DESHERPATRO

Thursday, June 11, 2015

জেনে নিন, যেখানে সিগারেটের থেকেও কিশোরীর দাম কম!

জেনে নিন, যেখানে সিগারেটের থেকেও কিশোরীর দাম কম!

সময়ের কণ্ঠস্বর : নারীদেহের লোভ দেখিয়ে নিজেদের জঙ্গি বাহিনীতে লোক টানে আইএসআইএস৷‌ নীতি-আদর্শ নয়, নারীদেহের টানেই আইএসআইএসে নাম লেখায় হাজারো বিদেশি৷‌

আইএসআইএস ত্রয়োদশ শতকের মধ্যপ্রাচ্য ফিরিয়ে আনতে চায়৷‌ যেখানে বাজারে ক্রীতদাস হিসেবে দেদার বিকোবে কিশোরী৷‌ ভাগ্য ‘ভাল’ থাকলে হতভাগ্য কিশোরীদের মিলে যাবে রাজপুরুষের সঙ্গ৷‌ নতুন নতুন অঞ্চল দখল করে তাই এলাকার কিশোরীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়৷‌ তাদের অধিকাংশকেই বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়৷‌ বাকিদের ব্যবহার করা হয় কমবয়সী বিদেশি পুরুষদের প্রলুব্ধ করতে৷‌

জাতিসংঘের রিপোর্ট জানাচ্ছে, পৃথিবীর প্রায় ১০০ দেশ থেকে আড়াই হাজারেরও বেশি বিদেশি জঙ্গি রয়েছে আইএসআইএসে৷‌ এক প্যাকেট সিগারেটের থেকেও কম দামে বিকোচ্ছে কিশোরী৷‌ ইরাক এবং সিরিয়ায় আইএসআইএস অধিগৃহীত এলাকা ঘুরে এমনই রিপোর্ট দিয়েছে জাতিসংঘের এক প্রতিনিধিদল৷‌

এপ্রিলে ইরাক এবং সিরিয়া গিয়েছিলেন জৈনাব বাঙ্গুরা৷‌ সেই সময় মহিলাদের ওপর আইএসআইএস জঙ্গিদের ভয়ঙ্কর যৌন-নির্যাতন তাঁর চোখে পড়ে৷‌ বাঙ্গুরার কথায়, এ যুদ্ধ শুধু মাটিতে হয় না, হয় মহিলাদের শরীরে৷‌ আই এস আই এস অধিগৃহীত এলাকা থেকে তুর্কি, লেবানন এবং জর্ডনে পালিয়ে এসে আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন বহু মহিলা৷‌ প্রতিনিধিদল এই মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে দাস ব্যবসা নিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছে৷‌ জেহাদিরা নিত্যনতুন এলাকা থেকে মেয়ে সংগ্রহ করে৷‌ তারপর তাদের বিক্রি করে দেয়৷‌

কতজন মেয়ে এই মুহূর্তে দাস বাজারে রয়েছেন, তার কোনো হিসাব নেই৷‌ তবে সবাইকেই যে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয় এমন নয়৷‌ অনেক ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি আক্রোশবশত তুলে আনা হয় তাদের মেয়েদের৷‌ আটকে রাখা হয় অপ্রশস্ত ঘরে৷‌ এরকমই এক দাস-শিবিরের বর্ণনা দিয়েছেন বাঙ্গুরা৷‌ তাঁর কথায়, ‘মেয়েদের এনে একটা ঘরে তালাবন্ধ করে রেখে দেওয়া হয়৷‌ ছোট বাড়িতে ১০০-র বেশি মেয়েকে আশ্রয় দেওয়া হয়৷‌ তারপর নগ্ন করে স্নান করানো হয়৷‌’

এক ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর বয়ান উঠে এসেছে৷‌ তাঁকে কিনেছিল বছর পঞ্চাশেকের এক শেখ৷‌ মেয়েটির দিকে বন্দুক উঁচিয়ে শেখ জিজ্ঞাসা করেছিল, সে কী চায়? উত্তরে কিশোরী বন্দুকের গুলি চেয়েছিল৷‌ তাকে ধর্ষণের আগে শেখ বলেছিল, গুলি খাওয়ানোর জন্য তাকে কেনা হয়নি৷‌ তবে আশার কথা এই, হারানো মেয়েদের আবার ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ করছেন ইয়াজিদি ধর্মীয় নেতারা৷‌ খুব শিগগিরই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই মেয়েদের সমস্যা তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন বাঙ্গুরা৷

No comments:

Post a Comment