DESHERPATRO

Monday, September 28, 2015

হজ্জ কবুল হয়েছে? হয়নি! হয়নি! চোখ কান বুঝে না দেখার বান কোরে লাভ কি? সার্থপরতা?

হজ্জ কবুল হয়েছে? হয়নি! হয়নি!
চোখ কান বুঝে না দেখার বান কোরে লাভ কি?
সার্থপরতা?

হজ্জের উদ্দেশ্য আজ বিকৃত কাজেই এখানে মারা গেলে পাশে ইরাক সিরিয়ান দের বদদোয়ায় মারা যাচ্ছে। কারন হজ্জের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো মুসলিম জাতির সমস্যার সম্মেলন কেন্দ্র, কাবা কারো একার সম্পদ নয়,এখানে বছরে একবার এসে মুসলিম জাতির সমস্যা গুলো আলাপ আলোচনা হবে।এইজন্য আসল হজ্জ মক্কায় নহে,আসল হজ্জ আরাফাতের ময়দানে, কারন মুসলিম জাতির রাজনৈতিক আলোচনা সেখানেই হবে। এইজন্য অমুসলিম সেখানে প্রবেশ নিষেধ ( Muslem only permitted)।

আর বর্তমানে সেই হজ্জে কি আলাপ হয়? কিচ্ছু না, কিচ্ছু না,ইরাক,ফিলিস্তিন, সিরিয়ার কথা?
না না না,
কাজেই হজ্জ হচ্ছেনা কোরবানি হচ্ছেনা এগুলো সব বৃথা। হজ্জ আজ লোক দেখানো হাজী টাইটেল, আর সৌদিদের প্রধান ধর্মব্যবসা, এই আয় দিয়েই এরা সব ধরনের ইনজয় ফুর্তিফার্তা কোরে।

আর কোরবানি? ত্যাগ, সেক্রিফাইস?
কিসের ত্যাগ? কোন হাজী ত্যাগ কোরেছে? কোরেনি--- নিজের জান্নাতের স্বার্থ দেখেছে, দেখেনি ইরাক, সিরিয়া, ফিলিস্তিন এর কষ্ট, ভারাক্রান্ত কান্না।
কোথায় এদের ত্যাগ সেক্রিফাইস?  (কোরবান?)
এদের কোরবান মানে ফ্রিজে রেখে গোশত ভোগ অর্থাৎ ত্যাগের বিপরীত।
এটাও কোরবানি নহে।

মুসলমান দুনিয়ায় আজ হাহাকার আর এরা হজ্জে যাইয়া ক্রেনে মরে পায়ের তলায় মরে,জান্নাতুল বাকিতে কবর হয় আর এদের ছোবহান'আল্লাহ জ্বালায় আর কিছু দেখিনা। বলে সব জান্নাতি আহা আমি যদি এভাবে মরতাম, হায় আফসোস কোরেই কি ক্ষান্ত?  না একেবারে জান্নাতুল ফেরদাউসে উঠাইয়া দেয় এরা দোয়া কোরে।

এখন মহান আল্লাহর ঘোষণা দেখুন আর এদের হজ্জের কারবার দেখুন - আল্লাহ এদের ভোগের বিনিময়ে যে গযব দিলেন, সেই গজবেও ছোবহান'আল্লাহ বলার অভাব নেই,যে ছোবহান'আল্লাহ এর মানে আল্লাহ নিখুঁত, হ্যা আল্লাহ এদের উপর ঠিক সময়ে ঠিক নিখুঁত কামডাই করেছেন।পাশে সিরিয়া, ইরাক,ফিলিস্তিন আর এদের কে আল্লাহ ছোবহান'আল্লাহর (আল্লাহ নিজেঈ যে নিখুঁত ও সঠিক দায়িত্ব পালনকারী) তা হজ্জের সময়ের গজবের মাধ্যমেই আল্লাহ সয়ং প্রকাশ কোরেছেন- তারপরেও এই বোধশক্তিহীন জাতি সেটা কে নিয়ামতে ফেলে ছোবহান'আল্লাহ ছোবহান'আল্লাহ কোরে কোরে আল্লাহর ক্রোধ বৃদ্ধি কোরছে।

আল্লাহ সয়ং এদের কে বলছেন-

সূরা আন নিসা:75 - আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।

সূরা আল বাক্বারাহ:177 - সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।

হাবিব বিন আব্দুস ছোবহান।

No comments:

Post a Comment