"গরু কাপুরুষ বোধশক্তিহীন এ জাতির উদাহরণ'
গত শুক্রবার মক্কাতে প্রচণ্ড ঝড়তুফান হয়,
সেই সাথে নিউজে দেখলাম যে মক্কায় ক্রেন ভেঙ্গে প্রায় ১০০ এর অধিক লোক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অনেকেই। এ দেখে কেউ ছোবহান'আল্লাহ কেউ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুল'আল্লাহ পড়ছেন বার বার পড়ছেন।
এখন হজ্জের মৌসুম। অনেক দেশ থেকে হজ্জে পাড়ি জম্মাচ্ছে,হজ্জ করতেছেন। হজ্জ হলো মুসলিম দের মহাসম্মেলন, অর্থাৎ এর একমাত্র উদ্দেশ্য হইলো যে মুসলিম জাতি একজাতি হিসেবে একটি যায়গায় প্রতি বছর হজ্জে একত্র হবে। বিভিন্ন মুসলিম দেশে কি সমস্যা কি অবিচার, ন্যায় অন্যায়, সন্ত্রাসবাদ, উন্নতি অবনতি,সরকার কিরকম এগুলো আলাপ হবে। এজন্য আরাফাত এর ময়দান কেই একমাত্র হজ্জের স্থান বলা হয়ে থাকে। সেই আরাফাত এর ময়দানে অমুসলিম দের প্রবেশাধিকার নাই(Only Moslem is permitted).
কেন? এইজন্য যে, মুসলিম (Nation States secret) এখানে বলা হবে, পরামর্শ হবে।
বর্তমান অবস্থা:- সম্প্রতি অবস্থা সিরিয়া (অন্যান্য মুসলিম দেশের কি অবস্থা তাও জানেন, মক্কার আশে পাশের দেশসমুহের অবস্থা) হাজার হাজার মানুষ উদয়াস্ত, রিফুজি। বাড়িঘর ছাড়া কেন?
এইজন্য যে, জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসবাদের কারনে, এই জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসবাদের স্রষ্টা পশ্চিমা সভ্যতা, এ এক মহা চক্রান্ত। যে চক্রান্তের ফাদে পা দিয়েছে মুসলিম নামধারী, অতি লেবাসধারী মুসলিম সম্প্রদায়। ধর্মীয় ভুল ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ যাদের একমাত্র দলিল।
এই রিফুজি মানুষগুলো স্মরণাপন্ন হচ্ছে খ্রিস্টান দেশসমুহের প্রতি, আমেরিকা অলরেডি ঘোষণা দিয়েছে ১০ হাজার সিরিয়ান শ্মরনার্থী নেবে, কেন নেবে? ভেসে যাওয়া আবর্জনা মত"এই কথা কে সত্য করতে,কারন রসুল (স) বলেছিলেন যে, আমার উম্মাহ এমন এক সময় আসবে তখন তারা হবে ভেসে যাওয়া আবর্জনার মত,তাদের খাবার পরিবেশন কোরে ডাকা হবে। (হাদিস) আজ ঠিক সিরিয়ান দের একই অবস্থা।(অস্ট্রেলিয়াও এই রিফুজি দের যায়গা দিতে চাইছে)
তাদের চার্চ (গীর্জা) মুসলিম রিফুজি দের জন্য খালি। তারা দয়া দাক্ষিণ্য দেখাচ্ছে।
আর মুসলিম রা তাদের যুদ্ধ কোরে দেশ থেকে বাহির কোরে দিচ্ছে, এর অস্ত্র দিচ্ছে কে? দাজ্জাল! ইহুদী-খ্রিস্টান বস্তুবাদী সভ্যতা।
পাশেই চলছে আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, আল্লাহুমা লাব্বাইক, (আল্লাহ আমরা হাজির, আমরা হাজির)
দেখেছেন, কোথায় হাজির এরা?
হাজার হাজারা রিফুজিদের যায়গা না দিয়ে আল্লাহ কে বলছেন যে, আল্লাহ হাজির হইছি।
এবার আল্লাহ সয়ং দিলেন কি দিলেন?
ঝড় তুফান ঝঞ্চাবায়ু প্রলয়,
এবরাহীম (আ) এর হাতের ছুরিকে আল্লাহ নিষেধ করলেন যে কেটো না ইসমাইলের গলা। ব্যাস কাটলোনা,
কিন্তু আজ পবিত্র মক্কার ক্রেন কি থেমে আছে?
না নেই যেহেতু আল্লাহর হুকুমেই সব হয় সেহেতু এটাও আমি বিশ্বাস করি যে আল্লাহর হুকুমেই হয়েছে,
ক্রেন পড়ে যাও, গেছে পড়ে গেছে,
কি হোয়েছে? অনেক মানুষ হতাহত হোয়েছে।
কষ্টের হলেও এই পরিস্থিতিতে এটা কেন ঘটলো?
পাশে একসাথে সিরিয়া রিফুজি জঙ্গীদের কারনে (যাদের স্রষ্টা ইহুদী-খ্রিস্টান সভ্যতা -জঙ্গীদের অস্ত্র সাপ্লাইয়ের বস)
তাহলে বুঝেন, এদের ছোবহান'আল্লাহ (অর্থাৎ আল্লাহ নিখুঁত) বলার কত শক্তি(পাওয়ার)। হ্যা আল্লাহ নিখুত,পাশে সিরিয়ান রিফুজি, আর এদিকে চারিদিকে বিপদ কাটিয়ে অন্যায় অবিচার অসহায় (নিসা ৭৫) রিফুজিদের বিপদে রেখে বলছে-
আল্লাহ হুম্মা লাব্বাইক -আল্লাহ হাজির আছি, আল্লাহ বলছে দ্বারা হাজির দেখাচ্ছি,ঝড় দিলাম, ক্রেন দিলাম, ভেঙ্গে পড়লো, চারিদিকে হজ্জ ফালাইয়া দৌড়াদৌড়ি হাজিদের ভিডিওতে দেখলাম।
এরপরে দেখলাম, খালি সবাই বলছে, ছোবহান'আল্লাহ মানে আল্লাহ তুমি নিখুঁত, হ্যা নিখুঁত খুব নিখুঁত কামডাই করেছেন আল্লাহ, আবার বলছে, হাসবুনাল্লাহ হাসবুনাল্লাহ বলছে পড়ে আরো কিছু বলছে যাইহোক, আল্লাহ সাহায্য নিয়ামত এভাবে বলতেছে, আল্লাহর কি নেয়ামত দেখেছেন?
পাশে মুসলিম দেশে বিশাল প্রবলেম আর এদিকে আল্লাহ এদের নিয়ামত দিচ্ছে। আল্লাহ যখন এদের গযব দেয় তখন এরা ভাবে এদের মহান আল্লাহ
নেয়ামত প্রদান কোরেছে,
আসলে কি তাই? আসলে তা নয়,তা হবার নয়,
কারন গরু খায়,গরু ঘুমায়, গরু মার খায়,কেন খায় তাও জানেনা, গরুর কোন লক্ষ্যও নাই। বর্ত্তমান মুসলিম জাতিরও তাই হোয়েছে।
একেবারে গরু খাপের খাপ বজার বাপ।
শুধু কি ছোবহান'আল্লাহই পড়তেছে? সাথে পড়তেছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুল'আল্লাহ (যার মানে হলো আল্লাহ তোমার হুকুম বিধান ছাড়া অন্যটা মানিনা, আর তোমার রসুল মুহাম্মদ (স))
এরা আল্লাহর হুকুম কে সীমাবদ্ধ কোরে নামাজ রোজা হজ্জের মধ্যে। বাকি মুসলিম দুনিয়ায় চলছে নিধন, আর রিফুজিকরন। আল্লাহ এদের উপর কতই খুশি যে গযব আপতিত করছে, আর সবাই ছোবহান'আল্লাহ ছোবহান'আল্লাহ করছে এইভেবে যে আল্লাহ এদের উপর রহমত নাযেল কোরেছে। এদের উদ্দেশ্য আকিদা যেরকম আজ বিকৃত বিপরীতমুখী তেমনি চিন্তাচেতনাও বিকৃত বিপরীতমুখী। এক কথাই বোধশক্তিহীন একটি অকেজো জাতি।
এই যে আল্লাহর হুকুমত কলেমার মধ্যে তা কি নামাজ রোযা হজ্জে সীমাবদ্ধ?
তা নয়, এই হজ্জের একটা যায়গা আরাফাত এর ময়দান, আসল হজ্জ মক্কায় নয় আরফাতে, সেখানে সিরিয়ান রিফুজিকরন, ফিলিস্তিন দের অসহায়ত্ব এর কথা, অর্থাৎ পুরা বিশ্বের মুসলিম সমস্যার আলোচনা করবে,তাহলেই হজ্জ হলো,সেখানে যেয়ে আজ কি বলে? আল্লাহুম্মা লাব্বাইক (আল্লাহ আমরা আইছি)
তোমরা আইছো ক্যারে?
গরু জাতি বলে গোনাহ মাফ করো,
জান্নাত চাই, জান্নাত কি গাছের গোটা চাইলেই পাওয়া যায়?
যাও জান্নাত কামাই করো রিফুজিদের জায়গা কোরে দাও(সুরা নিসা ৭৫)
ওরা তো অন্যান্য দেশের শ্মরনার্থী হচ্ছে, তোমরা এদের সাহায্য করা বাদ দিয়ে এখানে কেন আইছো?
কেন হাজির হইছো? কিসের আল্লাহুম্মা লাব্বাইক বলছো?
অসহায় রিফুজিদের সাহায্যের কোন আলাপের লেসমাত্র নাই,এখানে আইছে আর বলছে' আল্লাহ আমরা হাজির হইছি। আমি বলে দিয়েছি সুরা মাউন,সুরা আল বালাদ ও বাকারার ১৭৭ নং আয়াতে পুর্ব পশ্চিমে মুখ ফেরানোতে, তোমার এবাদতে কোন পুন্য নাই(নেকি নাই) কেন নাই তা বুঝেছো? এইজন্য নাই যে, রিফুজিদের অসহায় দের অন্যদেশেরর শ্মরনার্থী কোরে এখানে হজ্জ করলে একপয়সার লাভ নাই। হাজির হইছি হাজির হইছি এ জাহির কোরে লোক দেখানো হজ্জে লাভ নাই।
তোমাদের হজ্জের উদ্দেশ্য আজ বিপরীতমুখী। আজ হজ্জে একমাত্র ব্যবসায় পরিগণিত এইজন্য যে,তোমাদের হজ্জের ব্যবসার মিলিয়ন মিলিয়ন রিয়াল(ডলার) দিয়ে কি করে (ইনজয় কোরে) ভোগ বিলাস করে। কিন্তু মুসলিম অসহায় রিফুজিদের নিজের দেশে যায়গা কোরে আশ্রয় দিতে পারতো ইজিলি, কিন্তু দেয়নি, কেন দেয়নি?
জানেন? একমাত্র দাজ্জাল! ইহুদী-খ্রিস্টান সভ্যতার কথায় চোখ কান বন্ধ কোরে তাদের রমরমা অস্ত্র ব্যবসা চালু রেখেছে। ধ্বংস কোরছে মানবতা, শহর নগর বন্দর,প্রচুর সম্পদ বাড়িঘর। মরতেছে হাজার হাজার মানুষ, সবাই রাস্তায়,নদীতে, হাজারো আয়লান ভাসছে লাল জামায় উপর হোয়ে শুয়ে।
আসিতেছে কঠিন গযব
হইবি আরো রিফুজি
তোদেরও একদিন হবে এরকম
যদিও তোদের নাই লাজ শরম।
কেয়ামতের ময়দানে তোমাদের কঠিন জবাবের সম্মুখীন হইতে হবে।
মোহাম্মদ হাবিব বিন আব্দুস ছোবহান।
No comments:
Post a Comment