মানুষ জবাই
................
ছোটবেলায় কোরবানীর ঈদের সময় গরু কোরবানী করতে দেখতে যাবার জন্য খুব উৎসুক হয়ে থাকতাম। অথচ ঠিক জবাই করার দৃশ্যটা আমি দেখতে পারতামনা। চোখ বন্ধ করে রাখতাম। প্রত্যেকবার একই ঘটনা হতো। আমার দাদু বলতেন, কোরবানী করার আগের দিন গরু কান্নাকাটি করে। সে বুঝতে পারে তাকে জবাই করা হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতাম যে, সত্যি গরুর চোখ বেয়ে অশ্রু পড়ছে। সে দৃশ্য দেখে আমারও চোখে অশ্রু আসত।
.
আজ এত বয়স হয়েছে এখনও আমি গরু জবাইএর দৃশ্যটা সহজভাবে দেখতে পারিনা। এমনকি একটি মুরগী জবাই করার দৃশ্যও আমার সহ্য হয়না। গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী এগুলো তো আল্লাহ হালাল করেছেন জবাই করে খাওয়ার জন্য। কিন্তু মানুষ জবাই???!!!!!
.
কিভাবে কেউ মানুষ জবাই করতে পারে?? তার চোখ উপড়ে ফেলতে পারে?? তার নিথর দেহটাকে বিভৎসভাবে বিকৃত করতে পারে?? কিভাবে মানুষের দেহকে আগুন দিয়ে চোখের সামনে জ্বালিয়ে দিতে পারে?? আমি দুঃস্বপ্নেওে এমন ভাবতে পারিনা। এরকম কাজ যারা করে তারা কি সত্যি মানুষ???
.
যার মধ্যে মায়া, মমতা, ¯েœহ, ভালোবাসা এক কথায় মানবিকতা আছে তারাই তো মানুষ। এইসব বৈশিষ্ট্য ছাড়া কেউ মানুষ হতে পারেনা। এরা মানসিকভাবে বিকৃত। এদের মানসিকভারসাম্য হারিয়ে গেছে। যেমন- একটা বদ্ধ উন্মাদকে যদি রাস্তার পাশের নোংরা থেকে খাবার তুলে দেন সে যেমন খাবে, তার যেমন ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সত্য-অসত্যের কোনো জ্ঞান থাকেনা। তেমনি এসব মুসলিম নামধারী ইসলামের ধারক বাহকরা এতটাই হিংস্র নেশায় উন্মত্ত যে তাদের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়েছে। তা না হলে এরকম নরপশুর মতো কাজ কি কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব??
এরা আবার নিজেদের মুসলমান দাবী করে। আল্লাহর রসুলের শিক্ষা কি মানুষ জবাই??
.
হে মানবজাতি, আজ হেযবুত তওহীদের এ নিরপরাধ মানুষগুলোর সাথে যা হলো, মনে রেখো তোমরা যদি এখনো সচেতন না হও তাহলে খুব শীগ্রই এই ধরণের ঘটনা তোমাদের জন্যও আসবে। কারণ ধমীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে এরা সাধারণ মুসলমানদের দিয়ে সব কাজ করাতে পারবে।
.
এসব ঈমানঘাতকদের কাছ থেকে তোমাদের ঈমানকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য, মানবতার মুক্তির জন্য, নিরাপত্তার জন্য, পৃথিবীময় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য হেযবুত তওহীদের সদস্যরা তাদের সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কোনোরকম দুনিয়াবী স্বাথেৃর জন্য নয়। শুধু মানবতার কল্যাণের জন্য। আজ তারা তাদের জীবনটাও তোমাদের জন্য কোরবানী করে দিলো। তারপরও কি হে মানবজাতি, তোমাদের টনক নড়বেনা???
আর কতকাল...............????
আর কতদিন..............................???
স্বজন হারানো ব্যাথা যদি না পেতে চাও, যদি নিজের প্রিয় মানুষটির দেহকে নরপিশাচদের উন্মত্ত হলি খেলার সরঞ্জাম হতে দিতে না চাও, তবে সোচ্চার হও, ঐক্যবদ্ধ হও এসব ধমব্যবসায়ী, উগ্র মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে।
কার্টেসি: Sultana Razia
No comments:
Post a Comment