কোন মানুষ'কে কি মাওলানা বলা যাবে?
উত্তরঃ না। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে মাওলানা বলা যাবে না।
২টি শব্দ দারা মাওলানা শব্দ গঠিত।
১. মাওলা অর্থ অভিবাবক, কর্মবিধায়ক।
২. না অর্থ আম'রা, আমাদের, আমাদিগকে।
তাহলে মাওলানা অর্থ দাড়ালোঃ
আমাদের অভিবাবক/কর্মবিধায়ক।
আল্লাহ বলেন,"বল, আমাদের জন্য আল্লাহ যা নির্দিস্ট করেছেন তাই
আমাদের হবে, তিনি মাওলানা (আমাদের অভিবাবক/কর্মবিধায়ক)
এবং মুমিন'রা আল্লাহ'র উপরে'ই নির্ভর'শীল।"
(সুরা তাওবাহ ৯ঃ৫১)
(আরোঃ সুরা বাকারা ২ঃ২৮৬
বতমানের নামদারী রা এগুলো যোগ করে নিজেরাই
মাওলা সাইজা বসে আছে। ।। কেন মাওলানা মোহাম্মদ (স),
মাওলানা আবুবকর, মাওলানা ওমর,আলী,উসমান (রা) হতে পারলোনা?
অহ তারা পাশ করতে পারেনাই তাই না?
আসলে এরা খ্রিষ্টান দের আলিয়া মাদ্রাসায় পড়িত মাওলানা।
খ্রিস্টান বাপেরা বতমানে যেভাবে আইন দিতাছে, এরা কাফের
মোশরেক হয়ে মাওলা সেঝে বসে আছে। ছি ছি লজ্জা লাগেনা?....
রাসুলুল্লাহ (দ) ও তার সাহাবারা ভালো করেই
জানতো যে মাওলানা কি।।। তাই তারা বুঝেছিলো। আর আজকে অনেক
অর্থো বানিয়ে ফেলেছে নিজেদের মাওলা বানাইতে।
দেখুন মাওলানাদের পরিচয় আল্লাহ নিজেই দিলেন। ।।
তারা বতমানে মহা ধুমদামে কোরান বেচা দিচ্ছে। ।।কেন কেন কেন
কেন????????
( কোর-আন এর আয়াত বিক্রি করে কারা খায়?)
দেখুন আল্লাহ কি বলেন -
"আল্লাহ কেতাবে যা নাযেল করেছেন
তাহা যারা গোপন করে এবং উহার বিনিময়ে অল্প মুল্য
(টাকা পয়সা,হাদিয়া) গ্রহন করে ,তারা তাদের পেটে আগুন ছাড়া আর
কিছই ঠুকায় না। আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের সাথে কথা বলবেন না,
না তাদের পবিত্র করা হবে।বস্তুত তাদের জন্য আছে বেদানাদায়ক
আযাব।(বাকারা 174)"
কি সাংগাতিক!!!!
এটা শুধু বতমানে আলেম , মোল্লা ,মাওলানা,পীর বুজুর্গ ,,
চুলচেরা বিশ্লেষণকারী যত গুলা আছেন সবই
এক নায়ের মাঝি। যাহোক যারা কোর-আন জানে তারাই
তো বেচতে পারে?না যারা কোর-আন সম্বন্ধে কিছুই
জানেনা তারা বেচে? ,,, এরা নামায পড়ায় মাগনা? তারাবীহ পড়ায়
মাগনা? এরা ওয়াজ মাহফিল করায় মাগনা?
যানাযা পড়িয়ে পয়সা নেয়, ,এমামতি করেও, ওয়াজ করে-
এরা বায়না কইরা তারপর যায়। ওখানে যেয়ে কি,,,,আলু পটল, মলম
বিক্রি করে ? না আল্লাহ রাসুল এর কথা, ,,কোর-আন
এরকথা বলে? ,তাইলে কি বেচলো? কেরা বেচলো? আজকের এই
তথাকথিত আলেম মোল্লারা সরাসরি আল্লাহর হুকুম
পত্যাখানকরে নিজেরা মনগড়া ফতওয়া দিয়া জনগণ
সহ, ,,বোকা বানাইয়া জাহান্নামের আগুনের
দিকে যাচ্ছে সাথে অসহায় মুর্খ মোসলেম জাতিকেও
নিয়া যাচ্ছে,এরা বুঝতেও পারতেছেনা এইজন্য যে,
এরা খাটি গোমরাহীর মধ্যে পরে আকিদা ভুলে কাফের, মোশরেক এ
পরিনত হয়ে গেছে। পড়ুন - মায়েদা ৪৪;৪৫;৪৭)...আর মোল্লা চিনার জন্য -
সুরা বাকারা 174):
**আবার পীরসাহেব রা সারগেদ দের কাছ থেকে যে পয়সা খাচ্ছে।
মহা ধুমদামে। ।।
একদিকে মাওলানা ক্ষেপেছে মাওলা প্রমান করতে আর এক দিকে পীরসাহেব ক্ষেপছে মাশুক সাঝতে।(মাশুক মানে আল্লাহ)নিজেরাই অর্থ বানিয়ে নিয়েছে।
পীরসাহেব দের দিক দেখুন কি কায়কারবার চলে।।।
-----------------------------
পীরেরা মানসুর হাল্লাজ যে আল্লাহ্ দাবী করলো সেটা সমর্থন করে। আপনি?
হোসাইন বিন মানসুর হাল্লাজ যে নিজেকে খোদা দাবী করেছিল
এবং তৎকালীন সময় সমস্ত আলেমদের ফতওয়া অনুযায়ী ইসলামি শরীয়ত
মোতাবেক যাকে মুরতাদ ঘোষণা করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল, তার
সম্পর্কে চরমনাই পীরের আকিদাহ শুনুনঃ
####################################
দোস্তের গালিও মজা লাগে। মানসুর হাল্লাজ যখন ‘’আনাল হক, আমিই
খোদা’’ বলিয়াছিল তখন মানসুরের খোদায়ী দাবীর কথা শুনিয়া আল্লাহ্
পাক গোস্বা হন নাই বরং খোশ হইয়াছিলেন।
# মানসুর হাল্লাজ আশেক মাওলার মহব্বতের জোশে ‘’আমিই খোদা’’
বলিয়া চির অমর হইয়া রহিয়াছেন।
# মানসুর হাল্লাজ শরীয়তের হুকুম অমান্য করিয়াছেন সত্য, কিন্তু ‘’আমিই
খোদা’’ বলা পরিত্যাগ করেন নাই। মানসুর হাল্লাজ যে আল্লাহ্র খাস
অলি ইহাতে সন্দেহ নাই।
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মা’শুক
বা এস্কে এলাহী; পৃষ্ঠা নঃ ৪২-৪৪
আরো আছে দিতে পারবো।
আল্লাহ ও তার রাসুল এই শব্দগুলো রুপক হিসেবে বুঝিয়েছেন মাত্র।
**বলার ক্ষেত্রে বলুন কিন্ত নামের আগে ডিগ্রি কই পাইলেন?
রাসুলুল্লাহ (দ) ও তার আসহাব গনদের আগে এসব ডিগ্রী ফিগ্রী নাই।
আল্লাহ বলেছেন অই অরথে যে, আরবিতে একটা মনিব বা রাজা বাদশাহ
কে মাওলানা,করমোবিধায়ক বলে থাকে। তাই বলে কি তার বা তাদের
নামের আগে ডিগ্রী মওলানা লাগাতে হইবে?
ধরুন আপনি একটা সাইকেল বানাইলেন মানে অই সাইকেলের
স্রষ্ট্রা আপনি। তাইলে কি আপনাকে স্রষ্ট্রা বলে ডাকা যাবে?
আপনার বাবা মা আপনার বাড়িতে আপনার অভিভাবক এর
আরবী( অলী )।
এদিকে আল্লাহ নিজে বললেন যে আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন
অভিভাবক (ওলী) নাই।
তাহলে দুইটাই অলী আরবীতে কিন্তু ভিন্ন জিনিস ও আলাদা ভাবার্থ
তাই নয়কি?।
তাইলে বাবা মার পিছনে অলী লাগিয়ে রাখিনা কেন?
এগুলো বুঝার ক্ষেত্রে, বুঝানোর ক্ষেত্রে,রুপক কথা মাত্র ছাড়া অন্য
কিছুই না। আল্লাহর রাসুল(দ) কখনো বলেননি বা বলেও
যেতে পারেননা যে নামের আগে মাওলানা ওলী যোগ করো।আল্লাহ ও
রাসুলুল্লাহ (দ) যদি কোন বিধান না দিয়ে থাকেন নামের
আগে মাওলানা বসবে তাহা হইলে, যারা এগুলো বিশাস করবে, ও
মানবে তারা মহা পাকল ছাড়া আর কি?
বেদাতী ধবংসে সোচ্চার হউন।(আমিন)
হেযবুত তওহীদ
No comments:
Post a Comment