রাসুলুল্লাহ (দ) কে কেমনে বাদ দিলো কাদিয়ানী?
কাদিয়ানী আল্লাহর আয়াতকেই উল্টিয়েছে কিভাবে?
রাসুলের মাঝেই আজকে মোসলেম উম্মাহর জন্য উত্তম আদর্শ নিহিত।
কিছু কাদিয়ানী মাঠে নেমেছে যারা এমন ভাবে আয়াত দেখাই যে রাসুলই বাদ পড়ে যায়।তারা বলে সুরা আহযাবে 40 নং আয়াতে শেষ নবী (মানে খাতামুন্নাবিয়ীন) তার পর বলে শেষ নবী মানে নবী শেষ, রাসুল শেষ নয়। আল্লাহ বোললেন যে শেষ এরা বলে রাসুল আসবে (মানে ইসা (আ) রাসুল হিসাবে আসবে। মানে আল্লাহ অন্য আয়াতে দীন পরিপুন এই আয়াত মিথ্যে হয়ে যায়।(Deen is complete) তাইলে কেমনে আবার রাসুল আসবে? আল্লাহ নিজেই বলেছেন -তাহার কথাই কোন রদবদল হয়না। (সুরা আল কাহাফ 29) তাইলে কি কাদিয়ানী দের বেলায় তাদের চিন্তার উপর Depend করে আবার রাসুল পাঠাইবেন?
আল্লাহ যে অর্থে এই আয়াত বলেছে তারা তার তরজমা উল্টা বুঝে।তারপরে মানুষকে বিভ্রান্ত করে, মানুষ মেনে নিতে বাধ্য হয়। কারন কোরানের আয়াত কিন্তু আল্লাহ অইভাবে বলেননি।
এরা এও বোঝেনা যে -"প্রত্যেক নবী মানেই রাসুল নন আর প্রত্যেক রাসুল মানেই নবী।"
(এই সুত্র যারাই ভুলবেন তারাই কাদিয়ানী বিশাস করতে শুরু করবেন)
আল্লাহ বোললেন "খাতামুন্নাবিয়ীন "মানে শেষ নবী- রাসুল মানেই যদি নবী হয় তাহলে নবী খতম হলে রাসুল আসার কি প্রয়োজন? কারন. রেসালা অহী বন্ধ / Deen complete. Nothing য় added with deen.How will Rasool come again?
নবীর দায়িত্ব রেসালা দিয়ে আল্লাহর বিধান দিয়ে মানুষ পরিচালনা উহা সমাজে/রাষ্ট্রে প্রতিষ্টিত করা। এই হলো নবী আর যিনি আল্লাহর কাছ হতে "অহী পাবেন তিনি রাসুল (কারন তিনি আল্লাহর কাছ হতে রেসালা নিবেন "অহী প্রাপ্ত হবেন।)যিনি রেসালা বা অহী নেবেন তিনিই হলো রাসুল বা রাসুল্লাহ। আর সুরা আহযাবে 40 নং আয়াতে খাতামুন্নাবিয়ীন না বলে যদি আল্লাহ বলতেন খাতাবুরাসুল তাহা হইলে কাদিয়ানী আরো বিশাল সুযোগ পাইতো মানে নবী আসবেই। এই জন্য আল্লাহ জানেন তিনি রাহমানুর রাহীম তাই আল্লাহ বল্লেন খাতামুন্নাবিয়ীন ,কারন আল্লাহ যদি খাতামুন্নাবিয়ীন না বলেন তাইলে কোরানের বহু আয়াত বাদ পরে যায়।
(যেমন এসলাম পরিপুন - দীন কে পুন করলাম)
তাই আল্লাহ গোড়ায় মেরে দিয়ে বলেছেন খাতামুন্নাবিয়ীন (আহযাব 40) কারন আল্লাহ মহান তাই সত্যি জবাবই দিলেন মানব জাতি আবার "এই সুত্র ভুলে যাবে?, নবী মানেই রাসুল নন আর রাসুল মানেই নবী? এখানেই কাদিয়ানী ধরা। আল্লাহ জানতেন যে এগুলো হবে তাই আল্লাহ খাতামুন্নাবিয়ীন দিয়েছে।আর কোরানে কোন ভুল নেই (বাকারা- 1)অবশ্যই এই আয়াত বলতেন আল্লাহ। কাজেই কাদিয়ানী মহা প্রতারক শয়তান এদের যারা মানে তারাও শয়তান তাও ডাহা শয়তান।
তাই কাদিয়ানী হতে দুরে থাকুন।
কিছু কিছু আয়াতে আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (দ)কে সতর্ক করেছেন মাত্র। সারা কোরানে আল্লাহ রাসুলের (দ) সাথে তুই, তুকার পযন্ত বলেননি।বলেছে আপনি বলুন,বারে বারে সারা কোরানে- বলো , বলে দিন কি সুন্দর মধুর ব্যবহার।
কিন্তু আজ এই কাদিয়ানী রাসুলের উপর দরুদ ও সালাম দেয় না যেটা আল্লাহ নিজে দিতে বলেছেন।
এদের কাজ কারবার দেখলে চোখে জল এসে যায়, কারন এরা সরাসরি রাসুল (দ) কে বাদ দিয়ে লইছে। আল্লাহ বলেন আমাকে পেতে হলে আমার সাহায্য পেতে হলে রাসুল কে ভালোবাসো অনুসরণ করো মানো ,তাও আবার তোমাদের পরিবারের চেয়ে। তাই আল্লাহ বললেন রাসুলুল্লাহ (দ) এর মাঝে উওম আদর্শ রয়েছে। (সুরা আহযাব 21)
তাহলে যে যায়গায় আল্লাহ রাসুল (দ) সম্মান জানিয়েছ আমরা সম্মান (মানে দরুদ) জানাবো না? আল্লাহ এবং মালাইকা সহ রসুলের উপড় দরুদ ও সালাম পাঠান।
সালাতু সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ (দ)
সালাতু সালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহ
সালাতু সালামু আলাইকা ইয়া খাতামুন্নাবিয়ীন
সালাতু সালামু আলাইকা ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন।
রাসুলের ভালোবাসা আনুগত্য. রাসুলের সেরাত ছাড়া, আদর্শ ছাড়া কেউ কোনদিন জান্নাতে যাইতে পারবেনা। রাসুলের জীবনে আল্লাহর হুকুমের বাহিরে কোন কাজ করেননি।
ইয়া আল্লাহ তুমি আমাদের রাসুলের উওম আদর্শ অনুসরণ করার তওফীক দাও। (আমিন)
হেযবুত তওহীদ_____
No comments:
Post a Comment