DESHERPATRO

Monday, February 24, 2014

জংগী ভাইদের সত্যের পথে আহবান --

জংগী ভাইদের সত্যের পথে আহবান --

এক ভাইয়ের সাথে কথা হলো যে আজ এসলামের নাম ভাংগিয়ে যারা যুদ্ধ করছে তারা জংগী কিনা এই নিয়ে:-

আমার জবাব:-
আমি আগেই বলেছি যে ভাই এরা ভুল কিনা আমি বলবোনা,, এদের মাঝে একটা জিনিস নাই সেই টা হলো রাসুলের তরিকা।অর্থাৎ উম্মাহকে এক করা, আজ মোসলেম মোসলেম কন,, এরা কি মোসলেম??  এরা জেহাদ কে ঘ্রিনা করে,, কেন জানেন??  আপনাদের যুদ্ধের কারনে।। 

আমরাও আসছি পুরা দুনিয়ায় এসলাম প্রতিষ্ঠা করতে এনশা'আল্লাহ, এটা আল্লাহ করবেন আমাদের শুধুই প্রচেষ্টা।  আপনারা আমেরিকার সাথে যুদ্ধ করছেন।।

আর রাসুলের নীতি কি?  রাসুল (স) বললেন যে আল্লাহ আমায় ৫ দফা দান করেছেন-
১) ঐক্যবদ্ধ হবে
২) শৃঙ্খলিত করবে
৩) এতায়াহ অর্থাৎ হুকুম শুনতে বলবে/আনুগত্য করতে বলবে
৪) হেজরত করতে বলবে(আল্লাহর হুকুমের বাহিরে যা আছে তা থেকে)
৫) জেহাদ (সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, সংগ্রাম।  কেতাল নয়, সশস্ত্র যুদ্ধ নয়) জেহাদ মানে, বালাগুন মুবিন, সত্য স্পষ্টরুপে পোছানো।  তারপর রাষ্ট্র হলেই কেতাল,আর্মি থাকবে, পুলিশ থাকবে, সেখানে যুদ্ধ সিদ্ধ, আর যদি কেউ দলগত ব্যক্তিগত ভাবেও অস্ত্র রাখে সে বা তারা সন্ত্রাস, আর যুদ্ধ করলে তো জংগী। (আর যে রাসুলে এই পাচ দফা হতে যে এক বিঘত সরে গিয়ে নিজের মত যুদ্ধ ফরয বানিয়ে যুদ্ধ করে মানুষ মারবেন এটা তো অযোক্তিক। তাহলে তারা এসলামের বাহিরে।।(আল-হাদিস)
অর্থাৎ জাহান্নামী  আপনারা ইহকালও হারাইলেন আর পরকাল??  সেতো কঠিন আযাব, কেন এই আযাব???পথভ্রষ্টতার জন্য।

আপনার রাসুলের এই হাদিস অনুযায়ী এসলামের বাহিরে অর্থাৎ জংগী -
কারন মোসলেম নামদারী আজ বহু দলে বিভক্ত :- এদের এক না করে রাসুলের তরিকা অমান্য করে যাই করছেন ফল হচ্ছেনা,, আরো পরাজয়।।  কারন আপনারা দাজ্জাল চিনেন নাই, যাদের সাথে লড়ছেন তারা দাজ্জালের প্রকৃত অনুসারী - তারা আপনাদের আমাদের তো শেষ করেই দিতে চায়।

এই যুদ্দা রা যদি এই উম্মাহ কে এক প্লাটফর্ম এর দাড়িয়ে সত্য প্রতিষ্ঠার আহবান করতো, একটা জায়গায় সত্য আগে প্রতিষ্ঠিত করতো, তারপরে সেখান থেকে জেহাদ কেতাল করতো কত ভালো হতো।,,, কারন  আমরাও চাই তারা জেহাদ কেতাল করুক, বিজয়ী হোক।।
সেটা কিভাবে??  রাসুলের নীতি অনুযায়ী, এসলামের নীতি হলো এক মহান আদর্শের বিস্তার। আর এই আদর্শ প্রতিষ্ঠায় বাধা আসবেই সেই বাধা কে অতিক্রম করতে হবে এই মোসলেম উম্মাহ অর্থাৎ উম্মতে-মোহাম্মদী কে।
যুদ্ধ করেই সব প্রতিষ্ঠা হয় না।। মানুষ কে বুঝতে হবে, বেচে থাকতে হবে, আমাদের যারা মেরে ফেলতে চায়, আমরা তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবো। আমরা সব বাধা ভেংগে চুরমার করে দেবো সত্য এসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য। মিথ্যার কালো ছায়া দিয়ে আমরা মানবতার ক্ষতি হতে দেবোনা। আজ দুনিয়ার মাটি ভেজা, আমেরিকারা মোসলেমদের মারছে তারাও জংগী অর্থাৎ যোদ্দা, আর যারা এর বিপক্ষে তারাও জংগী অর্থাৎ যোদ্দা, শিশুর রক্তে ভেজা দুনিয়ার মাটি  এই জংগী  দের যুদ্ধের কারনে, দুনিয়ার মানুষ আজ দিশেহারা, কই কোথায় এসলাম প্রতিষ্ঠা হয়েছে??? হয়নি কোথাও শান্তি, বরং অশান্তিই বেড়েছে প্রতিনিয়ত।

কিন্তু কই বিজয়ী?? 

এদের বুঝতে হবে যে এরা কেন বিজয়ী হয়না... এসলাম রাষ্ট্র কেন টিকে রইলোনা,, আফগানিস্তানে?

যারা যুদ্ধ করছে তারা ঠিকই করছে আগের মতই শুধু তরবারি নেই। লেকিন তাদের প্রসেস টা ভুল এই জন্য পারছেনা। রাসুলের সময়ও যুদ্ধ করেছে। তারা কি কখনও পরাজয় বরণ করেছে??

বাকি জিন্দিগি অপেক্ষা করে যান।।  আমরা চাইনা জংগী, আমরা চাইনা পাশ্চাত্যের কোন পরাশক্তির গোলামী করা,

আমরা মরতে চাই সত্যের পথে, শান্তির পথে সেটা এসলাম।

আমরাও মানুষ কে এই জেহাদের ডাক দিচ্ছি,,  এই যে মানুষ তারা অর্থাৎ দাজ্জালের অনুসারী রা মারছে, এদের কে

আপনি রাসুলাল্লাহ (স) এর প্রক্রিয়া কে অবজ্ঞা করলেন এটা আপনি পরকালে বুঝবেন, এখন আপনি কিভাবে বুঝবেন?

আমরাও বুঝি ভাই।। তালেবানের ইতিহাস,  আজকে এই মোসলেম দের যুদ্দা দের কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনা,  যারা চায়না এসলামিক আইন কানুন তাদের কি আপনারা মোসলেম বলতে পারেন??

অবশেষে একটাই আহব্বান যে, মানুষ কে আগেই যুদ্ধের কথা বললে ভয় পায়, কারন জানেন??

আজ দাজ্জালের রেডিও টেলিভিশন, পত্রপত্রিকা ভুল বুঝিয়েছে জেহাদ সম্পকে,  যে জেহাদ করলেই জংগী, এদের কে এমন ভাবে বুঝিয়ে সত্যে প্রবেশ করাতে হবে যে সে যেন প্রকৃত জেহাদী অর্থাৎ প্রকৃত মোমেন হয়। জেহাদ ব্যতিত মোমেন হওয়া অসম্ভব।

কিসের জেহাদ ?? একমাত্র এসলামের।

মানুষ কে যদি বলেন যে আসুন যুদ্ধ করি এদের যে মারতেছে এদের রক্ষা করতে হবে, আপনার কথা শুনে অনেকেই হয়তো আফসোস করবে, কিন্তু ভয়ে দশ হাত ফাকে থাকবে, যদিও সে মোকাম্মেল ঈমান্দার হয়ে থাকে,  সে কি করবে তারাতারি দোড়ে মসজিদে গিয়ে সেজদাহ, অর্থাৎ নামায পড়বে,, তাইলে বলুন এ রকম নামায কি আল্লাহ কবুল করবেন?? আসল কাজ জেহাদ বাদে করতেছে কি অন্যটা মানে প্রক্রিয়া।
সালাহ হলো জেহাদের ট্রেইনিং, সালাহ আপনাকে এমন ভাবে গড়ে তুলবে যে আপনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে হইবেন লোহার চেয়েও কঠিন।অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে লড়বে সেইতো প্রকৃত যোদ্ধা।

কিন্তু আজকের সমাজের মহা নামাযদারী কে বলেন,, যুদ্ধের কথা শুনে দোড়ে পালাবে- ভয় ভয় আর ভয়।। মরলে কই যাবে এরা???

তাইলে ভাই যদি মানুষ না বুঝে কেন সে যুদ্ধ করবে,, ঈমান্দার হওয়া মানে মোমেন নয়, মোমেন তারাই যারা জেহাদ করে (হুজুরাত ১৫)

জেহাদ ছাড়া কেউ মোমেন হতে পারবেনা।

এরা যদি না বুঝেই যুদ্ধ শুরু করে দেয়?? তাইলে কেমন হইলো???  মানুষ বুঝলে সেটা করলে একটা তৃপ্তি,  অন্ধভাবে হলে হবে?, মানুষ আজ এসলাম চায়না,, শতকরা ৬০ % লোকের বেশিই এসলাম চায়না, চায় দাজ্জাল! ইহুদী-খ্রিস্টান সভ্যতার সিস্টেম, নিজেকে তারা ধন্য মনে করে তা মেনে,,

আপনি তাদের বললে কি হবে???

তারা ঘ্রিনাই করবে,, আপনারা যেভাবে কেতাল করছেন না বুঝার কারনে এভাবে করলে জয়ী হবেন না,কারন তরিকা ভুল, আসুন আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রন যে আমরা সবাই একত্রিত হই, রাষ্ট্র হোক তারপরে দেখেন যে আল্লাহ কিভাবে সত্য প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন, ব্যক্তিগত ভাবে অস্ত্র ধরে কি করছেন অপরাধী হচ্ছেন।। আমরা জানি ভাই আপনি বলবেন যে তাইলে আমেরিকাকে ডরান?? 

তা কিন্তু নয়, তারা আসলে আমাদের পদানত করে,গোলাম করে রেখেছে,,আমরাও চাই যে আমরা আর গোলাম থাকবোনা,, ।।।  একতা না হয়ে যতই এগুলো করছেন কোন ফল বয়ে আনছে কি??

সবশেষে -আপনারা যে এসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন সেইটা রাসুল (স) এর সময়কার এসলাম নয়,অর্থাৎ বিকৃত এসলাম, এসলাম প্রতিষ্ঠার তরিকাও ভুল।

আর হেযবুত তওহীদ আল্লাহর রসুল (স) এর সময়কার সেই প্রকৃত এসলাম, সেইটা আল্লাহ রহম করে এ যামানার এমাম এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী কে দান করেছেন,এবং এসলাম প্রতিষ্ঠার পাচ দফা করমসুচিও মহান আল্লাহ দান করেছেন,

এনশা'আল্লাহ হেযবুত তওহীদ দিয়েই সারা দুনিয়ায় সত্যদীন কায়েম হবে,এনশা'আল্লাহ।
ইতিমধ্যে আল্লাহ আমাদের বহু সাহায্য করেছেন, আল্লাহ কয়েকটি মোজেজাও গঠিয়েছেন। সবই আল্লাহর রহমত। আপনাকেও সত্যের পথে আহবান, আপনি না বুঝে কিছু করবেন না।আগে বুঝুন তারপরে করুন।

আল্লাহ বলেছেন, কাফের দের যেখানে দেখ হত্যা করো,ওত পেতে থাকো,,তাইলে??? না বুঝেই তা করবেন??? দেখুন রাসুল কি করেছেন,,,  রাসুলের নীতি না দেখে যাই করবেন তাতে ব্যর্থতা ছাড়া কি???

Wait and see --হেযবুত তওহীদ দিয়েই সকল অন্যায় অবিচার বন্ধ হবে এনশা'আল্লাহ।  কারন হেযবুত তওহীদ আল্লাহর একাত্মবাদের দল,কলেমার দল,তওহীদের দল, এটা আল্লাহ চালান,আল্লাহর সাহায্যেই হেযবুত তওহীদ চলে,হেযবুত তওহীদ কেই আল্লাহ সারা দুনিয়ায়
শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মনোনীত করেছেন।
মনে অনেক খটকা লাগিয়ে ঘুইরেন না,,, আগে জানুন- বুঝুন হেযবুত তওহীদ কে,আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য না পড়লে আপনি সারাজীবন আমাদের সিডি,বই পড়লে মনে হবে উল্টাপাল্টা কিন্তু তা নয়,, আগে লক্ষ্য উদ্দেশ্য পড়েন,, আমি বলিনা যে আপনি আসুন আপনাকে হেযবুত তওহীদ করতেই হবে, কারন আল্লাহ আপনাকে আমার চেয়েও জ্ঞান বুদ্ধি অনেক দিয়েছেন।  আল্লাহ আপনাকে ও যত জংগী ভাই আছে তাদেরকে সত্য বুঝার তওফীক দান করুক।(আমিন)

সিকদার-----

No comments:

Post a Comment