দিয়ে মদ খাওয়া ছাড়ানো যায়, চুরি-ডাকাতি ছাড়ানো যায়, তাকে মুসল্লী বানানো যায়, সওম রাখানো যায় তবে আমরা বলি- লোকটা হেদায়াত হোয়েছে। ভুল বলি। কারণ আসলে সে হেদায়াত হয় নি, মুত্তাকী হোয়েছে। তাক্ওয়া এবং হেদায়াহ দু’টি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।
Wednesday, January 15, 2014
উলিল আমর আনুগত্য প্রসংগে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment