DESHERPATRO

Thursday, January 16, 2014

শবে বরাত বেদাত, শবে-এ-কদর ই হলো উত্তম রাত।

শবে বরাত বেদাত
সাবান রাসুল বেশি গুরুত্ত দিয়েছেন ভাল। আপনিও দেন।  তাইলে ওই সাবানে ফজিলত এগুলো কই পাইলেন?

এখন রাহমানুর রাহিম কি বোলেন?
প্রথম প্রশ্নঃ এ রাত্রি কি ভাগ্য রজনী?উত্তরঃ না, এ রাত্রি ভাগ্য রজনী নয়, মূলতঃ এ রাত্রিকে ভাগ্যরজনী বলার পেছনে কাজ করছে সূরা আদ-দুখানের ৩ ও ৪ আয়াত দু’টির ভূলব্যাখ্যা। তা হলোঃﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨْﺬِﺭِﻳﻦَ, ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ . ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺪﺧﺎﻥ : 4-3“অবশ্যই আমরা তা (কোরআন) এক মুবারক রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি,অবশ্যই আমরা সতর্ককারী, এ রাত্রিতে যাবতীয় প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়স্থিরীকৃত হয়”। (সূরা দূখান: ৩-৪)এ আয়াতদ্বয়ের তাফসীরে অধিকাংশ মুফাসসির বলেনঃ এ আয়াতদ্বারা রমযানের লাইলাতুল ক্বাদরকেই বুঝানো হয়েছে। যে লাইলাতুলকাদরের চারটি নাম রয়েছে: ১. লাইলাতুল কাদর, ২. লাইলাতুল বারা’আত,৩. লাইলাতুচ্ছফ, ৪.লাইলাতুল মুবারাকাহ। শুধুমাত্রইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন,এ আয়াত দ্বারা শা’বানের মধ্যরাত্রিকে বুঝানো হয়েছে।এটা একটি অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা।আল্লামা ইবনে কাসীর (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আলোচ্যআয়াতে ‘মুবারক রাত্রি’ বলতে ‘লাইলাতুল ক্বাদর বুঝানো হয়েছে, যেমনআল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟْﻘَﺪْﺭِ – ﺳﻮﺭﺓﺍﻟﻘﺪﺭ 1:আমরা এ কোরআনকে ক্বাদরের রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা আল-কাদরঃ১)।আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেনঃﺷَﻬْﺮُ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃُﻧْﺰِﻝَ ﻓِﻴﻪِ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥُ - ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ 185:রমযান এমন একটি মাস যাতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে।(সূরা আলবাকারাহঃ১৮৫)।যিনি এ রাত্রিকে শা‘বানের মধ্যবর্তী রাত বলে মত প্রকাশ করেছেন,যেমনটি ইকরিমা থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি অনেক দূরবর্তী মত গ্রহণকরেছেন; কেননা কোরআনের সুস্পষ্ট বাণী তা রমযানমাসে বলে ঘোষণা দিয়েছে’। (তাফসীরে ইবনে কাসীর (৪/১৩৭)।অনুরূপভাবে আল্লামা শাওকানীও এই মত প্রকাশ করেছেন।(তাফসীরে ফাতহুল ক্বাদীর (৪/৭০৯)।সুতরাং ভাগ্য রজনী হলো লাইলাতুল ক্বাদর যা রমযানের শেষ দশদিনেরবেজোড় রাত্রিগুলো।আর এতে করে এও সাব্যস্ত হলো যে, এ আয়াতেরতাফসীরে ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) মতভেদ করলেওতিনি শা’বানের মধ্য তারিখের রাত্রিকে লাইলাতুল বারা’আতনামকরণ করেননি।

No comments:

Post a Comment