DESHERPATRO

Tuesday, August 6, 2013

রোহিঙ্গা মুসলমানরা কি কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে?_

_ রোহিঙ্গা মুসলমানরা কি কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে?_

‘অহিংসা পরমধর্মং’ তথা বিদ্বেষহীনতাই প্রকৃত ধর্ম—গৌতম বুদ্ধের
ধর্মের মূ
লনীতি হলেও উগ্রবাদী ও ধর্মান্ধ বৌদ্ধরা বোধ হয় তা অসার প্রমাণ
করেছে। বৌদ্ধ ধর্মে জীব হত্যাকে মহাপাপ বলা হলেও সাম্প্রতিক
সময়ে বৌদ্ধ উগ্রবাদীরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের
যেভাবে হত্যা করে চলেছে তাতে বোধ হয় তারা মুসলমানদের জীব
মনে করছে বলে মনে হয় না। মিয়ানমানের প্রাচীন রোসাঙ্গের
অধিবাসী মুসলমানরা এখন বৌদ্ধ ধর্মোন্মাদদের উন্মাদনায় শুধু জীবন ও
সম্পদের নিরাপত্তায় ভুগছেন না, বরং তারা স্বদেশ থেকে বিতাড়িত
হয়ে এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাত্রা করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু
বিশ্ব জনমত সম্পূর্ণ নির্বিকার। কথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যোদ্ধারা ও
তথাকথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারীরা তাদের ইন্দ্রিয়গুলোকে
অনুভূতির বাইরে রেখেছেন। বিশ্বে অর্ধশতাধিক মুসলিম রাষ্ট্র থাকলেও
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুর্দিনে তারাও কোনো কার্যকর
ব্যবস্থা গ্রহণ করছে পারছে না বা চেষ্টাও করছে না। মুসলমানদের
স্বার্থরক্ষায় প্রতিষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলন
সংস্থা ওআইসিকে মাঝে মাঝে নর্তন-কুর্দন করতে দেখা গেলেও
তা কখনোই ফলদায়ক হতে দেখা যায় না। মিয়ানমায়ের
রোহিঙ্গা সমস্যা যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই রয়ে গেছে।
ফলে প্রতিনিয়ত মিয়ানমারের রাজপথ মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে।
সহায়-সম্পদ, স্বজন ও ভিটেমাটি হারিয়ে তারা এখন ইতিহাসের
মারাত্মক ভাগ্যবিড়ম্বনার শিকার।
অতিসম্প্রতি ইসলামী সম্মেলন
সংস্থা ওআইসি মিয়ানমারে মুসলমানদের হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়ন
বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের
প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ২০১২ সালের জুন মাস
থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর চালানো গণহত্যায় হাজার হাজার
মানুষ নিহত হয়। এছাড়াও সহায়-সম্বল হারিয়ে পথে বসেছে কয়েক লাখ
মুসলমান। গণহত্যা থেকে জীবন বাঁচানোর জন্য অসংখ্য
রোহিঙ্গা মুসলমান আশ্রয় নিয়েছে উদ্বাস্তু শিবিরে। কিন্তু সেখানেও
তারা নিরাপদ বোধ করছেন না বরং প্রতিনিয়ত নির্মম নির্যাতনের
শিকার হচ্ছেন। বৌদ্ধ উগ্রবাদীরা সেখানেও তাদের ওপর
হামলা চালিয়ে জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।

হেযবুত তওহীদ----------সিকদার----

No comments:

Post a Comment