DESHERPATRO

Wednesday, January 15, 2014

সুন্নাত মানে কি?

সুন্নাত মানে কি?
দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে।*

সুন্নাত :ফরজ আল্লাহর এবং সুন্নাত রসূলের এ বিভক্তি আদৌ সঠিক নয়। ‘রাসূল যা করতে বলেছেন,যা নিজে করেছেন এবং যা করাকে সর্মথন দিয়েছেন উহাই সুন্নাত’ সুন্নাতের এই সংজ্ঞা কুরআনের আলোকে আদৌ সঠিক নয়।সুন্নাত শব্দটি একবচনে সুন্নাত ও বহুবচনে সুনানুন হিসাবে আল-কুরআনে ১১ টি আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে (৩:১৩৭, ৪:২৬, ৮:৩৮, ১৫:১৩, ১৭:৭৭, ১৮:৫৫, ৩৩:৩৮, ৩৩:৬২, ৩৫:৪৩, ৪০:২৩)। আল-কুরআনের কোথাও ‘সুন্নাতে রসূলুল্লাহ’ শব্দ ব্যবহৃত হয়নি।অতএব,দ্বীনের ক্ষেত্রে রসূলের কোন সুন্নাত হতে পারে না।আল-কুরআনে ‘সুন্নাতাল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর সুন্নাত’ শব্দের মাধ্যমে দ্বীনের ক্ষেত্রে সুন্নাত কেবল আল্লাহর জন্যই নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ‘সুন্নাতুল আওয়ালীন’ বলতে বুঝায় কুরআন নাযিলের আগের লোকদের ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্ধারিত সুন্নাত বা নীতি যা অবলম্বনে তিনি তাদেরকে শাস্তি দিয়েছিলেন তা বুঝায়। ৪:২৬ আয়াতে ‘পূর্ববর্তীদের অনুসৃত সুন্নাতকে হিদায়াত করা’ বলতে বুঝায় পূর্ববর্তীরা আল্লাহর যেসব সুন্নাত/বাধি-বিধান অনুসরণ করেছেন আল-কুরআনের মাধ্যমে উহার প্রতি হিদায়াত করা।আর ৩৩:৬০-৬২ আয়াতে যারা গুজব ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তাদের শাস্তি উল্লেখ করার পর বলা হয়েছে পূর্ববর্তীতে যারা অনুরূপ কাজ করেছিলো তাদের জন্যও ইহাই ছিল সুন্নাত/দন্ডবিধি।সুন্নাত নামাজ নামে রসূলের জন্য কোন নামাজ/সালাত পড়া যেতে পারে না।কারণ,দ্বীনের যাবতীয় সালাত ও নুসুক/উপাসনা অনুষ্ঠান একমাত্র আল্লাহর জন্য হতে হবে (দেখুন ৬:১৬২)।নবীর জীবদ্দশায় নবীর চলাফেরা,উঠাবসা,খাওয়া-দাওয়া,আচার-ব্যবহার ও পোশাক-পরিচ্ছদ তৎকালীন প্রযুক্তি ও হাতিয়ারের উপর নির্ভরশীল ছিলো বর্তমানে যেসব প্রযুক্তি ও হাতিয়ারের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে।তাছাড়া নবীর নিজের শরীরের ফেতরাত (স্বভাব-ধর্ম) অনুসারে যা কিছু করেছেন তাকে নবীর সুন্নাত আখ্যা দিয়ে অন্যের উপর বিধান হিসাবে চাপিয়ে দেয়া যেতে পারে না।তাই বর্তমানে আরবদেশীয় আলখেল্লা,মাটির বাসনে খাওয়া,জয়তুনের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করা,খেজুর দিয়ে ইফতার করা,যাতা দিয়ে গম ভাঙ্গা,মরুর হাওয়া থেকে রক্ষা পাবার জন্য পরিধানকৃত পাগড়ী সর্বত্র পরা,তীর-ধনুক-তলোয়ার আর ঘোড়া দিয়ে যুদ্ধ করা,ডান কাতে ঘুমানো,খাবার পরে মিষ্টি খাওয়া,এক মুষ্ঠি দাড়ি রাখা ইত্যাদি কথিত জীবনধারাকে নবীর সুন্নাত বলে চালিয়ে দেওয়া আদৌ গোহণযোগ্য নয় এবং নবীর সুন্নাতের ওজুহাতে হাদীসকে দ্বীনের দলীল হিসাবে গ্রহণ করার কোন অবকাশ নেই।বাংলায় কুরআন পড়ুন তাহলেই কথাগুলো বুঝতে সক্ষম হবেন

No comments:

Post a Comment