DESHERPATRO

Thursday, August 6, 2015

দজ্জালতো এসে গেছে,মেহেদী কি আসবেন না?

দাজ্জাল! ইহুদী-খ্রিস্টান বস্তুবাদী সভ্যতা। দাজ্জাল কে চিহ্নিত কোরেছেন, এ যামানার এমাম (The leader of the time) জনাব মোহাম্মদ বায়াজিদ খান পন্নী। আজ এই লেখাটি পড়ে বুঝলাম আজ অনেকেই দাজ্জাল কে চিনতে সক্ষম হচ্ছেন।সামনে আরো চিনতে পারবে এঈ মানবতার মহাশত্রু দাজ্জাল কে।


দজ্জালতো এসে গেছে,মেহেদী কি আসবেন না?

লিখেছেন- আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী

দু'তিনদিন আগে লন্ডনের ইস্ট এন্ডের ব্রাডি সেন্টারে 'থিয়েট্রেক্স বাংলাদেশ' কর্তৃক মঞ্চস্থ 'দক্ষিণা সুন্দরী' নৃত্যনাট্যটি দেখতে গিয়েছিলাম। সুন্দরবন ভিত্তিক লোকগাথা নিয়ে নাটকটি রচিত। তরুণ পরিচালক সুদীপ চক্রবর্তীর দক্ষ পরিচালনায় এবং শিল্পীদের অভিনয় নৈপুণ্যে নাটকটি এমন জীবন্ত হয়ে উঠেছিল যে, অভিভূত হয়ে দেখছিলাম। বাংলাদেশের নাট্যশিল্প যে আন্তর্জাতিক মানের হয়ে উঠেছে এই নাটকটিও তার প্রমাণ। এই প্রথমবারের মতো কমনওয়েলথ গেমস-এর সাংস্কৃতিক আসরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে এই নাটকটি ২৪ জুলাই মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। তারাই এদের বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এনেছেন।

সব ক'জন শিল্পীই অনবদ্য অভিনয় করেছেন। তাদের মধ্যে দক্ষিণা সুন্দরীর ভূমিকায় নুসরাত শারমিনের অভিনয় অভিভূত হয়ে দেখেছি। নাটক শেষ হওয়ার পরও বেশ কিছুক্ষণ আমার এই মুহ্যমান অবস্থা ছিলো। আমার এই অবস্থাটা ভেঙ্গেছে অজন্তা দেব রায়। এক তরুণী সে লন্ডনে থাকে। বাংলাদেশের গণজাগরণ মঞ্চের এক কর্মী। মঞ্চের সদা তত্পর একটিভিস্ট হিসেবেই পূর্ব লন্ডনে সে পরিচিত। তার হাতে একটি প্লাকার্ড। তাতে লেখা স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা। বাংলায় লেখা গাজায় গণহত্যা বন্ধ কর।

আমার কাছে এসে সে বলল, আঙ্কেল, এই প্লাকার্ড হাতে আপনি একটু দাঁড়ান। আমি একটা ছবি তুলবো। বুঝলাম, গাজায় ইসরায়েলের যে বর্বর হত্যাকাণ্ড চলছে, তার প্রতিবাদ জানানোর জন্য অজন্তা এবং তার সহকর্মীরা এই ছবি তুলছে। যাদের বলা হচ্ছে তারা আমার মতো সকলেই স্বেচ্ছায় প্লাকার্ড হাতে নিয়ে ছবি তোলার জন্য দাঁড়াচ্ছে। ইহুদী ফ্যাসিস্টদের হত্যালীলার প্রতিবাদ জানানোর জন্য এটা একটা অভিনব প্রথা। অজন্তারা সংখ্যায় কম। কিন্তু বর্বরতার বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদের প্রচেষ্টা এখানেই শেষ নয়,তারা গাজায় ইসরায়েলের পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে লন্ডনের রাজপথে মানববন্ধন করবে।

গাজায় এবং আরব ভূখন্ডে ইসরায়েলের এই দস্যুবৃত্তির বিরুদ্ধে লন্ডনে ছোট-বড় আরও কয়েকটি মানববন্ধন হয়েছে। এক তরুণ চিত্রশিল্পী (স্কটিশ) তার প্লাকার্ডে একটি ব্যাঙ্গচিত্র এঁকে দেখিয়েছেন, এই মানবতা বিরোধী বর্বরতা সম্পর্কে ক্যামেরন, ওবামা প্রমুখ বিশ্ব নেতারা কতোটা নির্বাক ও নিষ্ক্রিয়। তাদের মাথার উপরে হাস্যমুখ হিটলার। বলছেন, তোমরা আমার বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছো আমি ফ্যাসিস্ট, ইহুদী হত্যাকারী এবং মানবতার শত্রু। এখন দ্যাখো দ্যাখো তোমরা আমার চাইতেও মানবতার কতো বড় শত্রু। বর্বর ফ্যাসিস্ট। তোমাদের ইহুদী-নন্দন নেতানিয়াহু যেভাবে বোমা হামলা চালিয়ে শত শত আরব নারী ও শিশু হত্যা করছে, তার কাছে আমার ইহুদী হত্যাতো নস্যি।

ইংরেজিতে লেখা এই কথাক'টি এবং ব্যাঙ্গচিত্রটি লন্ডনের রাজপথে অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আমারও করেছে। আমি লন্ডনের রাজপথে দাঁড়িয়ে এই প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন দেখেছি। কিন্তু একটিতেও যোগ দেইনি। এক বন্ধু আমাকে তার কারণ জিজ্ঞাসা করেছেন এবং আরও বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের এই হামলার বিরুদ্ধে সবাই তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে লেখালেখি করছেন। তুমি কিছুই লিখছো না কেন? জবাব দিয়েছি, টেলিভিশনের খবরে এই বর্বরতার দৃশ্য দেখে আমার কলম স্তব্ধ হয়ে গেছে। কোনো লেখা বেরুচ্ছে না। কেবল রবীন্দ্রনাথের সেই বিখ্যাত কবিতার কয়েকটি ছত্র মনে সেই একই প্রশ্ন তুলছে-

"কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে

বাঁশি সঙ্গীত হারা

অমাবস্যায় কারা

লুপ্ত করেছে আমার ভূবন

দুঃস্বপনের তলে

তাইতো তোমারে শুধাই অশ্রুজলে

যাহারা তোমায় বিষাইছে বায়ু

নিভাইছে তব আলো

তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছো

তুমি কি বেসেছো ভালো?

বহুকাল আগে রবীন্দ্রনাথ এই প্রশ্ন করেছিলেন তার ভগবানের কাছে। আজ ইসরায়েলের এই বর্বর ধ্বংসযজ্ঞ দেখে আমার প্রশ্ন ইতিহাস বিধাতার কাছে।

বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশও তার কবিতায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, "মধ্যযুগ এতো রক্ত দেখেছে কখনো?" আজকের জবাব, না দেখেনি। গত শতকের মধ্যভাগে হিটলার-মুসোলিনীও কি পৃথিবীতে এতো রক্ত ঝরিয়েছে? যা একালে বুশ ব্লেয়ার এবং ওবামা ঝরিয়েছেন এবং এখনো ঝরাচ্ছেন?

এই বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তাই শুধু মানববন্ধনে দাঁড়াতে ইচ্ছে করে না। এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের যুগ শেষ হয়েছে। বিশ্ববিবেক যতোকাল জাগ্রত ছিল, বিশ্ব জনমত যতোকাল সক্রিয় ছিল, ততোকাল এই মানববন্ধন, লেখালেখির মূল্য ছিল। আজ বিশ্ববিবেক মৃত; শত লেখালেখি দ্বারা বিশ্ব জনমত তৈরি করা যায়, কিন্তু তাকে বিশ্বদানবের বিরুদ্ধে সক্রিয় করা যায় না। আজ দরকার রবীন্দ্রনাথের ভাষায় "দানবের সাথে যারা সংগ্রামের তরে, প্রস্তুত হতেছে ঘরে ঘরে'' এমন মানুষ। এই মানুষ যতোদিন না জাগবে, প্রত্যাঘাত না হানবে, ততোদিন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিহত করা যায় না। গত শতকের হিটলার মুসোলিনী ছিল ইউরোপীয় দানব। আর এ যুগের বুশ ব্লেয়ার ওবামা নেতানিয়াহুর দল বিশ্বদানব। বিশ্বময় তাদের ধ্বংসের রথ চক্র ঘুরছে। অনুরূপ শক্তি নিয়ে কোনো শুভ শক্তি না দাঁড়ালে এই অসুর নিধন করা যাবে না। গত শতকে হিটলার মুসোলিনীর তাণ্ডব প্রতিহত করার জন্য একটি মহাযুদ্ধের প্রয়োজন হয়েছিল।

অহিংসা পরম ধর্ম এবং সকল ক্ষেত্রে কার্যকর তা আমি বিশ্বাস করি না। আজ যতোই বলা হোক মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন দ্বারা ভারত স্বাধীন হয়েছে এই তত্ত্ব বিতর্কিত। যদি নেতাজী সুভাষ বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ্ ফৌজ ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নেমে ইমফল-মনিপুর পর্যন্ত এগিয়ে না আসতো এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত্ কাঁপিয়ে না দিতো তাহলে এতো শীঘ্র আমাদের শ্বেতাঙ্গ প্রভুরা ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হতেন কিনা সন্দেহ। এ যুগের ফ্যাসিবাদী জায়োনিস্ট নেতানিয়াহুর দল সহজে আরব ভূখণ্ড ছাড়বে এবং প্যালিস্টিনিদের উপর বর্বর হামলা বন্ধ করবে তা আশা করা বাতুলতা।

এই বর্বরতা বন্ধ করতে পারতো বিশ্বজনমত। বিশ্ববিবেকের প্রতিনিধিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানালে এই 'শিশুঘাতী, নারীঘাতী বর্বরতা' বন্ধ হতে পারতো। বিশ্ব জনমত ও বিশ্ববিবেকের এই প্রতিরোধ শক্তি আমরা দেখেছি ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টন সাহেবও অক্সফোর্ডে ছাত্র থাকার সময় ভিয়েতনাম যুদ্ধ বিরোধী মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। ভিয়েতনামে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তত্কালীন মার্কিন নেতাদের যুদ্ধাপরাধী গণ্য করে মনীষী বার্ট্টান্ড রাসেল তাদের মক্ ট্রায়ালের জন্য গণ আদালত বসিয়েছিলেন। ইউরোপ আমেরিকার প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের সরকারের যুদ্ধবাদী নীতির বিরুদ্ধে লেখালেখি শুরু করেছিলেন। যুদ্ধ বিরোধী বিশ্বজনমত গড়ে তুলেছিলেন।

আজ সেই বিশ্বজনমত কোথায়? আছে। তবে খণ্ড বিচ্ছিন্ন। বার্ট্রান্ড রাসেলের মতো শান্তিবাদী মনীষী নেই। গ্লোবাল ক্যাপিটালিজমের হাতে আজ বিশাল লোভের ব্যবসা। সেই ব্যবসার কাছে কেনা দাস হয়ে গেছে সারাবিশ্বের বুদ্ধিজীবীদের এক বিরাট অংশ। ফলে বিশ্ববিবেক আজ মৃত। তাকে জাগাবার সংগ্রামী লেখক ও লেখনী কই? তাই আজ বিশ্ব জনমত, বিশ্ববিবেকের তোয়াক্কা না করে নেতানিয়াহুর দল প্যালেস্টাইনের নারী শিশুদের রক্ত নিয়ে অবাধে হোলিখেলা শুরু করতে পারে। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রের পাহারাদার হওয়ার দাবিদার পশ্চিমা নেতারা নির্বাক ও নিষ্ক্রিয়ভাবে এই হত্যাযজ্ঞের দর্শক হতে পারেন। এমনকি সহযোগী হতে পারেন। কারণ, সারা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে রয়েছে তাদের তেল ও অন্যান্য সম্পদের স্বার্থ।

পশ্চিমা বিগ কর্পোরেট বাণজ্যি (যারাই দেশগুলোর প্রকৃত শাসক) এবং তাদের অনুগৃহীত বিগ মিডিয়া তাদের সাংবাদিক সততা ও নিরপেক্ষতা হারিয়ে ইসরায়েলের অপরাধকে ছোট করে দেখিয়ে প্যালিস্টিনিদের দোষ বড় করে দেখানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তাদের যুক্তি, হামাস আগে ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ করায় ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এক্ষেত্রে যে সত্যটি পশ্চিমা মিডিয়া লুকাচ্ছে তা হলো, হামাস অহেতুক রকেট ছোঁড়েনি। শান্তিচুক্তি সম্পাদনে ইসরায়েলের 'অবিরাম গড়িমসি, আরব ভূমি জবরদখল অব্যাহত রাখার বিরুদ্ধে এটা তাদের প্রতিবাদ।

তারা ইসরায়েলের ভূমি দখল করেনি। নিজেদের ভূমি উদ্ধার ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালাচ্ছে, তাও সেকেলে অস্ত্র নিয়ে। আর ইসরায়েল সর্বাধুনিক মার্কিন মারণাস্ত্র নিয়ে প্যালেস্টিনিদের স্বাধিকার আন্দোলন দমনের চেষ্টা চালাচ্ছে। প্যালেস্টিনিদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার মেনে নিলেইতো এই বিরোধ থেমে যায়। ইসরায়েল তা করছে না। পশ্চিমা মিডিয়া এই বিরোধের জন্য সমানভাবে দোষ চাপাচ্ছে প্যালেস্টিনিদের উপর। আর যে মিথ্যাটি তারা প্রচার করছে, তা হলো এই যুদ্ধ ইসরায়েল আত্মরক্ষার জন্য চালাচ্ছে। পররাজ্য গ্রাস করার জন্য যে ইসরায়েলের এই বর্বর হামলা সেই সত্যটি পশ্চিমা মিডিয়া অনবরত চাপা দিতে চায়।

প্যালেস্টাইন বিরোধ জিইয়ে রাখা এবং আরব দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অনবরত চক্রান্ত করায় আরেকটি উদ্দেশ্য, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে শক্তিশালী হতে না দেয়া। ইরান প্যালেস্টিনিদের মিত্র এবং সাহায্যদাতা। অন্য যে দেশগুলো প্যালেস্টিনিদের মুক্তি সংগ্রামে সাহায্য দিতে পারতো, যেমন ইরাক ও মিসর- এই দুটি দেশকেই আমেরিকার সহায়তায় গৃহযুদ্ধে ব্যাপৃত রাখা হয়েছে। নেতানিয়াহুর স্পর্ধা এতোটা আকাশস্পর্শী হয়েছে যে, তিনি এখন ইরাককে কুর্দিদের মিত্র সেজে খণ্ড বিখণ্ড দেখতে চান। আমেরিকার উদ্দেশ্যও তাই।

একথা দিবালোকের মতো সত্য, সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়ন আজ টিকে থাকলে আমেরিকার মদদে ইসরায়েলের স্পর্ধা এতোটা সীমা ছাড়াতে পারতো না। রাশিয়ায় পুতিনের অভ্যুদয় তবু ইরান ও সিরিয়াকে পশ্চিমা আগ্রাসন থেকে এ পর্যন্ত রক্ষা করেছে। নইলে ইসরায়েল ও সউদি আরবের প্ররোচনায় ওবামা প্রশাসন সিরিয়া ও ইরানেও সামরিক হস্তক্ষেপে উত্সাহিত হতো। গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্য এখন সবচাইতে বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্য ও শক্তি ধ্বংস করার জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে জোট বেঁধেছে সউদি আরবের রাজতন্ত্র।

পশ্চিমা বিগ মিডিয়ায় সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতা আজ কতোটা বিসর্জিত তার প্রমাণ মেলে গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযক্ত চাপা দেয়ার জন্য ইউক্রেনের আকাশসীমায় মালয়েশিয়ান বিমান দুর্ঘটনার খবরকে বিরাটভাবে ছাপিয়ে পাঠকদের দৃষ্টি আসল ট্রাজেডি থেকে অন্যদিকে ফেরানোর চেষ্টায়। ৮ জুলাই শুক্রবার লন্ডনের একটি দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় খবরের ব্যানার হেডিং হচ্ছে 'slaughter of the innocents' (নিরীহ মানুষ জবাই)। ভেতরের খবর পড়ার আগে ভেবেছি, এটা বুঝি গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার খবর। পড়ে দেখি, মালয়েশিয়ান বিমান দুর্ঘটনার খবর। এবং এটা ইউক্রেনের রুশ সমর্থকেরা ঘটিয়েছে অভিযোগ তুলে পুতিনকে এই বর্বরতার নায়ক সাজানোর চেষ্টা।

মালয়েশিয়ান বিমান যদি হামলা চালিয়ে ভূপাতিত করা হয়ে থাকে, তাহলে নিঃসন্দেহে তা মর্মান্তিক এবং নিন্দনীয় ঘটনা। কিন্তু এই ঘটনা কি গাজার নারী হত্যা, শিশু হত্যার চাইতেও বড় ট্রাজেডি। আর ইসরায়েলি বর্বরতা কি এই বিমান ধ্বংস করার ট্রাজেডি দিয়ে চাপা দেওয়া যায়? না, তা সত্ সাংবাদিকতা? দেখে-শুনে মনে হয়, আজ মানবতার শত্রু যে গ্লোবাল মনস্টারের জন্ম হয়েছে, তাকে প্রতিহত করার জন্য শান্তিপূর্ণ আবেদন-নিবেদনও মানববন্ধনের দিন শেষ হয়ে গেছে। সমশক্তি দ্বারা প্রতিরোধ ছাড়া এই দানবকে হটানো যাবে না। ধর্মীয় উপকথায় বলা হয়, শেষ জমানায় পৃথিবীতে যেমন দজ্জালের আবির্ভাব হবে, তেমনি তাকে ধ্বংস করার জন্য ইমাম মেহেদীরও আগমন হবে পৃথিবীতে।

বর্তমান বিশ্বে আমেরিকা, ইউরোপ ও ইসরায়েলের মিত্রতায় বিশ্বত্রাস দজ্জালের আবির্ভাবতো ঘটেই গেছে। এখন দেখা যাক ইরান, চীন, রাশিয়া, ভারত ও ব্রাজিলের মৈত্রী ইমাম মেহেদীর ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে কি না। আমি সেদিনের অপেক্ষায় আছি।

লন্ডন ১৯ জুলাই শনিবার ২০১৪

No comments:

Post a Comment