**৫ ওয়াক্ত সালাতের প্রমান কোরান থেকে**
-------------------------
-------------------------
1) সালাতুল ফজর (ফজরের সালাহ)
-------------------------
» ০১১. সূরা হুদ » 011.114
"আর দিনের দুই প্রান্তেই সালাহ ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে পূর্ণ কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক।"
And perform As-Salât (Iqâmat-as-Salât), at the two ends of
the day and in some hours of the night [i.e. the five compulsory
Salât (prayers)]. Verily, the good deeds remove the evil deeds
(i.e. small sins). That is a reminder (an advice) for the mindful
(those who accept advice).
ﻭَﺃَﻗِﻢِ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﻃَﺮَﻓَﻲِ ﺍﻟﻨَّﻬَﺎﺭِ ﻭَﺯُﻟَﻔًﺎ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺎﺕِ
ﻳُﺬْﻫِﺒْﻦَ ﺍﻟﺴَّـﻴِّﺌَﺎﺕِ ﺫَﻟِﻚَ ﺫِﻛْﺮَﻯ ﻟِﻠﺬَّﺍﻛِﺮِﻳﻦَ
Waaqimi alssalata tarafayi alnnahari wazulafan mina allayli
inna alhasanati yuthhibna alssayyi-ati thalika thikra
lilththakireena
» ০৯৭. সূরা কদর » ৪
এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
Therein descend the angels and the Rûh [Jibrael (Gabriel)] by
Allâh’s Permission with all Decrees,
ﺗَﻨَﺰَّﻝُ ﺍﻟْﻤَﻠَﺎﺋِﻜَﺔُ ﻭَﺍﻟﺮُّﻭﺡُ ﻓِﻴﻬَﺎ ﺑِﺈِﺫْﻥِ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻣِّﻦ ﻛُﻞِّ ﺃَﻣْﺮٍ
Tanazzalu almala-ikatu waalrroohu feeha bi-ithni rabbihim min kulli amrin সে রাত্রিতে ফেরেশতারা ও রূহু তাদের প্রভুর
আদেশক্রমে প্রত্যেক কাজের জন্য অবতীর্ণ হয়।
‘রূহু ‘ শব্দটি দ্বারা সাধারণতঃ জিব্রাইল
ফেরেশতাকে বুঝানো হয়।
ফজরের দিতীয় প্রমান :-
সুরা নুর ৫৮ নং আয়াত-
"হে মোমেনগন! তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসদাসীগন এবং তোমাদের মধ্যে যারা বয়স্ক হয়নি তারা যেন তিন সময়ে তোমাদের কাছে অনুমতি গ্রহন করে, ফজর সালাহর আগে, দুপুরে যখন তোমরা বস্ত্র খুলে রাখো এবং এশার সালাহর পর; এ তিন সময়ে তোমাদের দেহ খোলার সময়। এ সময়ের পর তোমাদের ও তাদের জন্য কোন দোষ নেই।তোমাদের একে অপরের কাছে তো যাতায়াত করতেই হয়,এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের কাছে তার আয়াত সমুহ সুষ্পষ্টভাবে বিবৃত করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। "
সুরা কদর আয়াত নং ৫-
এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
Peace! (All that night, there is Peace and Goodness from Allâh to
His believing slaves) until the appearance of dawn.
ﺳَﻠَﺎﻡٌ ﻫِﻲَ ﺣَﺘَّﻰ ﻣَﻄْﻠَﻊِ ﺍﻟْﻔَﺠْﺮ( fojorِ)
Salamun hiya hatta matlaAAi alfajri(ফজর)
YUSUFALI: Peace!…This until the rise of morn!
2) সালাতুল জোহর (জোহরের সালাহ)
----------------------
» ০১৭. সূরা বনী ইসরাঈল » 017.078
সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম করুন
এবং ফজরের কোরআন পাঠও। নিশ্চয় ফজরের কোরআন পাঠ
মুখোমুখি হয়।"
তাহলে এখানে কিসের সালাহ নাম কি? (জোহর ,আসর,মাগরিব ছাড়া আর কি?)এতেও কি সন্দেহ আছে?
Perform AsSalât (Iqamât-as-Salât) from mid-day till the
darkness of the night (i.e. the Zuhr, ’Asr, Maghrib, and ’Ishâ’
prayers), and recite the Qur’ân in the early dawn (i.e. the
morning prayer). Verily, the recitation of the Qur’ân in the early
dawn is ever witnessed (attended by the angels in charge of
mankind of the day and the night).
ﺃَﻗِﻢِ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﻟِﺪُﻟُﻮﻙِ ﺍﻟﺸَّﻤْﺲِ ﺇِﻟَﻰ ﻏَﺴَﻖِ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻭَﻗُﺮْﺁﻥَ ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﺇِﻥَّ ﻗُﺮْﺁﻥَ ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻛَﺎﻥَ ﻣَﺸْﻬُﻮﺩًﺍ
Aqimi alssalata lidulooki alshshamsi ila ghasaqi allayli waqur-ana
alfajri inna qur-ana alfajri kana mashhoodan.
3)সালাতুল আসর /সালাতুল উসতা (মধ্যবর্তী সালাহ)
------------------------------
» ০০২. সূরা বাকারা » 002.238
সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের(আসরের সালাহ)
ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও।"
Guard strictly (five obligatory) AsSalawât (the prayers)
especially the middle Salât (i.e. the best prayer ’Asr). And stand
before Allâh with obedience [and do not speak to others during
the Salât (prayers)].
ﺣَﺎﻓِﻈُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺼَّﻠَﻮَﺍﺕِ ﻭﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺍﻟْﻮُﺳْﻄَﻰ ﻭَﻗُﻮﻣُﻮﺍْ ﻟِﻠّﻪِ ﻗَﺎﻧِﺘِﻴﻦَ
Hafithoo AAala alssalawati waalssalati alwusta waqoomoo lillahiqaniteena
YUSUFALI: Guard strictly your (habit of) prayers, especially the
Middle Prayer; and stand before Allah in a devout (frame of
mind).
Note:- আছরের সালাহ যত্নবান হতে আল্লাহ নিজ বলেছেন।
অনেকেই বলে "মাঝামাঝি সালাহ "নাকি একটা সালাহর নাম। এটা ভুল -রাসুল (দ) যে মেরাজ থেকে 5 ওয়াক্ত সালাহ নিয়ে আসলেন উহার মধ্যে মধ্যবর্তী সালাহ হলো "আছর সালাহ "
[বাকারা ২৩৮]। সালাতের [অভ্যাসকে] কঠোরভাবে রক্ষা করবে ,বিশেষভাবে মধ্যবর্তী সালাতের এবং [অন্তরে]ভক্তি সহকারে আল্লাহ্র সামনে দাঁড়াবে।
মেরাজ অসীকার করবেন? আবু জেহেল অসীকার করে আবুবকর এর কাছে গিয়ে বলাতে সাথে সাথে বিশাস করলেন।রাসুলুল্লাহ (দ) তাকে উপাধী দিলেন সিদ্দীক ।তাহলে তিনি একাই সিদ্দীক হলেন কেন? কারন তিনিই প্রথম এই মেরাজের কথা বিশাস করেছিলো। তাহলে ইতিহাস সাক্ষী, আবুবকর সিদ্দীক আছে নামের পরে।আছে খেতাব ওমর ফারুক, আলী আসাদুল্লাহ, ওসমান গনি, খালেদ বিন ওয়ালিদ (আল্লাহর তলোয়ার) (The sword of Allah)
4) সালাতুল মাগরেব ।(মাগরেবের সালাহ)
--------------------------
দিনের অপরপ্রান্তে (রাতের শুরু) ওই সময়টাই মাগরেব
)মাগরেব মানে দিনের শেষ প্রান্তের নাম। তাই আল্লাহও অই মাগরিবের সময় সালাহ কায়েম করতে বলেছেন।
তাই আল্লাহ বলেন-
» ০১১. সূরা হুদ » 011.114
"আর দিনের দুই প্রান্তেই সালাহ ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে পূর্ণ কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক।"
ﻭَﺃَﻗِﻢِ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﻃَﺮَﻓَﻲِ ﺍﻟﻨَّﻬَﺎﺭِ ﻭَﺯُﻟَﻔًﺎ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺎﺕِ
ﻳُﺬْﻫِﺒْﻦَ ﺍﻟﺴَّـﻴِّﺌَﺎﺕِ ﺫَﻟِﻚَ ﺫِﻛْﺮَﻯ ﻟِﻠﺬَّﺍﻛِﺮِﻳﻦَ
Waaqimi alssalata tarafayi alnnahari wazulafan mina allayli
inna alhasanati yuthhibna alssayyi-ati thalika thikra
lilththakireena
এর চেয়ে আর কি ষ্পষ্ট প্রমাণ চান?
5)সালাতুল এশা (এশার সালাহ)
-------------------
সুরা নুর ৫৮ নং আয়াত-
"হে মোমেনগন! তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসদাসীগন এবং তোমাদের মধ্যে যারা বয়স্ক হয়নি তারা যেন তিন সময়ে তোমাদের কাছে অনুমতি গ্রহন করে, ফজর সালাহর আগে, দুপুরে যখন তোমরা বস্ত্র খুলে রাখো এবং এশার সালাহর পর; এ তিন সময়ে তোমাদের দেহ খোলার সময়। এ সময়ের পর তোমাদের ও তাদের জন্য কোন দোষ নেই।তোমাদের একে অপরের কাছে তো যাতায়াত করতেই হয়,এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের কাছে তার আয়াতসমুহ সুষ্পষ্টভাবে বিবৃত করেন।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
ইশা শব্দটির অর্থ হলো "ডিনার (রাতের খাবার সময়)" [গুগল
ট্র্যান্সলেটরে দেখুন] । কাজেই "সালাত আল-ইশা" দিনের অপর
প্রান্তের সালাত থেকে ভিন্ন ।
ইশা শব্দটি কুরআনে কয়টি আয়াতে আছে? কোন কোন সূরার কোন কোন
আয়াত? ইশা শব্দটি ইশায়ি, ইশাআন, আশিয়্যি, আশিয়্যান ও
আশিয়্যাতান এই পাঁচ ধরনের শব্দরূপে ১৩টি আয়াতে আছে।
একটি আয়াতে ইশায়ি (২৪:৫৮), একটি আয়াতে ইশাআন (১২:১৬),
ছয়টি আয়াতে আশিয়্যি (০৩:৪১, ০৬:৫২, ১৮:২৮, ৩৮:১৮, ৩৮:৩১, ৪০:৫৫),
চারটি আয়াতে আশিয়্যান (১৯:১১, ১৯:৬২, ৩০:১৮, ৪০:৪৬)
এবং একটি আয়াতে আশিয়্যাতান (৭৯:৪৬)। এর
মধ্যে একটি আয়াতে (২৪:৫৮) ‘সালাতিল ইশা’র কথা আছে।
তাহলে ‘সালাতিল ইশা’ সম্পর্কে দ্বিমত করার কোন সুযোগ আছে কি?
‘সালাতিল ইশা’ সম্পর্কে কোন দ্বিমত নেই।
এই হলো সালাহ, আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (দ)কে কোরানের বাহিরে সালাহর নিদেশ দেননি যাহা উপরিউক্ত আয়াতে আলোচিত হয়েছে।তাহাই রাসুল কোরতেন, উহা উম্মাহ মানবে। রাসুল কে আল্লাহ মাত্র 2 রাকাত এর ট্রেইনিং বুঝিয়েছেন সালাত কম পড়াতেও দোষ নেই বলে (দেখুন নেসা 101-102)
এ সালাহ কসর সালাহ (সংক্ষিপ্ত সালাহ- মানে আগে পরে আরো সালাহ আছে) সেই সালাহ আল্লাহ উপরিউক্ত আয়াতে বলেছেন।রাসুলুল্লাহ (দ) কোরানের এই নীতি অনুযায়ী আল্লাহর আদেশে আসহাবদের নিয়ে সালাহ কায়েম করেছেন।কিভাবে সেগুলো আমরা হাদিসে ,সেরাতে রাসুলুল্লাহ ইত্যাদি পাচ্ছি।(1400 বছর আগে হতে যাহা চলে আসছে) কিন্তু বতমানে ধমব্যবসায়ী রা ব্যবসা করার জন্য বহু সালাহ প্রনয়ন করে ফেলেছেন। যাহা সমাজে ইতিমধ্যে প্রতিষ্টিত হয়ে গেছে এবং মানুষের মনে বিশাসযোগ্য হয়ে গেছে।যাহা মোসলেম সমাজ ত্যাগ করতে পারছেনা।
আরো দেখুন রাসুলুল্লাহ (দ) কে আল্লাহ কবলেছেন-
» ০০৩. সূরা আল ইমরান » 003.031
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর,
যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন
এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ
হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।
Say (O Muhammad SAW to mankind): ”If you (really) love Allâh
then follow me (i.e. accept Islâmic Monotheism, follow the Qur’ân
and the Sunnah), Allâh will love you and forgive you of your sins.
And Allâh is Oft-Forgiving, Most Merciful.”
ﻗُﻞْ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﺗُﺤِﺒُّﻮﻥَ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻓَﺎﺗَّﺒِﻌُﻮﻧِﻲ ﻳُﺤْﺒِﺒْﻜُﻢُ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻭَﻳَﻐْﻔِﺮْ ﻟَﻜُﻢْ ﺫُﻧُﻮﺑَﻜُﻢْ ﻭَﺍﻟﻠّﻪُ ﻏَﻔُﻮﺭٌ ﺭَّﺣِﻴﻢٌ
Qul in kuntum tuhibboona Allaha faittabiAAoonee yuhbibkumu
Allahu wayaghfir lakum thunoobakum waAllahu ghafoorun
raheemun
হেযবুত তওহীদ_______
No comments:
Post a Comment