DESHERPATRO

Wednesday, August 21, 2013

পীরেরা আল্লাহর কি এই মর্যাদা দিলো?

পীরেরা আল্লাহর কি এই মর্যাদা দিলো?

পীর সাহেব করলো কি? একি হয়? মানুষ কি আজও বোকাই রয়ে গেলো?
তাইলে রাসুলুল্লাহ (দ) কিসের জন্য এসেছিলেন?  এই জন্য?

হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আমরা ঘোষণা করছি, তাঁরা তোমার উপর যে অপবাদ দেয়
তুমি তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। তুমি মহান! হে আমাদের প্রতিপালক!
আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি তুমি সুমহান তারা যে সব জঘন্য আকিদাহ তোমার
ব্যাপারে আরোপ করে সেগুলো উল্লেখ করতেই আমাদের হাত কাঁপে। অথচ
সেই সমস্ত জঘন্য মিথ্যাচার তারা অবলীলায় মসজিদে মসজিদে প্রচার
করে যাচ্ছে! সমস্ত বাতিল আকিদার মুখোস উন্মোচন
করতে তুমি আমাদেরকে সাহায্য করো। আমিন
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন
উপমাঃ
# হে আমার মাশুক! আপনি আমাকে আপনার এস্কে রাত-দিন মত্ত,
মাতোয়ারা, বে-ক্বারার ও অস্থির করিয়া করিয়া রাখুন।‘’
[আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৫]
# ‘’সতী নারীর পতি বিনে গতি নাই; আমাদের আল্লাহ্ ছাড়া উপায়
নাই’’
[আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৯]
# ‘’অতিশয় খুব ছুরাত সুন্দরী পর্দার আড়ালে লুকাইয়া থাকিতে অক্ষম;
তাই হে মাশুক মাওলা! আপনিও আর
একা থাকিতে না পারিয়া আমাদিগের কাছে কেন গোপন থাকিবেন?
দয়া করিয়া দেখা দেন, প্রান তো মানে না গো।
[আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১১]
# ‘’খুজি কত বনে বনে, পাই না খুজে পাহাড় অঞ্চলে, সাগর
প্রান্তরে পাইব কি তাহারে? ওগো প্রান গেলরে, তাঁকে বুঝি পাই
নারে। বিরহ বেদনা আর সহে না প্রানে, একবার দেখা দাও গো মোরে।
[আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১১]
# ‘’ওগো আমাদের মাশুক! আপনি জানেন যে, স্ব ইচ্ছায় মাশুক আপন
আশেককে ধরা না দিলে আশেক বেচারা আজীবন কোশেশ করিলেও
মাকছুদ হাসেল করিতে পারে না’’ [আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১১]
# ‘’বিরহ বেদনা আর প্রানে সহে না। বিচ্ছেদ অনলে, জুদাইর আগুনে আর
জ্বলিতে পারি না গো! কখন মিলন হইবে গো! এস্কের
আগুনে কলিজা মোদের জ্বলিয়া যায় গো। [আশেক মাশুক
পৃষ্ঠা নঃ ১৩-১৪]
# এমন আগুন! যখন যাহার ভিতর জ্বলিয়া উঠে মাশুক ছাড়া অন্য সবকিছু
জ্বালাইয়া তখনই ছারখার করিয়া দেয়। ওগো আমাদের মাশুক!
আমাদেরকে আর জ্বালাইবেন না। [আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১৪]
# আসুন গো আমাদের মাশুক! নিরালা নির্জনে বসি প্রেম আলাপ
করি গো।
[আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১৫]
# ওগো আমাদের মাশুক! আমি তো আপনাকে দিল দিয়াছি,
আপনি আমাকে কি দিয়াছেন? [আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১৫]
# ওগো আমাদের মাশুক! আপনি যদি মেহেরবানীপূর্বক আমার
অন্তরে স্থান লইতেন, তবে আমি আপনাকে সমরখন্দ ও বোখারা উভয়
রাজ্য দান করিতাম। [আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১৫]
# ওগো মাওলা! তোমার বিচ্ছেদের আগুন যেন দোজখের আগুন! আমি ভুল
বলিয়াছি তোমার মতো সুন্দর মাশুকের জুদাইর অগ্নি সম কোন অগ্নি নাই।
তাই বলি, আর দূরে রাখিয়া আমারে জালাইও না গো, কত আর
জ্বালাইবা, সহিতে পারি না গো। [আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১৬]
# দেখা দাও, দেখা দাও গো, ওগো আমার প্রানপতি।
তোমা বিনে নাইরে গতি। এখন কেন লুকাইলেন, দয়া করিয়া দেখা দেন
গো মাওলা। আপনি দয়া করিয়া আমাদেরে দেখা দেন। আসুন, আমাদের
দিলের মধ্যে বসুন, আমাদের দিল ঠাণ্ডা করুন। বহু খুবছুরাত মাশুক
দেখিয়াছি, কিন্তু আপনার ন্যায় কোথাও দেখি নাই। আপনি অন্যরূপ
মাশুক। ওগো আমার মাশুক আপনার দীদার না পাইলে আমার প্রান
কিরুপে বাঁচিবে? আপনার বিচ্ছেদ আর প্রানে সহ্য হয় না। [আশেক মাশুক
পৃষ্ঠা নঃ ১৬,১৯,২২,২৩]
# আমার দিলে এমন এক আশ্চর্য ব্যাথা। উহা আপনার এস্কের ব্যাথা।
[আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ২৩]
# মাহবুবের (অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার) নাম জেকের করা আশেকের
নিকট শরাবের মতো মজা” [আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ২৪]
# যাও পাখি বল তারে, সে যেন ভুলে না মোরে। আশেক মাশুক যখন
হবে মিলন, এই দুনিয়া ফানা হইবে তখন। সুখ-শান্তি সবই হবে মিলনে,
মাশুক ছাড়া সুখ নাই জীবনে। [আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ২৪]
# ওগো আমার মাশুক মাওলা! আপনি আপনার কুদরতি নজরে আমার দিকে
চাহিয়া দেখুন। আমি এখন আমি নাই। আমি আপনি হইয়াছি, আর
আপনি আমি হইয়াছেন। আমি হইয়াছি তন, আপনি হয়াছেন জান।
[আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৪১]
# কেহ বলিতে পারে না যে, আমি একজন আর আপনি আরেকজন।
বরং আমি ও আপনি এক হইয়া গিয়াছি। আপনি তো আপনি, আমিও আপনি।
[আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৪১-৪২]
# দোস্তের গালিও মজা লাগে। মানসুর হাল্লাজ যখন ‘’আনাল হক, আমিই
খোদা’’ বলিয়াছিল তখন মানসুরের খোদায়ী দাবীর কথা শুনিয়া আল্লাহ্
পাক গোস্বা হন নাই বরং খোশ হইয়াছিলেন। [আশেক মাশুক
পৃষ্ঠা নঃ ৪২]
# মানসুর হাল্লাজ আশেক মাওলার মহব্বতের জোশে ‘’আমিই খোদা’’
বলিয়া চির অমর হইয়া রহিয়াছেন। [আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৪২]
# মানসুর হাল্লাজ শরীয়তের হুকুম অমান্য করিয়াছেন সত্য, কিন্তু ‘’আমিই
খোদা’’ বলা পরিত্যাগ করেন নাই। মানসুর হাল্লাজ যে আল্লাহ্র খাস
অলি ইহাতে সন্দেহ নাই। [আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৪৩-৪৪]
# ওগো আমার মাশুক! আপনি বেপর্দা হইয়া আমার এই বাসায় আসুন’’
[আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৫০]
# হে আমার মাশুক! আপনার মাথার চুলগুলি কাকই (চিরুনি)
দ্বারা না আঁচড়াইয়া এলোমেলো রাখিয়া আমাকে মুসিবতে ফেলিবেন
না। আমার পাগল মনটি শিকল দ্বারা বাধিয়া রাখার শক্তি আমার নাই।
অতএব আপনি আমাকে সব সময় সুসজ্জিত বেশে দেখা দিবেন। তখন আমার
পাগল মনটি শান্ত থাকিবে। [আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৫১]
# মাশুক চায় গহনাপত্র। আশেক তাহা সংগ্রহ করি দিলেই মাশুক
আশেকের প্রতি খোশ হইয়া তাহার সাথে প্রেমালাপ করেন।
[আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৫৬]
# ওগো আমার মাওলা! আমি যদি তোমাকে পাইতাম, তবে সাবান
দিয়া গোছল করাইয়া দিতাম, মাথার চুল আঁচড়াইয়া দিতাম,
চোখে সুরমা লাগাইয়া দিতাম, বকরি দোহাইয়া দুধ পান করাইতাম।
[আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৭৭]
# আশেক মাশুকের মধ্যে যেসব ভেদ চলিতে থাকে তাহা কেরামান
কাতেবীন ফেরেশতারাও টের পান না। [আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৭৯]
# আল্লাহ্র আন্দাজ নাই। [ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা নঃ ১৫]
# মানুষ যদি মানুষের জন্য পাগল হইয়া জঙ্গলবাসী হইতে পারে যেমন-
মজনু লাইলির জন্য, জোলেখা ইউসুফের জন্য, ফরহাদ শিরীর জন্য,
তবে আল্লাহ্ পাকের প্রেমিকগন তাঁহার প্রেমে পাগল হইয়া বেহুস-
বেকারারী করিতে পারিবে না কেন। [ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা নঃ ৬৭]
# কাহারো স্ত্রী যদি খুব সুন্দরী হয়, আর সে যদি খোজা বা ধ্বজভঙ্গ হয়,
তবে কিছুতেই সে ঐ বিবির সঙ্গে মিলিতে পারিবে না। ঠিক এইরুপ
মনে করিবেন-
যাহার রুহ খোজা বা মরা, অর্থাৎ- মাবুদের প্রেম হইতে বঞ্চিত, তাহার
রুহ
কিছুতেই মাবুদের সাথে মিলিতে পারিবে না। [ভেদে মারেফত
পৃষ্ঠা নঃ ৬৭]
# প্রত্যেক জিনিসের মধ্যে একটা তাছির আছে। যথা অগ্নির তাছির গরম,
পানির তাছির ঠাণ্ডা। যদি স্ত্রীর গায়ে হাত দিলে শরীর গরম
হইয়া উঠে, মাশুকে হাকিকী আল্লাহ্ পাকের নামে কেন তাছির
থাকিবে না? হ্যা, যদি কেহ খোজা হয়, তবে তাহার স্ত্রীর শরীরে হাত
দিলেও কখনো তাহার মধ্যে এশক-মহব্বত পয়দা হইবে না,
এমনিভাবে যাহাদের দেল মরা, তাহাদেরও আল্লাহ্ পাকের নামে কোন
তাছির হইবে না। বন্ধুগন! নিজের স্ত্রীর সঙ্গে মিলিবার সময়
যদি উত্তেজনার সৃষ্টি হইতে পারে, তবে মাবুদের সঙ্গে রুহ মিলিতে কেন
উত্তেজনার সৃষ্টি হইবে না? [ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা নঃ ৬৯]
# মাবুদকে এমনভাবে ডাকিবে, যেন ডাকিতে ডাকিতে কেয়ামত
হইয়া যায়, মুনকার নাকীর ছুয়াল করিবার সময় না পায়। [ভেদে মারেফত
পৃষ্ঠা নঃ ৮৪]
# শরীরের মাশুক স্ত্রী, রুহের মাশুক মাওলা পাক।
[বেহেস্তের সুখ পৃষ্ঠা নঃ ৫৫]
উপরে উল্লেখিত বক্তব্যগুলো ‘’সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী;
আল-এছহাক পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল
ফেব্রুয়ারি ২০০৭’’ থেকে সংগৃহীত।
মহান আল্লাহ্ সম্পর্কে আমরা শুধু উপরোক্ত চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ ও অশালীন
কথাগুলোর প্রতিবাদে আমরা শুধু দু’টি আয়াত উল্লেখে করে শেষ করব ইন
শা আল্লাহ্।
তারা আল্লাহ্র যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় না। কিয়ামতের দ্বীন সমগ্র
পৃথিবী তাঁর হাতের মুষ্টিতে থাকবে, আর আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাজ
করা অবস্থায় তাঁর দান হাতে। মাহাত্ম তাঁরই, তারা যাদেরকে তাঁর
শরীক করে, তিনি তাদের থেকে বহু উরধে।
সুরা আয-যুমার আয়াত নঃ ৬৭
আর তিনি মুনাকিক পুরুষ ও মুনাফিকা নারী, মুশরিক পুরুষ ও
মুশরিকা নারীকে শাস্তি দিবেন যারা আল্লাহ্ সম্পর্কে খারাপ
ধারনা পোষণ করে। তাদের জন্য আছে অশুভ চক্র। আল্লাহ্ তাদের উপর
রাগান্বিত হয়েছেন আর তাদেরকে লা’নাত করেছেন। তাদের জন্য প্রস্তুত
করে রেখেছেন জাহান্নাম। তা কতই না নিকৃষ্ট আবাসস্থল। সুরা আল-
ফাতহ আয়াত নঃ ৬
হে আল্লাহ্! আমাদেরকে তুমি যেভাবে বলেছ এবং রাসুল (সঃ)
যেভাবে বলেছেন সেই অনুযায়ী তোমার প্রতি সঠিক ধারনা দান করো।
আমিন
collected from- Tablig Jamat + Chormonai er Postmortem

;

No comments:

Post a Comment