DESHERPATRO

Friday, February 28, 2014

রাসুল (সা:) এর এক অপূর্ব বর্ণনা ভ্রাতৃত্ব ও রোহামা নিয়ে।

রাসুল (সা:) এর এক অপূর্ব বর্ণনা ভ্রাতৃত্ব ও রোহামা নিয়ে।

মোমেন মোমের আয়না হবে কিভাবে?  পাচ দফার গুণ গুলি অর্জন কোরলে অর্থাৎ
১)ঐক্য
২)শৃঙ্খলা
৩)আনুগত্য
৪) হেজরত ও
৫)জেহাদ।
যদি এই পাচ দফা প্রত্যেক মোমেন মোমেনার এক হয় তাহলে আল্লাহর বিজয় আসবে।  তাই নিচে রাসুলাল্লাহর (স) এর বাণী থেকে চয়ন কোরে মোমেন ভাই বোন দের জন্য দেয়া হলো ভ্রাতৃত্ব, রোহামা ও মোমেন মোমেনের বন্ধন কে চির অটুট রাখার জন্য। মোসলেম হলো ভাই ভাই। আত্মা দিয়ে সবাই সত্যদীন প্রতিষ্ঠার কাজ কোরে যাবে, কোন হিংসা, বিদ্বেষ , ক্লেশ, অহংকার অর্থাৎ ছয় টি রিপু তাদের দমাতে যেন না পারে মোসলেম উম্মাহ কে এক করে রেখে এক মহাজাতি গড়িতে,এবলিস যেন কোন রকম ভাবে মোমেন মোমেনাদের ধোকা দিতে না পারে।

১) মুমিনদের পারস্পরিক সহমর্মিতা, সহানুভুতি ও সহযোগিতাঃ
আবু মুসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’একজিন মুমিন ব্যাক্তি অপর মুমিনের জন্য অট্টালিকা সদৃশ, যার এক অংশ অপর অংশকে শক্তিশালী করে’’ মুসলিম ৬৪৭৯
নুমান বিন বাশির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুল (সাঃ) বলেনঃ‘’মুমিনদের উদাহরন তাদের পারস্পরিক ভালবাসা, দয়াদ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানব দেহের ন্যায়, যখন একটি তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয় তখন তার সমস্ত দেহে ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা’’
মুসলিম ৬৪৮০
নুমান বিন বাশির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুল (সাঃ) বলেনঃ ‘’মুমিন সম্প্রদায় একজন ব্যাক্তির ন্যায়। যখন তার মাথায় অসুস্থতা দেখা দেয় তখন সমস্ত দেহই তাপ ও অনিদ্রায় আক্রান্ত হয়ে পরে’’
মুসলিম ৬৪৮২
নুমান বিন বাশির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুল (সাঃ) বলেনঃ সকল মুসলিম একজন ব্যাক্তির সমতুল্য। যদি তার চক্ষু পীড়িত হয় তবে তার সমগ্র দেহ পীড়িত হয়ে পরে। যদি তার মাথা আক্রান্ত হয় তাহলে সমগ্র শরীরই আক্রান্ত হয়ে পরে’’ মুসলিম ৬৪৮৩

২)মুসলমানের প্রতি সহমর্মিতা পোষণ করাঃ
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ''এক মুসলমান অন্য মুসলমানের ভাই। সে তার সাথে কোনরকম বিশ্বাসঘাতকতা করবে না,তার প্রসঙ্গে মিথ্যা বলবে না,তাকে অপমান করবে না।প্রত্যেক মুসলমানের মান-সম্মান, ধন-সম্পদ ও রক্তের (অর্থাৎ জীবনের) উপর হস্তক্ষেপ করা অপর মুসলমানের উপর হারাম।তাকওয়া এখানে (অর্থাৎ অন্তরে);কেউ মন্দ বলে প্রমানিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার অপর মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ মনে করে’’তিরমিযি; সহীহ; হাদীস নঃ ১৯২৭

৩)পরস্পরের মধ্যে মিমাংসা করার ফজিলত এবং পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া বাধানো সম্পর্কে সতর্কবাণীঃ
আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’আমি কি তোমাদেরকে সিয়াম, সলাত ও সাদকার চেয়েও ফজিলতপূর্ণ কাজের কথা বলব না? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেনঃ পরস্পরের মধ্যে মিমাংসা করা।আর পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া বাধানো ধংসের কারন’’আবু দাউদ; সহীহ; হাদীস নঃ ৪৯১৯

৪)বিনয় ও নম্রতার গুরুত্বঃ
আবদুল্লাহ ইবন মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ নম্র, তিনি নম্রতা পছন্দ করেন। তিনি নম্র স্বভাবের লোককে যা দান করেন, তা কঠিন স্বভাবের লোককে দান করেন না’’ আবু দাউদ; সহীহ; হাদীস নঃ ৪৮০৭

আল মিকদাম ইবন শুরাইহ (রহঃ) হতে তাঁর পিতার সুত্রে বর্ণিত। আইশাহ (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’কোনো কিছুর মধ্যে নম্রতা বিদ্যমান থাকলে, তা সেটিকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। আর কোনো কিছু হতে তা অপসারন করা হলে তা সেটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে’’ আবু দাউদ; সহীহ; হাদীস নঃ ৪৮০৮
জারীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’যাকে নম্রতা হতে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাকে সকল প্রকার কল্যাণ হতে বঞ্চিত করা হয়েছে’’আবু দাউদ; সহীহ; হাদীস নঃ ৪৮০৯
ইয়ায ইবনে হিমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “মহান আল্লাহ আমাকে প্রত্যাদেশ করেছেন যে, তোমরা পস্পরেরর প্রতি নম্রতা ও বিনয় ভাব প্রদর্শন কর । যাতে কেউ অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে না পারে এবং কেউ কারো সামনে গর্ব প্রকাশ না করে” মুসলিম ২৮৬৫

৫)মুসলমানদেরকে তুচ্ছ জ্ঞান করা হারামঃআবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ ভাবে’’মুসলিম ৯১তিরমিযি ১৯৯৮, ১৯৯৯আবু দাউদ ৪০৯১ইবন মাযাহ ৫৯, ৪১৭৩আহমাদ ৩৭৭৯, ৩৯০৩, ৩৯৩৭, ৪২৯৮

৬)হিতাকাংখিতার গুরুত্বঃ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’ততক্ষন পর্যন্ত তোমাদের কেউ প্রকৃত ইমানদার হতে পারবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তাঁর ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করবে,যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে’’বুখারী; হাদীস নঃ ১৩মুসলিম; হাদীস নঃ ৪৫তিরমিযি; হাদীস নঃ ২৫১৫নাসায়ী; হাদীস নঃ ৫০১৬, ৫০১৭ইবন মাযাহ; হাদীস নঃ ৬৬দারেমী; হাদীস নঃ ২৭৪০রিয়াদুস স্বলিহিন; হাদীস নঃ ৩/১৮৮ আহমাদ; হাদীস নঃ ১১৫৯১, ১২৩৫৪, ১৩২৭২, ১২৩৯০, ১২৭৩৪, ১২৯৯৪, ১৩১৮০, ১৩২০৭, ১৩৪৬২, ১৩৫৪৭,১৩৬৫

৭)ঝগড়াটে ব্যাক্তিদের সম্পর্কে সতর্কবাণীঃ
‘’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ‘’আল্লাহ্র কাছে সর্বাধিক ঘৃণ্য ঐ ব্যাক্তি,যে সব সময় ঝগড়ায় লিপ্ত থাকে’ বুখারী ৭১৮৮

৮)পরস্পরে মারামারি ও হানাহানি করা কুফুরিঃ
ইবন আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ)বলেছেনঃ ‘’আমার পরবর্তীতে তোমরা পরস্পর হানাহানি করে কুফুরির দিকে প্রত্যাবর্তন কর না’’তিরমিযি; সহীহ; হাদীস নঃ ২১৯৩

৯)ক্ষমা ও বিনয়ের মাহাত্ম্যঃআবু হুরাইরাহ (রাঃ) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুল (সাঃ)বলেনঃ‘’যে ব্যাক্তি ক্ষমা করে,আল্লাহ্ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন;আর যে কেউ আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভে বিনয়ী হয়,আল্লাহ্ তাঁর মর্যাদা বাড়িয়ে দেন’’মুসলিম ৬৪৮৬

মোহাম্মদ হাবিব বিন আব্দুস ছোবান।

No comments:

Post a Comment