DESHERPATRO

Thursday, January 16, 2014

মহানবীর (দঃ) ওফাতের ৬০/৭০ বছর পর দীনে বিকৃতি

মহানবীর (দঃ) ওফাতের ৬০/৭০ বছর পর
থেকে প্রধানতঃ দীনে কি কি বিকৃতি প্রবেশ কোরে এই
সর্বশ্রেষ্ঠ জাতিকে নিকৃষ্টতম জাতিতে পরিণত
করলো তা একটা একটা কোরে উপস্থিত কোরছি। কিন্তু
সর্বক্ষণ মনে রাখতে হবে যে, সমস্ত বিকৃতির আসল মূল হলো
উদ্দেশ্যচ্যুতি, লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া, আকীদা বদলে যাওয়া।
যতদিন এই উম্মাহর সামনের উদ্দেশ্য লক্ষ্য ঠিক
ছিলো ততদিন তারা একাগ্র লক্ষ্যে (হানিফ)
সামনে এগিয়ে গেছে। ছোটখাট কোন কিছুই তাদের
দৃষ্টি ঘোরাতে পারেনি। কিন্তু যখন লক্ষ্য
হারিয়ে গেলো তখন চলাও থেমে গেলো, চারদিকের
নানা কিছু তখন চোখে পড়লো এবং তাই নিয়ে তারা মশগুল
হোয়ে গেলেন, মহা কর্তব্য ভুলে গেলেন এবং ফলে বিভিন্ন
বিকৃতি ঢুকে তাদের ধ্বংস কোরে দিলো।
প্রথম বিকৃতিঃ অতি বিশ্লেষণ, দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি ।
পূর্ববর্তী প্রত্যেক নবী দুনিয়া থেকে বিদায় নেবার পর
তাদের জাতির যার যার দ্বীনকে নিয়ে সেটার ব্যাখ্যা,
অতি ব্যাখ্যা, আরও অতি ব্যাখ্যা কোরতে শুরু কোরেছে।
যার ফলে ঐ বিভিন্ন ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি কোরে বিভিন্ন
মতামত গড়ে উঠেছে। দ্বীনের আসল উদ্দেশ্য, তার
মর্মবাণী ভুলে যেয়ে ছোটখান বিভিন্ন ব্যবস্থা,
ফতওয়া নিয়ে মতান্তর শুরু
হোয়ে গেছে এবং কালে বহুভাগে ভাগ হোয়ে জাতিগুলির
ঐক্য নষ্ট হোয়ে জাতি ধ্বংস হোয়ে গেছে। এর যেন
পুনঃসংগঠন এই শেষ দ্বীনেরও না হয় সেজন্য আল্লাহ(Allah)
সাবধান কোরে দিলেন এই বোলে যে, দ্বীন
নিয়ে বাড়াবাড়ি করোনা(কোরান- সূরা আন-নিসা- ১৭১,
সূরা আল-মায়েদা- ৭৭)। দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি করার এই
নিষেধের অর্থ কি? এর মানে কি এই যে, খুব ধার্মিক
হয়োনা বা দ্বীনকে ভালোভাবে অনুসরণ কোরোনা,
বা বেশী ভাল মুসলিম(Muslim) হবার চেষ্টা করোনা?
অবশ্যই তা হোতে পারে না। এই বাড়াবাড়ির অর্থ , ঐ অতি
বিশ্লেষণ, জীবন বিধানের আদেশ নিষেধগুলিকে নিয়ে
সেগুলোর সুক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিশ্লেষণ। যদি জাতির সম্মুখ
থেকে তাদের লক্ষ্যস্থল, গন্তব্যস্থল, উদ্দেশ্য অদৃশ্য না
হোয়ে যেতো তবে তারা আগের মতই এক দেহ এক প্রাণ
হোয়ে তাদের লক্ষ্য অর্জন করার জন্য আপ্রাণ সংগ্রাম
চালিয়ে যেতেন। দুর্ভাগ্যক্রমে তা হয়নি ।

No comments:

Post a Comment