অচিরেই এই জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব -হেযবুত তওহীদ [দেশেরপত্র ]
-এ যামানার এমাম এমামুয্যামান (The Leader of the time) জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী।
বর্তমানে আমাদের দেশসহ সারা পৃথিবীতে চলমান সংকটের সমাধান একমাত্র আমাদের কাছেই আছে”- কথাটা শুনতে অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, বিশ্বাস নাও করতে পারেন। কিন্তু যতই অবিশ্বাস্য মনে হোক সত্য এটাই যে, আলহামদুলিল্লাহ, চলমান সংকটের সমাধান মহান আল্লাহ আমাদেরকেই দিয়েছেন। এই সংকট থেকে কিভাবে মানবজাতি বাঁচতে পারবে, কিভাবে উদ্ধার পাবে দেশ, সমাজ, মানবতা, সে সমাধান আল্লাহ আমাদেরকে দিয়েছেন। এই কথাগুলি বোলেছেন হেযবুত তওহীদের আমীর মোহাম্মদ মসীহ উর রহমান। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন,“আজকে আমাদের দেশসহ সমস্ত দুনিয়াময় ভয়াবহ সংকট চলছে, রাজনৈতিক হানাহানি, অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক অস্থিরতা, সর্বস্তরে প্রতারণা ও দুর্নীতি, ধর্মীয় দেউলিয়াপনা ইত্যাদি সব মিলিয়ে মানুষ আজ চরম অশান্তির মধ্যে বাস কোরছে। এই সমস্ত রকম অন্যায় থেকে, অবিচার থেকে বাঁচার জন্য পথ খুঁজছে, এজন্য মানুষ একটার পর একটা বিভিন্ন পথ অবলম্বন কোরে যাচ্ছে কিন্তু শান্তি তো পাচ্ছেই না বরং দিন দিন পরিস্থিতি জটিল ও ভয়াবহ আকার ধারন কোরছে। হেযবুত তওহীদ এই কথাটাই বিভিন্নভাবে বলে যাচ্ছে। হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে কিছু সত্য ও সঠিক ধারণা পেলে আপনারা বুঝতে পারবেন এনশা’আল্লাহ একমাত্র হেযবুত তওহীদই পারবে মানবজাতিকে শান্তি দিতে। আমি এখানে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় তুলে ধোরছি।আন্দোলনের কর্মসূচি হিসাবে আমাদের দেশে মানুষের ক্ষতি করা, পথরোধ করা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে হামলা করা, হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও পিকেটিং ইত্যাদি বর্তমান রাজনীতিতে চালু থাকলেও হেযবুত তওহীদ তার জন্মলগ্ন থেকে ১৮ বছর যাবৎ কারো কোন ক্ষতি না কোরে, কারো পথরোধ না কোরে, হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদি কোন ধ্বংসাত্মক কাজ না কোরে, মানুষকে একটুও কষ্ট না দিয়ে সম্পূর্ণভাবে আইনশৃঙ্খলার মধ্যে থেকে আন্দোলন কোরে যাচ্ছে এবং বৈধভাবে একটি মহান আদর্শ প্রচার কোরে যাচ্ছে।
আজ হেযবুত তওহীদের ব্যাপারে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই অবগত, কারণ হেযবুত তওহীদের সদস্যরা দেশের প্রায় সকল স্থানে গিয়ে, সর্বস্তরের মানুষেকে এ আন্দোলনের বক্তব্য মানুষকে জানিয়েছেন। মানবজাতির মুক্তির একটা পথ আল্লাহ আমাদেরকে দিয়েছেন, সম্পূর্ণ অহিংস পদ্ধতিতে মানুষকে আমরা তা জানিয়ে যাচ্ছি এ দাবী আমরা করতে পারি। আমরা তো কারো কোন ক্ষতি করিই না বরং এ কথা বলার কারণে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হোয়েছে, আমাদের উপর হামলা করা হোয়েছে, আমাদেরকে বিভিন্ন উপায়ে নির্যাতন করা হোয়েছে, বহুবার বহুস্থানে আমাদের সদস্যদের বাড়ী-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হোয়েছে, আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হোয়েছে, আমাদের লোকদের শহীদ করা হোয়েছে।এখন মানবজাতির এই সংকট থেকে, অশান্তি থেকে বাঁচার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মানুষ যখন কোনো উপায় না পেয়ে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে এসে যায় তখন দেশ, সম্পদ, জনপথ কোন কিছুর আর নিরাপত্তা থাকে না, কে কোন ধর্মে বিশ্বাসী সেটার আর কোন বাছবিচার থাকে না। তখন মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় এ থেকে বাঁচা যায় কিভাবে? আজ তেমনি সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। আমরা বোলছি, মানুষ জাতির মুক্তির একমাত্র পথ হল হেযবুত তওহীদ। কিভাবে? সেটা হোচ্ছে একটি সহজ সত্য সবাইকে মেনে নিতে হবে, তা হোল আল্লাহ সমস্ত দুনিয়া ও মানুষ সৃষ্টি কোরেছেন। সুতরাং মানুষ কিভাবে শান্তি পাবে সেজন্য একটি জীবন-ব্যবস্থাও দিয়েছেন। সেটা হল সত্য দীন, সত্য জীবন-ব্যবস্থা যেটা আখেরী নবীর উপর আল্লাহ নাযেল কোরেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল আজকে ধর্মের নামে যে সন্ত্রাস চলছে, ব্যবসা চলছে, রাজনীতি চলছে, ধর্মের বিধি-নিষেধের বেড়ি পরিয়ে নারীদেরকে ঘরের মধ্যে বন্দি কোরে রাখা হোয়েছে, বিভিন্ন ধরনের পোশাক, লেবাস ও আচার-আচরণের মধ্যে ধর্মকে আবদ্ধ কোরে রাখা হোয়েছে, সংগীত, সাহিত্য, কলা, সংস্কৃতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ইত্যাদিকে ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কহীন কোরে ফেলা হোয়েছে, কেবল তাই নয় এগুলিকে ধর্মের মুখোমুখি দাঁড় করানো হোয়েছে; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এসলাম কি তাই বলে? না, এসব কিছুই প্রকৃত এসলামের ধারণা নয়এইসব ধারণা অনেকাংশে মধ্যযুগীয় খ্রিস্টীয় মতবাদ যা সুপরিকল্পিতভাবে এসলামের গায়ে চাপিয়ে দেওয়া হোয়েছে। আল্লাহর প্রকৃত এসলামটা আকাশের মত উদার, সমুদ্রের মত বিশাল। সেই এসলাম প্রচণ্ড গতিশীল, প্রগতিশীল। আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের ভিত্তি রচনা কোরেছিলেন প্রকৃত মোসলেমরাই। এই কথা সর্বজনবিদিত যে, এসলাম যখন স্পেনে প্রবেশ কোরল তখন সেই স্পেন হোয়ে উঠলো সমগ্র ইউরোপের শিল্প, সাহিত্য, স্থাপত্যকীর্তি, চিকিৎসা, সঙ্গীত অর্থাৎ এক কথায় সকল জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু। পরবর্তীতে ইউরোপিয় সভ্যতার যে রেনেসাঁ (Renaissance) বা নবজাগরণ হোয়েছিল তার উপাদান সরবরাহ কোরেছিল স্পেনের মোসলেম সভ্যতা। অথচ নিদারুণ পরিহাস এই যে, আধুনিক শিল্পকলা, সঙ্গীত, সাহিত্য ইত্যাদির ভিত রচনাকারী মোসলেমদের বর্তমান পশ্চাদপদ উত্তরসূরীরা মসজিদে, খানকায়, হুজরায় বোসে প্রশ্ন তোলেন রেডিও শোনা, টিভি দেখা, গান শোনা জায়েজ না নাজায়েজ।এসলামের গতিশীলতার আরেকটি প্রমাণ হল চৌদ্দশত বছর আগে এসলাম এমন একটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ কোরেছিল যে জাতি নিজেদের মধ্যে মারামারি, হানিহানিতে লিপ্ত ছিল, তাদের প্রগতি, উন্নতি বলে কিছু ছিল না। তাদের জীবন জীবিকার অবলম্বন ছিল অন্যের সম্পদ লুট করা। সেই জাতিটাকে যে এসলাম তাদের সমস্ত মত-পথ ভুলিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতিতে রূপান্তরিত কোরেছিল। সে জাতি মাত্র অল্প কয়েক বছরের মধ্যে দুনিয়ার বুকে শিক্ষকের জাতিতে পরিণত হোয়েছিলো। সদকা ও যাকাতের অর্থ নিয়ে মানুষ নগরে বন্দরে, মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াত, নেওয়ার মত কাউকে পাওয়া যেতো না। একজন যুবতী মেয়ে একা শত শত মাইল পথ পাড়ি দিতে পারতো, তার মনে কোন ধরণের কোন ক্ষতির আশংকা জাগ্রত হোত না। অস্ত্রের কোন লাইসেন্স ছিল না, কোন পুলিশ বাহিনী ছিল না, কিন্তু বোলতে গেলে কোন অপরাধ ছিল না। এগুলি ইতিহাস। তাহোলে যে জীবন-ব্যবস্থা মানবসমাজকে এমন উন্নতি, এমন প্রগতি দিয়েছিল, এমন শান্তি ও নিরাপত্তা এনে দিয়েছিল সেটা আর আমাদের আলেমরা মক্তব, মসজিদে, মাদ্রাসায়, খানকায় যে ধর্মটা চর্চা কোরছেন সেটা কি এক? কখনই এক নয়।
আমরা আপনাদেরকে এমন একটা জীবন-ব্যবস্থার কথা বলছি যেটা ১৩০০ বছর আগে দুনিয়া থেকেই হারিয়ে গেছে, সেটি বিকৃত হোতে হোতে বর্তমানে একেবারে বিপরীতমুখী হোয়ে গেছে। আল্লাহর দেওয়া প্রকৃত এসলাম প্রতিষ্ঠা ও কার্য্যকরী করার ফলে ১৪০০ বছর আগে অর্দ্ধ-পৃথিবীতে উপরোক্ত শান্তি ও শৃঙ্খলা নেমে এসেছিল। সেটা যদি আবার মানবজাতি গ্রহণ করে তাহোলে আবার সাদা-কালো, তামাটে-বাদামী, সমস্ত মানুষ জাতি হবে একটা জাতি। হ্যাঁ, আজও সমস্ত মতভেদ ভুলে মানবজাতি একটা মহাজাতিতে পরিণত হওয়া সম্ভব, এবং সেটা হবে। একথা ভুলে গেলে চলবে না যে নবী করীম (দ:)-এর উপর আল্লাহ যে জীবন-ব্যবস্থা দিয়েছেন তা সমস্ত দুনিয়ার জন্য প্রযোজ্য হবে। আপনারা নিশ্চয় চাইবেন মানবজাতি সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে একটি জাতি হোক। আমরা সবাই এক বাবা-মা আদম (আ:) ও হাওয়া থেকে এসেছি, সেই সূত্রে আমরা সবাই ভাই-ভাই। এই হানাহানি, এই বিভেদ, এই সংঘাত আমাদের মধ্যে লাগিয়ে রেখেছে এবলিস তথা দাজ্জাল অর্থাৎ ইহুদী খ্রিস্টান ‘সভ্যতা’। তারা চায় যেন আমরা কখনও ঐক্যবদ্ধ হতে না পারি। আমাদের মধ্যে বিভিন্ন রকমের বিভক্তি রেখা টানা হোয়েছে, অর্থনৈতিক সীমারেখা, রাজনৈতিক সীমারেখা, মতবাদের সীমারেখা ইত্যাদি হাজারো রকমের সীমারেখা টেনে দেওয়া হোয়েছে। আমাদের কথা হল মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বাঁচার কোন পথ নাই। কিন্তু অতিগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হোল:এই জাতি ঐক্যবদ্ধ হবে কিসের ভিত্তিতে?ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সূত্র কি?এই ঐক্যের সঠিক সূত্রটিই আল্লাহ হেযবুত তওহীদকে দান কোরেছেন। একটি ছোট্ট কথা, আল্লাহ ছাড়া আর কোন হুকুমদাতা নেই- এ কথাটিই হোচ্ছে সমগ্র মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার সূত্র। এই কথাটি মেনে নিয়ে সবাইকে একটি সার্বভৌমত্বের অধীনে আসতে হবে। আজকে যেমন একেক জন একেকটা সার্বভৌমত্বের অধীন বসবাস কোরেছেন, কেউ রাজা-বাদশাহ-আমীরাতের সার্বভৌমত্বের অধীনে- যেখানে সবাই এমনভাবে ভোগ-বিলাসে মত্ত যে দুনিয়ায় কত মানুষ যে না খেয়ে আছে তা তাদের দেখার বিষয় না। কেউ বসবাস কোরেছেন গুটিকতক পুঁজিপতির সার্বভৌমত্বের অধীনে, কেউ গণতন্ত্রের অধীনে, কেউ সমাজতন্ত্রের অধীনে। আজ সবাইকে পৃথক পৃথক সার্বভৌমত্ব ত্যাগ কোরে সকলের যিনি স্রষ্টা সেই আল্লাহকে সার্বভৌম হিসাবে মেনে নেওয়ার সময় এসেছে। সকলকে মানতে হবে স্রষ্টা এক, যিনি এই দুনিয়া সৃষ্টি কোরেছেন, আলো, বাতাস, পানি ইত্যাদি সৃষ্টি কোরেছেন এবং আমরা কিভাবে চলব তার একটা পথও তিনি দিয়েছেন। হিন্দুরা স্রষ্টা মানেন, খ্রিস্টানরা ঈশ্বর মানেন, মুসলমানরাও আল্লাহ মানেন, ইহুদীরাও এলিকে মানেন, অর্থাৎ অন্যান্য সমস্ত জাতি এক স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাসী। এক স্রষ্টার সন্তুষ্টিবিধানের জন্য তারা মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, চার্চ, সিনাগগসহ বিভিন্ন ধরনের উপাসনালয়ে যান। স্রষ্টার সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য, পরকালীন একটা জীবনকে বিশ্বাস করে জান্নাত, স্বর্গে বা হ্যাভেনে (Heaven) যাওয়ার জন্য তারা সৎকাজ করেন অর্থাৎ সবাই কিন্তু স্রষ্টাকে মানছেন। আমাদের কথা হল স্রষ্টা শুধুমাত্র পরকালীন মুক্তির কথা বলেন নি, এই পৃথিবীতে চলার জন্য আমাদেরকে একটা জীবন-বিধানও দিয়েছেন। আসুন, সেই জীবন-বিধানের অধীনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত অবস্থায় কোথায় পাবেন?ভারত অঞ্চলে আল্লাহ যে সকল নবী রসুল (আঃ) পাঠিয়েছেন, জীবন-বিধান দিয়েছেন আমরা বিশ্বাস কোরি সেগুলি আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসেছে, কিন্তু সেগুলো পরিবর্তন করা হোয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অনেক কিছুই প্রক্ষেপন করা হোয়েছে। একই কাজ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের বেলাতেও করা হোয়েছে। স্রষ্টার দেওয়া যে জীবন-বিধান এখনও সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত অবস্থায় আছে, যার মধ্যে কোন প্রক্ষেপণ করা হয় নাই, কোনরূপ বিকৃত কোরতে পারে নি- সেটা হল আল কোর’আন, যেটা নাজিল হোয়েছে আখেরী নবীর (সঃ) উপর। আমি আবারও বলছি, আপনারা যে এসলামটা আজ মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকায়, ধর্ম ব্যবসায়ী মোল্লাদের নিকট দেখতে পাচ্ছেন এটা আল্লাহর সেই প্রকৃত এসলাম নয়।
আল্লাহ তা’য়ালা সেই সত্যিকার এসলাম এ যামানার এমাম, The Leader of the Time জনাব মোহাম্মাদ বায়াজীদ খান পন্নীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত আন্দোলন হেযবুত তওহীদ এই আহ্বান কোরছে যে, আল্লাহর সার্বভৌমত্বভিত্তিক সত্যদীন গ্রহণ করলে এই সঙ্কট কেটে যাবে, সমাজে কোন দারিদ্র্য থাকবে না, হতাশা থাকবে না, কোন অশান্তি থাকবে না। সেই এসলামে মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতার চরম প্রকাশ লাভ কোরবে। বর্তমানে যেমন কাল্পনিক সীমারেখা টেনে মানুষকে পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন ভূখণ্ডে আবদ্ধ কোরে রাখা হোয়েছে আর প্রচার করা হোচ্ছে যে মানুষ স্বাধীন, এসলামে আসলে এমনটি হবে না। মানুষ ইচ্ছা করলে এই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে যেতে পারবে, যে কোন যায়গায় বসবাস করতে পারবে। এই পৃথিবী সৃষ্টি কোরেছেন আল্লাহ, মানুষও সৃষ্টি কোরেছেন তিনিই- সুতরাং এই পৃথিবীর উপর মানুষের অধিকার রয়েছে, একে বলে জন্মগত অধিকার। এই ভূমির উপর, এই মাটির উপর আমার পূর্ণ অধিকার। সেই অধিকারবলে এই মাটির সর্বত্র আমি যেতে পারি- এই পৃথিবীর যে কোন জায়গায় আমি ন্যায়সঙ্গতভাবে ফসল ফলাতে পারি, কেউ আমাকে বাধা দিতে পারে না, এই পৃথিবীর বুকে আল্লাহ যা হালাল কোরেছেন তা থেকে আমার যা খেতে ইচ্ছা কোরবে তা আমি খেতে পারি, কেউ আমাকে বাধা দিতে পারে না। কেবল আমি অন্যের কোন ক্ষতি কোরতে পারবো না। অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না কোরে যে কোন কাজই আমি করতে পারি, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন না হয় এমন সকল বক্তব্য আমি দিতে পারি, যা খুশি লিখতে পারি কেউ বাধা দিতে পারে না। কোন মিথ্যা কথা না বোলে, কারও বিরুদ্ধে কোন অপবাদ, কুৎসা না রটিয়ে যত খুশি গণমাধ্যম আমি প্রতিষ্ঠা কোরতে পারি, কেউ আমাকে বাধা দিতে পারে না। সুর সৃষ্টি কোরেছেন আল্লাহ; আল্লাহর এই সৃষ্টি সঙ্গীতময়, আল্লাহর পবিত্র কোর’আন কাব্যময়। সুতরাং যত রকম সুর, সংগীত আবিষ্কার করতে পারেন সুরকাররা, গীতিকাররা করুক কাউকে কেউ বাধা দিতে পারে না। স্রষ্টার সৃষ্টির অনু-পরমাণু, বৃক্ষ, তরুলতা, এই মহাবিশ্ব ইত্যাদি সব কিছু নিয়ে আমি গবেষণা করতে পারি কেউ আমাকে গবেষণার বিঘ্ন ঘটাতে পারে না। এই হোচ্ছে মানবাধিকার ও স্বাধীনতার পরম রূপ। এই পরম স্বাধীনতা দিতে পারে একমাত্র আল্লাহর সত্যদীন (দীনুল হক)।
হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীকে আল্লাহ দয়া কোরে সেই সত্যদীনের জ্ঞান দান কোরেছেন। সেই সূত্রে হেযবুত তওহীদ ছাড়া মানবজাতিকে সেই শান্তির নিশ্চয়তা আর কেউ দিতে পারবে না। শুধু প্রচলিত এসলাম নয় অন্য ধর্মও আজ মন্দির, চার্চ, সিনাগগ ও প্যাগোডায় বন্দী। আমরা এই চলৎশক্তিহীন বন্দী এসলামের কথা বোলছি না। আমরা ধর্মজীবি আলেম মোল্লাদের তৈরী করা এসলামের কথা বোলছি না, আমরা বোলছি আল্লাহ যে এসলাম রচনা কোরেছেন সেই এসলামের কথা। কিভাবে সেই প্রকৃত এসলাম বিকৃত হোল এবং প্রকৃত এসলামের রূপ কি তা যামানার এমামের লিখিত বই ও বক্তব্যের সিডিতে আমরা তুলে ধোরেছি।আমরা প্রমাণ কোরেছি, দীর্ঘ ১৮ বছর সময়ে কারো ক্ষতি না কোরে, কারো পথরোধ না কোরে, হামলা, ভাংচুর না কোরে, হরতাল না কোরে, গণতন্ত্রের নামে এ সমস্ত অবৈধ কাজ না কোরেও একটা আদর্শ প্রচার করা যায়, যেটা নবী করিম (দ:) কোরেছেন। অতএব হেযবুত তওহীদই যে শান্তিময় তার স্বাক্ষর আমরা রেখেছি। শুধু তাই নয়, হেযবুত তওহীদের কর্মীরা ব্যক্তিগতভাবেও কোন অন্যায় করে না। তারা সম্পূর্ণ বৈধ পন্থায় আয়-উপার্জন করে, তারা সুদ ঘুষের সংস্পর্শে যায় না, তারা কঠোর পরিশ্রম করে এবং কোন কাজকে ক্ষুদ্র জ্ঞান করে না। তারা কারো সাথে প্রতারণা করে না। এটি আল্লাহর সত্যদীন প্রতিষ্ঠার এমন এক আন্দোলন যা এর বাইরের কারো কাছ থেকে কোন আর্থিক সাহায্য না নিয়ে সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে মানবতার কল্যাণে কাজ কোরে যাচ্ছে। প্রশ্ন হতে পারে এতবড় কাজ করার অর্থ কোথা থেকে আসছে। এর প্রথম উত্তর হোলো এটা আল্লাহর একটি মো’জেজা বা অলৌকিক ঘটনা। দ্বিতীয় উত্তর হোলো, হেযবুত তওহীদের কর্মীরা তাদের শ্রমের বিনিময়ে, গায়ে খেটে অর্থ উপার্জন কোরে নিজেরা চোলছে এবং নিজের খরচে আল্লাহর রাস্তায় কাজ কোরে যাচ্ছে। নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় কোরে মানবজাতির কল্যাণে এত বড় উদ্যোগ দুনিয়ার বুকে আর কোথাও আছে বোলে আমাদের জানা নেই।একদিন আল্লাহর রসুল বোললেন, “হে আরব জাতি! তোমরা শুধু আমার একটা-কথা মেনে নাও, তোমরা আল্লাহ্ ছাড়া কারো হুকুম মানবে না, তাহোলে সমস্ত দুনিয়া তোমাদের পায়ের নিচে এনে দেব।” যে সময়ে দাঁড়িয়ে রসুলাল্লাহ আরবদেরকে এই কথা বোলছেন, তখন আরবরা ছিল বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে অবজ্ঞাত, সর্বদিকে অনগ্রসর, কুসংস্কার ও জাহেলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত, বংশ পরম্পরায় কলহ বিবাদে লিপ্ত নিঃস্ব মরুচারী বেদুইন হিসাবে পরিচিত একটি জাতি। বাকি দুনিয়া তাদেরকে করুণার চোখে দেখতো। আরবরা তাই কোনদিন বিশ্বের দরবারে সম্মানিত আসন লাভ করার কথা কল্পনাও কোরতে পারতো না, তাই রসুলাল্লাহর ঐ দুনিয়াকে পায়ের নিচে এনে দেওয়ার এসব ঘোষণা তাদের হাসির উদ্রেক কোরত, তারা তাঁকে পাগল বোলে গালা-গাল দিত। কিন্তু যখন আল্লাহ তাঁর রসুলকে মহাশক্তিশালী সাহায্যরূপে (সুলতানান নাসিরাহ) একটি ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব দান কোরলেন তারপর ধীরে ধীরে আরব জাতি ঐ তওহীদ মেনে নিল এবং অল্পদিনের মধ্যেই তদানিন্তন বিশ্বের দুইটি পরাশক্তিসহ (Super power) অর্ধ দুনিয়া তাদের নিয়ন্ত্রণে আসলো যা কিছুদিন আগেও ছিলো কল্পনার বাইরে।আজকে আমাদের এই দেশের অবস্থাও অনেকটা সেই রকম। বিশ্ব মানচিত্রে আমাদের অবস্থান খুবই নগন্য।
বাকী দুনিয়ার জ্ঞানে বিজ্ঞানে, সামরিক শক্তি, অর্থনৈতিক শক্তিতে বলিয়ান দেশগুলি এই দেশকে, এই জাতিকে অবজ্ঞার চোখে দেখে, যে কোন ব্যাপারে আমাদের উপরে চরম কর্তৃত্বের (Domination) চেষ্টা করে। শুধু অপরাধ আর জনসংখ্যা ছাড়া আর সর্বদিকে এই জাতির চরম অধঃগতি। আমাদের বদনাম আমাদের দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেশী, তৃতীয় বিশ্বের মধ্যে আমরা দরিদ্রতম হোলেও দুর্নীতিতে আমরা প্রতি বছর প্রথম সারিতে থাকি, এদেশের বিরাট সংখ্যক লোক হত দরিদ্র, নিজেরা নিজেরা শতমুখী সংঘাতে লিপ্ত। আমরা নিজেরাই যখন নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি সেখানে সারা দুনিয়ার মুক্তির জন্য আমাদের কোন ভূমিকা রাখা কি সম্ভব? এর একমাত্র উত্তর হোচ্ছে, কেউ এটা কল্পনাও করে না। তবুও মহানবী যেভাবে আরবদের বোলেছিলেন আমরাও এই জাতিকে বোলছি, আপনারা সকল অনৈক্য, মতভেদ ভুলে, ক্ষূদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে একটা কথা মেনে নিন যে আমরা সবাই আমাদের স্রষ্টাকে, আল্লাহকে আমাদের জীবনের একমাত্র হুকুমদাতা হিসাবে মানবো। ব্যাস, সমস্ত দুনিয়া লুটিয়ে পোড়বে এই জাতির পায়ে, এনশাআল্লাহ। তখন প্রত্যেকেই তার যোগ্যতা অনুযায়ী দুনিয়ায় সম্মানিত হবেন। এর কারণ মহান আল্লাহ তাঁর হারিয়ে যাওয়া সত্যদীনের আত্মা, প্রকৃত আকীদা, জ্ঞান এই দেশে, এই হতদরিদ্র, চরম অবহেলিত অবজ্ঞাত, উপেক্ষিত জাতির মধ্যেই দান কোরেছেন। হেযবুত তওহীদকে আল্লাহ যা দান কোরেছেন তা এক মহাসত্য। আর সত্য সব সময়ই সুমহান। সত্যের কোন বিভাজন নাই। মিথ্যার বিভিন্ন রূপ, সত্য এক, অদ্বিতীয়। একজন মানুষ বোললেও সেটা সত্য। সমস্ত দুনিয়ার মানুষও যদি সত্যের বিরুদ্ধে যায় তাহোলেও সত্য সত্যই। সত্যের মোকাবেলায় মিথ্যা কোন দিন দাঁড়াতে পারবে না। সুতরাং এই কথা নিশ্চত কোরেই বলা যায় সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন সমস্ত দুনিয়ার শিক্ষকের আসনে বোসবে এই জাতি এবং সমস্ত দুনিয়াকে মুক্তির পথ দেখাবে উপেক্ষিত এই জাতি- এনশা’আল্লাহ।
যোগাযোগ: হেযবুত তওহীদ, ফোন: ০১৬৭০ ১৭ ৪৬ ৪৩, ০১৭১১ ০০ ৫০ ২৫
www.hezbuttawheed.com
- See more at: www.desherpatro.com
No comments:
Post a Comment