কেয়ামতের আলামত অলৌকিক পশুর আবির্ভাব।
====♥===♥====♥===♥====♥===
কিয়ামাতের একটি অন্যতম আলামত হচ্ছে শেষ যুগে একটি অলৌকিক পশুর
আবির্ভাব। যা ক্বুর‘আন হাদীস কর্তৃক প্রমাণিত।
○► ক্বুর‘আনের প্রমাণঃ
► মহান আল্লাহ্ বলেন,
“যখন তাদের উপর ঘোষিত শাস্তি এসে যাবে তথা কিয়ামাত
ঘনিয়ে আসবে তখন আমি [আলামাত স্বরূপ] তাদের জন্য জমিন
থেকে একটি পশু বের করবো। যা তাদের সাথে এ কথা বলবে যে, মানুষ
আমার [আল্লাহ্’র] নিদর্শনে অবিশ্বাসী।”
(আন-নামাল, আয়াত ৮২)
উক্ত আয়াতে সরাসরি পশুটির কথা উল্লিখিত হয়েছে এবং পশুটি তখনই
বের হবে যখন মানুষ আল্লাহ্ তা‘আলার সকল বিধি-বিধান ছেড়ে বসবে।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ঘোষিত
শাস্তি এসে যাওয়া মানে আলিমগণের মৃত্যু, জ্ঞানের বিলোপ
এবং ক্বুর‘আন উঠে যাওয়া। অতএব তোমরা ক্বুর‘আন মাজীদ
বেশী বেশী তিলাওয়াত করো তা উঠিয়ে নেয়ার আগে-ভাগেই।
(ক্বুরতুবী ১৩/২৩৪)
○► হাদীসের প্রমাণঃ
রসূল (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসল্লাম) বলেছেনঃ
তিনটি বস্তু যে দিন বের হয়ে আসবে সেদিন কারোর ঈমান তাঁর কোন
ফায়দায় আসবে না যদি সে ইতিপূর্বে ঈমান না এনে থাকে অথবা ঈমান
আনার পর কোন নেক ‘আমাল সম্পাদন করে না থাকেঃ পশ্চিম দিক সূর্য
উঠা, দাজ্জাল ও জমিন থেকে বের হওয়া একটি বিশেষ পশু।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৮)
► আব্দুল্লাহ বিন ‘আমর (রা) বলেনঃ
আমি রসূল (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসল্লাম)
কে বলতে শুনেছি কিয়ামাতের সর্ব প্রথম নিদর্শন হচ্ছে পশ্চিম দিক
থেকে সূর্য উঠা এবং এক উত্তপ্ত সকালে মানব জনপদে একটি বিশেষ পশুর
বের হওয়া। দু’টোর যেটিই আগে বের হোক না কেন অপরটি তাঁর
পিছে পিছেই বের হবে।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৯৪১)
○► পশুটির ধরনঃ
পশুটির ধরন নিয়ে ‘আলিমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে।
আল্লামাহ্ ক্বুরতুবী বলেনঃ “এ সম্পর্কে সর্ব প্রথম
কথা হলোঃ পশুটি সালিহ (আ) এর উটের বংশধর এবং এটিই সঠিক
মন্তব্য।”
○► পশুটি বের হওয়ার স্থানঃ
পশুটির বের হওয়ার স্থান নিয়ে ‘আলিমদের মাঝে কিছু মতভেদ
রয়েছে যা নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ
১) পশুটি মক্কার সর্ব বৃহৎ মাসজিদ থেকে বের হবে। হুযাইফা (রা) বলেন,
“পশুটি বের হবে সর্ব বৃহৎ মাসজিদ থেকে। তা হঠাৎ মাটি ফেটে বের
হবে।
(মাজ্মা‘উয-যাওয়ায়িদ, ৮/৭-৮)
২) পশুটি তিনবার বের হবে। একবার কোন এক মরু এলাকায় বের হয়ে আবার
লুকিয়ে যাবে। অতঃপর কোন এক জন বসতিতে বের হবে। সর্ব শেষ
মাসজিদুল হারামে বের হবে।
○► পশুটি যা করবেঃ
পশুটি বের হয়ে মু’মিন ও কাফিরদের দাগ লাগিয়ে দিবে। মু’মিনের
চেহারা মূসা (আ) লাঠি দিয়ে [কপালের দিক থেকে] সাদা করে দিবে।
অতঃপর তা চকমক করতে থাকবে। আর এটিই হচ্ছে তাঁর ঈমানের পরিচায়ক।
অন্য দিকে কাফিরের নাকে সুলাইমান (আ) আংটি দিয়ে দাগ
দিবে যা হবে কুফরির আলামত।
সে মানুষের সাথে কথা বলবে। যা নিম্নোক্ত আয়াতই প্রমাণ করে।
► মহান আল্লাহ্ বলেন,
“ যখন তাদের উপর ঘোষিত শাস্তি এসে যাবে তথা কিয়ামাত
ঘনিয়ে আসবে তখন আমি [আলামত স্বরূপ] তাদের জন্য জমিন
থেকে একটি পশু বের করবো। যা তাদের সাথে এ কথা বলবে যে, মানুষ
আমার [আল্লাহ’র] নিদর্শনে অবিশ্বাসী।
(আন-নামাল, আয়াত ৮২)
No comments:
Post a Comment