DESHERPATRO

Monday, July 29, 2013

রাসুলুল্লাহ(দ:)সয়ং ধোকায় পরে যাবে?

রাসুলুল্লাহ(দ:)সয়ং ধোকায় পরে যাবে?

এমামুয্যামান (The leader of the time)জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী।

মহানবী (দঃ)আমাদের আগেই বোলে দিয়েছেন।      তিনি বোলেছেন,তোমাদের আগে আমি হাউসে পৌছব, আমার সামনে দিয়ে যারা যাবে তারা পানি পান কোরবে এবং যারা পান করবে তারা আর কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না। লোকজন যাদের আমি চিনি এবং যারা আমায় চেনে পানি পান করার জন্য আমার কাছে আসবে কিন্তু
তাদের ও আমার মধ্যে বাধা-ব্যবধান সৃষ্টি করা হবে। তখন আমি বলবো, এরা তো আমার লোক। বলা হবে,আপনি জানেন না, আপনার পর এরা কি বেদা'ত কোরেছিল।তখন আমি বলবো, দূর হও, দূর হও, যারা আমার পর বেদা'ত কোরেছো [হাদীস সহল বিনসা'দ (রাঃ) থেকে- বুখারী,মুসলীম, মেশকাত-মুসনাদ আহমদ ইত্যাদি]।

এই অনেকটা শাব্দিক অনুবাদকে সহজ ভাষায় বোললে এই দাঁড়ায়- আল্লাহ(Allah)র রসুল (দঃ) সবার আগে হাউসে কাওসারে পৌছে যাবেন, তারপর তার উম্মাতের মানুষ তার সামনে দিয়ে যেতে থাকবে আর তিনি (দঃ) তাদের কাওসারের পানি পান
করাতে থাকবেন, যে পানি একবার পান কোরলে মানুষ আর কখনও তৃষ্ণার্ত হয় না। এর মধ্যে এমন একদল মানুষ আসবে যারা কাওসারের পানি পান কোরতে অগ্রসর হোলেও রসুলাল্লাহ (দঃ) ও তাদের মধ্যে এক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হবে। তখন তিনি বোলবেন, এরাতো আমার লোক অর্থাৎ আমার উম্মত। তখন বলা হবে অর্থাৎ আল্লাহ(Allah)বোলবেন, আপনি জানেন না আপনার পর আপনার উম্মাহর
ঐসব লোক আপনি যে দ্বীন রেখে এসেছিলেন তার
মধ্যে কি কি বেদা'ত কোরেছে। এই কথা শুনে ব্যাপারটা বুঝে বিশ্বনবী (দঃ) ঐ সমস্ত
লোকদের বোলবেন, দূর হও! দূর হও! যারা আমার পর দ্বীনে বেদা'ত কোরেছো ।

অর্থাৎ মহানবী (দঃ) তার উম্মাহর ঐ লোকদের ভাগিয়ে দেবেন, তাদের কাওসারের পানি পান কোরতে দিবেন না, কারণ তারা বেদা'ত কোরেছিলো।
এখানে এইটুকুই লিখবো যে, আল্লাহ(Allah) রসুলের (দঃ)মাধ্যমে যে দ্বীন, জীবন ব্যবস্থা মানব জাতিকে দিয়েছেন তা পরিপূর্ণ, তাতে কোন কিছু নতুন সংযোজন হলো বেদা'ত। এই বেদা'তকে, সংযোজনকে মহানবী (দঃ) শেরক বোলেছেন, কারণ এটা করা মানে আল্লাহ(Allah)র
সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করা,এবং প্রকারান্তরে বলা যে আল্লাহ(Allah)র দ্বীন পূর্ণ নয়।শুধু নতুন সংযোজনই যদি শেরক হয়, যে শেরক আল্লাহ(Allah) প্রতিজ্ঞা কোরেছেন মাফ কোরবেন না বোলে, তবে শুধু সংযোজন নয়, দ্বীনের সর্বপ্রধান অর্থাৎ জাতীয় ভাগটিকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আইন-কানুন, দণ্ডবিধি ইত্যাদি বর্জন কোরে সেখানে ইউরোপের ইহুদী-খ্রীস্টানদের তৈরী ব্যবস্থা জীবনে প্রয়োগ কোরে রসুলের (দঃ) ব্যক্তিগত সুন্নাহগুলি পালন কোরে যারা নিজেদের উম্মতে মোহাম্মদী বোলে মনে কোরে আত্মপ্রবঞ্চনায় ডুবে আছেন তাদের কি অবস্থা হবে ? প্রত্যেক নবীর (আঃ)একটি কোরে হাউস থাকবে এবং তারা প্রত্যেকে যার যার উম্মাহকে কেয়ামতের দিনে তা থেকে পানি পান করাবেন।

আমাদের প্রিয় নবীও (দঃ) তার হাউজে কাওসার
থেকে তার উম্মাহকে পানি পান করাবেন। আল্লাহ(Allah) যখন নবীকে (দঃ) বেদা'তকারীদের পানি পান করাতে বাধা দেবেন তখন বোঝা গেলো তারা আর নবীর(দঃ) উম্মত নয়। যদিও আপাতদৃষ্টিতে তারা অবশ্যই তার উম্মত ছিলো, নইলে মহানবী (দঃ) প্রথমে একথা কেন বোলবেন যে, ওরাতো আমার লোক, অর্থাৎ আমার উম্মত। ঐ
লোকগুলি আজকের "উম্মতে মোহাম্মদী"। দৃশ্যতঃ এত উৎকৃষ্ট উম্মতে মোহাম্মদী যে আল্লাহ(Allah)র সর্বশ্রেষ্ঠ রসুল পর্য্যন্ত প্রায় ধোকায় পতিত হবেন।

আল্লাহ(Allah) বাধা না দিলে তো কাওসারের পানি পান করিয়েই দিতেন। বিশ্বনবী (দঃ) যখন তাদের ‘দূর হও, দূর হও'বোলে ভাগিয়ে দিবেন তখন অবশ্যই একথা পরিষ্কার যে তার উম্মাহ থেকেই ভাগিয়ে দেবেন। কাপড়ে চোপড়ে,চলাফেরায়, কথাবার্তায়, খাওয়া দাওয়ায়, শোয়ায় তারা উৎকৃষ্ট সুন্নাহ পালনকারী কিন্তু আসলে বেদা'ত ও শেরকে নিমজ্জিত। যাত্রাদলের কাঠের বন্দুক দেখতে একদম
বন্দুক, কিন্তু তা থেকে গুলি বের হয়না। এরা নিজেদের
ফাঁকি দিচ্ছেন, অন্যকে ফাঁকি দিচ্ছেন এবং কেয়ামতে আরএকটু হোলেই একেবারে স্বয়ং নবীকরীম (দঃ) কেই ফাঁকি দিয়ে ফেলেছিলেন আর কি!

মুসলিম(Muslim) আদম (আঃ) থেকে প্রত্যেক নবীর সময়ই ছিলো কিন্তু উম্মতে মোহাম্মদী শুধু শেষ নবীর (দঃ) পর থেকে। এই উম্মাহর একমাত্র সাফায়াতকারী তিনি।তিনি যদি আমাদের তার উম্মাহ বোলে স্বীকার না করেন,দূর হও! দূর হও! বোলে তাড়িয়ে দেন। তবে জাহান্নাম ছাড়া আমাদের আর কোন জায়গা নেই।

হেযবুত তওহীদ, সিকদার----

No comments:

Post a Comment