কুরআনের আহ্বান কি?
“দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহ
গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন
যারা গোমরাহকারী ‘তাগুত’দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস
করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জা
“হে মানবজাতি! তোমাদের পালনকর্তার যথার্থ বাণী নিয়ে তোমাদের
তোমরা তা মেনে নাও যাতে তোমাদের কল্যাণ হতে পারে। আর যদি তো
জেনে রাখ আসমানসমূহে ও জমিনে যা কিছু রয়েছে সে সবকিছুই আল্লাহর
সর্বজ্ঞ, প্রাজ্ঞ।” (৪:১৭০)
“আর যেসব লোক সুদৃঢ়ভাবে কিতাবকে আঁকড়ে থাকে এবং নামায প্রতিষ্ঠ
আমি বিনষ্ট করব না সৎকর্মীদের সওয়াব।” (৭:১৭০)
“এবং এটা একটা বরকতময় উপদেশ, যা আমি নাযিল করেছি। এরপরেও তোমর
করছো?” (২১:৫০)
“এটা উপদেশ। অতএব, যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার দিকে পথ অবলম্বন ক
"কখনও না, এটা তো উপদেশ মাত্র।
অতএব, যার ইচ্ছা, সে এর প্রতি মনোযোগী হোক।” (৭৪:৫৪-৫৫; ৮০:১১-১২; ১
হেদায়াহ এবং তাকওয়া দীনুল এসলামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্বন্ধে বর্তমানে আমাদের আকিদা যেমন বিকৃত ও ভুল, তেমনি তাক্ওয়া ও হেদায়াহ সম্বন্ধেও আমাদের ধারণা ভুল। কোন দুষ্ট প্রকৃতির গোনাহগার লোককে যদি উপদেশ দিয়ে মদ খাওয়া ছাড়ানো যায়, চুরি-ডাকাতি ছাড়ানো যায়, তাকে মুসল্লী বানানো যায়, সওম রাখানো যায় তবে আমরা বলি- লোকটা হেদায়াত হোয়েছে। ভুল বলি। কারণ আসলে সে হেদায়াত হয় নি, মুত্তাকী হোয়েছে। তাক্ওয়া এবং হেদায়াহ দু’টি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।
Thursday, January 16, 2014
কুরআনের আহ্বান কি?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment