DESHERPATRO

Friday, January 10, 2014

হেদায়াহ কারা পাবে?

হেদায়াহ কারা পাবে?

রবিবার, অক্টোবর 27, 2013(দেশেরপত্র)

মোহাম্মদ জাকারিয়া হাবিব:

আল্লাহ যাদেরকে হেদায়াহ দান করেন শুধুমাত্র তারাই হেদায়াহ লাভ করে। এই হেদায়াহ নবীদের হাতে পর্যন্ত ছিল না। তাঁরা শুধুমাত্র সুস্পষ্টভাবে আল্লাহর তওহীদের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেন (ইয়াসিন- ১৭ )। মহান আল্লাহ যাদেরকে দয়া কোরে, মেহেরবানী কোরে হেদায়াহ দান করেন শুধুমাত্র তারাই হেদায়াহ লাভ করে। হেদায়াহ হোচ্ছে সঠিক পথ, সেরাতুল মোস্তাকীম, দীনুল কাইয়্যেমা। বর্তমানে হেদায়াহ সম্পর্কে ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। যেমন একজন লোক যদি কিছুদিন চুরি, মদপান ছেড়ে দেয় তাহলে আমরা বোলি লোকটি হেদায়াহ লাভ কোরেছে। আসলে তা নয়, এখানে লোকটি তাকওয়া অর্জন কোরেছে। তাকওয়া হোচ্ছে সাবধানে পথ চলা। ঐ লোকটি এখন তাকওয়ার সাথে চোলছে। হেদায়াহ অর্থাৎ তওহীদ কারা লাভ কোরবে এই ব্যাপারে আল্লাহ তাঁর কোর’আনে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত কোরেছেন। আল্লাহ বোলছেন, ‘যাহারা মনোযোগ সহকারে কথা শুনে এবং উহার মধ্যে যাহা উত্তম তাহা গ্রহণ করে। উহাদিগকে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং উহারাই বোধশক্তি সম্পন্ন’ (যুমার-১৮)। তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে হেদায়াহ অর্থাৎ তওহীদ পাওয়ার দুইটি শর্ত। প্রথমত: মনোযোগ সহকারে শোনা এবং দ্বিতীয়ত: উত্তম যা তা গ্রহণ করা। যারা এই কাজ কোরবে তাদেরকেই আল্লাহ হেদায়াহ দান করেন এবং আল্লাহর চোখে তারাই জ্ঞানী। আজ বর্তমানে আমরা যে এসলাম পৃথিবীতে দেখছি সেটি আর চৌদ্দশ’ বছর আগে আল্লাহর রসুল যে এসলাম পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন- এ দুটি এক নয়। দুটি সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী এসলাম। মহান আল্লাহ দয়া কোরে তাঁর এক বান্দা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার বিখ্যাত করটিয়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণকারী যামানার এমাম, এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীকে হারিয়ে যাওয়া সেই প্রকৃত এসলামকে আবার বুঝিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহর রহমে তিনি বুঝলেন, যে জাতির সামনে পৃথিবীর তৎকালীন দু’টি পরাশক্তি রোমান ও পারস্য ধূলার মত উড়ে গেল সেই জাতি আজ কি কারণে অন্য জাতির গোলাম। তিনি মোসলেম নামধারী এই জনসংখ্যাকে বোললেন, তোমরা কলেমাতে নেই, কলেমাতে না থাকার কারণে তোমরা কাফের-মোশরেক হোয়ে গেছো।

তোমাদের আজকে এত অশান্তি, এত দুর্দশা। তোমরা কলেমার যে অর্থ কোরছো তা সম্পূর্ণরূপে ভুল। তোমরা অর্থ কোরছো, আল্লাহ ছাড়া মাবুদ নাই অথচ কলেমার সঠিক অর্থ হোচ্ছে আল্লাহ ছাড়া হুকুমদাতা নাই। কলেমার ভুল অর্থ করার কারণে এই জনসংখ্যা ব্যক্তিগতভাবে নামাজ, রোজা, হজ্ব প্রভৃতি পালন কোরে আল্লাহকে শুধুমাত্র মাবুদ অর্থাৎ উপাস্য হিসেবে মানছে আর তাদের জাতীয় জীবনে আল্লাহর দেওয়া অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, আইন-কানুন, দণ্ডবিধি প্রভৃতি বাদ দিয়ে ইহুদি-খ্রিস্টান সভ্যতার অর্থাৎ দাজ্জালের তৈরি সিস্টেম অনুসরণ কোরছে। ফলশ্র“তিতে অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, মারামারি, খুন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি এক কথায় অশান্তি চলছে। হেযবুত তওহীদ অর্থাৎ যামানার এমামের অনুসারীরা ১৮ বছর যাবৎ মানুষকে আল্লাহর তওহীদের অর্থাৎ সার্বভৌমত্বের বালাগ দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সামান্য সংখ্যক ছাড়া বাকী সবাই কর্ণপাত কোরছে না, মনোযোগ সহকারে শুনছে না, যেটি উত্তম সেটি গ্রহণ কোরছে না। ফলে নিয়মানুযায়ী আল্লাহ তাদেরকে হেদায়াহ দান কোরছে না। এই জাতির জন্য দুর্ভাগ্য তারা প্রকৃত এসলামের আহ্বান পাওয়া সত্ত্বেও অবহেলা কোরছে, গাফেলতি কোরছে, হীরা ফেলে কাচ আঁকড়ে ধোরে আছে। আল্লাহর শেষ রসুল, বিশ্বনবী, আখেরী নবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ) ১৪০০ শ’ বছর আগে যখন আল্লাহর সার্বভৌমত্বের আহ্বান অর্থাৎ ‘লা এলাহা এল্লাল্লাহ’র অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া হুকুমদাতা নেই’ ঘোষণা দিলেন তখন অল্প সংখ্যক লোকই আল্লাহর সর্বব্যাপি তওহীদকে মেনে নিয়েছিল। যদিও ঐ সমাজের লোকেরা আল্লাহকে তেমনই বিশ্বাস কোরত যেমন বর্তমানে মোসলেম নামধারী জনসংখ্যা বিশ্বাস করে। তারা যেমন তাদের জাতীয় জীবন আল্লাহর বিধান দিয়ে পরিচালিত কোরত না ঠিক আজ যেমন মোসলেম নামধারী জনসংখ্যাও করে না। নবী (দঃ) যখন তাদের কাছে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের কথা বোললেন তখনকার লোকেরা তর্ক জুড়ে দিত, তারা এমন মনোভাব প্রকাশ কোরতো মনে হয় দীন সম্পর্কে তারা আল্লাহ থেকে বেশি জানে। তাদের এ বিষয়টি আল্লাহ কোর’আনে বর্ণনা কোরছেন, ‘তোমরা কি তোমাদের দীন সম্পর্কে আল্লাহকে অবহিত কোরছ? অথচ আল্লাহ জানেন যা কিছু আছে আকাশমণ্ডলীতে এবং যাহা কিছু আছে পৃথিবীতে। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত (হুজরাত-১৬)।’আবার রসুলাল্লাহ যখন মক্কার লোকদের আল্লাহর তওহীদের আহ্বান কোরলেন তখন মক্কার লোকেরা বোলতে লাগলো, আমাদের বাপ-দাদারা যা পালন কোরেছে আমরা তাই পালন কোরছি নতুন কোরে তুমি আবার কি বোলছ? এ বিষয়টি আল্লাহ কোর’আনে এভাবে বর্ণনা কোরেছেন, যখন তাহাদিগকে বলা হয়, ‘আল্লাহ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা তোমরা অনুসরণ কর,’ তাহারা বলে, ‘না, বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদিগকে যাহাতে পাইয়াছি তাহার অনুসরণ করিব।’ এমনকি তাহাদের পিতৃপুরুষগণ যদিও কিছুই বুঝিত না এবং তাহারা সৎপথেও পরিচালিত ছিল না, তথাপিও? (বাকারা-১৭০)।

আজ পথভ্রষ্ট এই জনসংখ্যাকে হেযবুত তওহীদ আল্লাহর সর্বব্যাপী তওহীদের, সার্বভৌমত্বের দিকে আহ্বান জানাচ্ছে, এই জনসংখ্যা অনুরূপ কথাই বোলছে যে, তাদের বাপ-দাদারা যেভাবে ধর্ম পালন কোরেছে তারা সেভাবেই পালন কোরছে। হেদায়াহ পাওয়ার আরেকটি দিক-নির্দেশনা আল্লাহ দিয়েছেন সুরা ইয়াসীনের ২১ নং আয়াতে। আল্লাহ বোলছেন, ‘অনুসরণ কর তাহাদের, যাহারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাহে না এবং যাহারা সৎপথপ্রাপ্ত।’ অথচ আজ আমরা কি দেখছি? মাদ্রাসা-শিক্ষিত আলেম-মোল্লা শ্রেণি যারা নামাজ পড়িয়ে, ওয়াজ কোরে ধর্মকে জীবিকার বাহন হিসাবে গ্রহণ কোরেছে, এই পথভ্রষ্ট জনসংখ্যা তাদেরকেই অনুসরণ কোরে যাচ্ছে। আল্লাহর হেদায়াতপ্রাপ্ত আন্দোলন হেযবুত তওহীদ মানবজাতিকে আল্লাহর প্রকৃত তওহীদের দিকে আহ্বান কোরছে, বিনিময় তারা কিছু চাচ্ছে না। অথচ এই পথহারা জনসংখ্যা হেযবুত তওহীদের বিরোধিতা কোরছে ঠিক যেমন মক্কার কাফের-মোশরেকরা শেষ নবী মোহাম্মদ (দঃ) কে বিরোধিতা কোরেছিল। অনেকের মনে প্রশ্ন উদয় হোতে পারে হেযবুত তওহীদ আল্লাহর মনোনীত কিভাবে? ২০০৮ সনের ফেব্র“য়ারী মাসের ২ তারিখে এক মহান মো’জেজার মাধ্যমে আল্লাহ হেযবুত তওহীদকে তাঁর আন্দোলন হিসেবে মনোনীত করেন।

সেদিন মহান আল্লাহ যামানার এমাম, এমামুয্যামান, হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর পবিত্র মুখ দিয়ে ঘোষণা দেন, হেযবুত তওহীদ হক বা সত্য, হেযবুত তওহীদের এমাম আল্লাহর মনোনীত এবং হেযবুত তওহীদ দিয়ে সারা পৃথিবীতে আল্লাহর সত্যদীন প্রতিষ্ঠিত হবে। (সেদিনের মো’জেজা সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে ‘আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা’ বইটি পড়–ন)। পরিশেষে হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে এই পথহারা জনসংখ্যাকে এই আহ্বানই কোরছে, তারা যেন কায়েমনোবাক্যে আত্মা দিয়ে সর্বশক্তিমান, অসীম দয়ালু আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে হেদায়েতের জন্য আকুলপ্রাণ হয়, দয়াময় আল্লাহ হয়তো বা তাদেরকে হেদায়াহ অর্থাৎ তওহীদ দান কোরতে পারেন। হেদায়াহ অর্থাৎ তওহীদ লাভ করা জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই হেদায়াহ লাভ পৃথিবীতে যেমন তাদের শান্তি দিবে তেমনি পরকালেও তাদের মুক্তি দিবে।

[যোগাযোগ: হেযবুত তওহীদ, ০১৬৭০১৭৪৬৪৩, ০১৭১১০০৫০২৫, ০১৯৩৩৭৬৭৭২৫, ০১৮৫৩৯৯৩২২২, ০১১৯১৩৬৭১১০, ০১৭৮২১৮৮২৩৭, ০১৫৫৯৩৫৮৬৪৭]

লেখক সম্পর্কে

sharif_ht@yahoo.com

See more at: http://desherpatro.com/2013/10/27/%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87/#sthash.Centap29.dpuf

No comments:

Post a Comment