কে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দিবে?
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০১৪, ১৭:৫৪বিশেষ নিবন্ধমন্তব্য যোগ করুন-মসীহ উর রহমান, আমীর, হেযবুত তওহীদ:(দেশেরপত্র)
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,আপনাদেরকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনারা জানেন, যামানার এমাম এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী মানবজাতিকে তওহীদের আহ্বান কোরেছেন। দৈনিক দেশেরপত্রের মাধ্যমে আমরা সেটা প্রকাশ কোরে যাচ্ছি। আল্লাহ পাক মানব জাতির শান্তির জন্য মুক্তির জন্য যুগে যুগে নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আখেরি নবী, শেষ নবী, বিশ্ব নবী হুজুরে পাক (দ:) কে আল্লাহ পাঠিয়েছেন। তাঁকে আল্লাহ দায়িত্ব দিয়েছেন মানবসৃষ্ট সকল জীবনবিধান বিলুপ্ত কোরে আল্লাহর দেওয়া সত্যদীন, দীনুল হককে সারা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করার জন্য (সুরা ফাতাহ ২৮, সুরা তওবা ৩৩, সুরা সফ ৯)।
যেন মানুষ সুখ, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা, প্রগতি এক কথায় শান্তিতে বসবাস করে। রসুলাল্লাহ অক্লান্ত পরিশ্রম, কঠোর অধ্যাবসায় কোরে, সাধনার মাধ্যমে একটি জাতি গঠন কোরলেন যে জাতির নাম উম্মতে মোহাম্মদী। তিনি নিজে আরবের ভূখণ্ডে ঐ অকল্পনীয় শান্তি কায়েম কোরে বাকি পৃথিবীর দায়িত্ব তাঁর জাতিটির উপর অর্পণ কোরে গেলেন। তাঁর জাতি সংগ্রাম কোরে, সর্বস্ব ত্যাগ কোরে অর্ধ দুনিয়াতে সেই দীনকে প্রতিষ্ঠা কোরল। তারপর থেকে কয়েক শ’ বছর পর্যন্ত পৃথিবীর ঐ অংশে কী চূড়ান্ত শান্তি বিরাজ কোরছিল তার ইতিহাস আমরা এই পত্রিকার মাধ্যমে ইতোপূর্বে বোলে এসেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পরবর্তীতে আকিদা ভুলে যাওয়ার কারণে এই জাতি তার মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হোল। ফলে তারা আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম ত্যাগ কোরল এবং রাজা-বাদশাহদের মতো শান-শওকতের সঙ্গে ভোগবিলাসপূর্ণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হোয়ে পড়লো। তারপর এক সময় ইউরোপীয় খ্রিস্টান জাতিগুলি এ জাতিকে পরাজিত কোরে তাদের উপরে চেপে বোসল। শুরু হোল গোলামির জীবন। ইউরোপীয়রা তাদের তৈরি জীবনব্যবস্থা এই জাতির উপরে প্রতিষ্ঠা কোরে দিলো। আমাদের এই উপমহাদেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় তিনশত বছর চোলল গোলামি। এই সময় মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে খ্রিস্টানরা তাদের তৈরি একটি বিকৃত বিপরীতমুখী এসলাম আমাদেরকে শিক্ষা দিলো।আজ আমাদের সমাজে এমন একটা অবস্থা বিরাজ কোরছে সমস্ত দুনিয়াময় এসলাম বোলে যে ধর্মটা আছে সেটা আল্লাহর দেওয়া এসলাম নয়। আল্লাহর দেওয়া প্রকৃত এসলাম কোনটা সেটা আল্লাহ আবার যামানার এমামকে দান কোরেছেন। এমামুয্যামান নবী নন, রসুল নন। তিনি আজীবন বোলে গেছেন, তিনি নবী করীম (সা:) এর একজন উম্মত মাত্র। তবে এটা মহাসত্য এবং বাস্তবতা যে এমামুয্যামানকে মহান আল্লাহ হেদায়াতের সন্ধান দিয়েছেন, তিনি মানবজাতিকে সেই হেদায়াতের দিকে আহ্বান কোরেছেন। শুধু তাই নয়, যে দীন বিকৃত হোতে হোতে দুনিয়া থেকে, মানুষের ধ্যান ধারণা থেকে হারিয়ে গিয়েছিলো সে দীনের প্রকৃত জ্ঞান আল্লাহর তরফ থেকে তিনি লাভ কোরেছেন এবং তিনি সেটি মানবজাতির সামনে পেশ কোরেছেন। তিনি হেযবুত তওহীদ নামক আন্দোলন গঠন কোরে মানবজাতিকে সেই প্রকৃত এসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান কোরেছেন।
তিনি ইহুদি খ্রিস্টান বস্তুবাদী সভ্যতাকে দাজ্জাল হিসাবে চিহ্নিত কোরেছেন যে দাজ্জাল সমস্ত মানবাজাতির সুখ-শান্তি হরণ কোরছে। হেযবুত তওহীদের সদস্যরা নিজেদের জীবন ও সম্পদ কোরবান কোরে আল্লাহর দেওয়া সেই সত্য দীন প্রতিষ্ঠার জন্য এবং দাজ্জালকে ধ্বংস করার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। এই সংগ্রাম কোরতে গিয়ে হেযবুত তওহীদের মোজহেদ-মোজহেদারা অধিকাংশই তাদের বাড়ি ঘর ত্যাগ কোরেছেন, তাদের বিষয়-আসয়, জায়গা-জমি বিক্রী কোরেছেন। তাদের সোনা-দানা যা ছিল তাও বিক্রী কোরেছেন। তাদের যার যা সাধ্যে কুলায় তা তারা দিয়েছেন। বর্তমানে আমরা এই জাতিকে সকল প্রকার ধর্মব্যবসা, রাজনৈতিক হানাহানিসহ সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য মাঠে নেমেছি। ডকুমেন্টারি ফিল্ম নির্মাণ কোরে প্রমাণ কোরে দিয়েছি যে, ধর্ম-ব্যবসায়ীরা যে এসলাম নামক ধর্মটি বিক্রী কোরে খাচ্ছে এটা আল্লাহর রসুলের (সা:) এসলাম নয়, এবং ধর্ম ব্যবসাও এসলামে বৈধ নয়। আর পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের চাপিয়ে দেওয়া বিভিন্ন দল মতে বিভক্ত হয়ে আমাদের জাতি আজ দিশেহারা। কাজেই এই জাতিকে সুখ, সমৃদ্ধি এবং হারানো গৌরব ফিরে পেতে হোলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে আমরা সারা দেশজুড়ে জনসভা, সমাবেশ, সেমিনার কোরে ডকুমেন্টারি ফিল্মগুলি প্রদর্শন কোরে চলেছি। আল্লাহর রহমে আমরা সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি।
আপনারাও যারা মানবতার কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ কোরতে চান এবং এতোদিন পর্যন্ত আমাদের পত্রিকার মাধ্যমে যামানার এমামের লেখাগুলো পড়েছেন, আত্মায় সত্য বোলে গ্রহণ কোরেছেন এবং যারা মনে করেন এই সত্য পুরো মানবজাতির জানা উচিৎ, এই জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিৎ এবং এই মহাসত্য ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়া উচিৎ তাহোলে আপনারাও আমাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ কোরতে পারেন এবং সত্যের প্রচার-প্রসারে আপনার অবদান রাখতে পারেন।
পবিত্র কোর’আনে অনেক স্থানে আল্লাহ মানুষের কাছে কর্দে হাসানা চেয়েছেন, যেমন সুরা বাকারা ২৪৫, সুরা মায়েদা ১২, সুরা তাগাবুন ১৭, সুরা হাদীদ ১১, ১৮, সুরা মুযাম্মেল ২০ ইত্যাদি। সুরা বাকারার ২৪৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ বোলেছেন যে, “কে আছো আল্লাহকে ঋণ দেবে, উত্তম ঋণ (কর্জে হাসানা)? অতঃপর আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ-বহু গুণ বৃদ্ধি করে দিবেন।” এই ঋণকে ‘উত্তম ঋণ’ বলার কারণ এই ঋণ গ্রহণ কোরছেন আল্লাহ স্বয়ং এবং এই অঙ্গীকারসহ যে তিনি একে বহুগুণে বৃদ্ধি কোরে ঋণদাতাকে ফিরিয়ে দিবেন। এই ফিরিয়ে দেওয়া উভয় দুনিয়াতেই। এই করজে হাসানা হোচ্ছে আল্লাহর দীনকে বিজয়ী করার সংগ্রামে ব্যয়ের উদ্দেশ্যে যে ঋণ দেওয়া হয়। আপনারা জেনে খুশি হবেন, আল্লাহ নিজে মো’জেজা ঘোটিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে হেযবুত তওহীদ দিয়ে সমস্ত পৃথিবীতে আল্লাহর সত্য দীন প্রতিষ্ঠা হবে। আনন্দের বিষয় হোল সেটা হোতে শুরু কোরেছে। আমরা পরম সৌভাগ্যবান যে আল্লাহ হেযবুত তওহীদকে এই বিরাট কাজের জন্য মনোনীত কোরেছেন। শোকর আল হামদুলিল্লাহ।
কাজেই এখন হেযবুত তওহীদের বক্তব্যের সাথে ঐকমত্য পোষণ কোরে, এমামুয্যামানের কথাকে দুনিয়াময় ছড়িয়ে দেবার অভিপ্রায়ে যারা অর্থনৈতিকভাবে অবদান রাখতে চান আল্লাহকে ঋণ দিতে পারেন। সেই ঋণ আল্লাহর পক্ষ থেকে আল্লাহর মনোনীত দল হেযবুত তওহীদ আপনাদের কাছ থেকে শর্ত সাপেক্ষে গ্রহণ কোরবে। এই অর্থ আপনারা যদি দুনিয়াতেই ফেরত নিতে চান, ফেরত দেওয়া হবে। হেযবুত তওহীদ প্রস্তুত থাকবে আপনার ঋণ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। আল্লাহর পক্ষ থেকে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেওয়ার জন্য উন্মুক্তভাবে আহ্বান করা হোচ্ছে। হেযবুত তওহীদের নির্ধারিত শর্তে ঋণপ্রদানকারীর সম্মতিক্রমে এই ঋণ গ্রহণ করা হবে এবং সেই শর্তানুসারে ঋণ ফেরত দিতে হেযবুত তওহীদ অবশ্যই দায়বদ্ধ থাকবে এনশা’আল্লাহ।
Print PDF- See more at: http://desherpatro.com/2014/03/14/%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%8B%E0%A6%A3-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87/
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment