পৃথিবী আজ দাজ্জালের হাতের মুঠোয়
রবিবার, অক্টোবর 20, 2013, (দেশেরপত্র)
১৪০০ বছর আগে আল্লাহর রসুল মোহাম্মদ (দ:) যে সকল ভবিষ্যদ্বাণীগুলো কোরে গেছেন তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হোচ্ছে দাজ্জাল। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা হোল দাজ্জালের আবির্ভাব। রসুলাল্লাহর ভবিষ্যদ্বাণী মোতাবেক মানবতার মহাশত্র“, এবলিশের চূড়ান্ত রূপ দাজ্জাল মানবজাতির ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। স্রষ্টার সার্বভৌমত্বকে প্রত্যাখ্যান কোরে মানবজাতিকে সে তার নিজের সার্বভৌমত্ব মেনে নেওয়ার দাবি কোরবে এবং আশ্চর্যজনক হোলেও এটা সত্য যে মানবজাতি তার এই দাবিকে মাথা পেতে নেবে। ফলে পৃথিবীর সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হোয়ে যাবে দাজ্জাল এবং এই ক্ষমতাবলে সে পৃথিবীতে অন্যায়-অবিচার, যুদ্ধ-রক্তপাত এককথায় অশান্তির চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কোরে রাখবে। আর তাই দাজ্জালকে আল্লাহর রসূুল মানবজাতির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফেতনা হিসেবে উল্লেখ কোরেছেন এবং এর ফেতনা থেকে তিনি স্বয়ং আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কোরেছেন।
রসুলাল্লাহ (দ:) তৎকালীন আরবদের দাজ্জালের প্রকৃত ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার স্বার্থ্যে দাজ্জালকে রূপকভাবে বর্ণনা কোরেছেন। কিন্তু বাস্তবে দাজ্জাল কোনো দৈত্য-দানব নয় বরং পাশ্চাত্যের বস্তুবাদী ইহুদি-খ্রিস্টান সভ্যতাই হোল রসুল বর্ণিত সেই ভয়ংকর দানব দাজ্জাল। হেযবুত তওহীদের এমাম, এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী কোরান, হাদীস, বিজ্ঞান, বাইবেল থেকে প্রমাণ কোরে দিয়েছেন যে পাশ্চাত্য সভ্যতাই হোল রসুলাল্লাহ বর্ণিত সেই ভয়ংকর দানব দাজ্জাল। এই কথায় যারা দ্বিমত পোষণ কোরবেন তাদেরকে রসুলাল্লাহর দাজ্জাল সম্পর্কিত হাদীসগুলোকে পুনরায় পর্যালোচনা করার অনুরোধ কোরছি। এখানে আমি একটি মাত্র হাদীস সম্পর্কে আলোচনা কোরব। আল্লাহর রসুল বোলেছেন-‘‘দাজ্জালের শক্তি, প্রভাব ও প্রতিপত্তি পৃথিবীর সমস্ত মাটি ও পানি (ভূ-ভাগ ও সমুদ্র) আচ্ছন্ন কোরবে। সমস্ত পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশ চামড়া দিয়ে জড়ানো একটি বস্তুর মতো তার করায়ত্ত হবে। [ মুসনাদে আহমদ, হাকীম, দারউন নশুর]রসুলাল্লাহ তাঁর ঐ হাদীসে কাকে বা কি বোঝাচ্ছেন? সমস্ত পৃথিবীর মাটি ও পানি অর্থাৎ সমস্ত পৃথিবীটাকে আজ কোন মহাশক্তি আচ্ছন্ন কোরে আছে? একটু চিন্তা কোরলেই দেখতে পাবেন যে, ঐ শক্তি অবশ্যই পাশ্চাত্যের ঐ ইহুদি-খ্রিস্টান যান্ত্রিক সভ্যতা। সমস্ত পৃথিবীতে আজ এই শক্তি অপ্রতিরোধ্য। কিছুদিন আগ পর্যন্তও দাজ্জালের দু’টি ভাগের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল, আজ নেই, এখন দাজ্জাল নিরংকুশ ক্ষমতার অধিকারী। পৃথিবীর পৃষ্ঠে কোনো ভূ-ভাগ, মাটি নেই, কোনো সমুদ্র নেই যেখানে এই মহাশক্তি যা ইচ্ছা তা কোরতে না পারে। এই হাদীসটিতে বিশ্বনবী যে উপমা দিয়েছেন তা সত্যই প্রকৃত অবস্থা বর্ণনা করে-কোনো কিছু দিয়ে (এখানে তিনি চামড়া শব্দ ব্যবহার কোরেছেন) একটা বস্তুকে (এখানে এই পৃথিবীকে) সম্পূর্ণভাবে জড়িয়ে ফেলা, পেঁচিয়ে ফেলা। ইহুদি-খ্রিস্টান সভ্যতার যান্ত্রিক শক্তি যেভাবে সমস্ত পৃথিবী পদানত কোরে রেখেছে তার নিখুঁত বর্ণনা দিয়েছেন আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নবী।
পৃথিবীর ইতিহাস যতটুকু জানা যায়, তা থেকে বলা যায় যে, অতীতে কখনও পৃথিবীতে এমন একটি মহাশক্তির আবির্ভাব হয়নি যে শক্তি সমস্ত পৃথিবীকে পদানত ও নিয়ন্ত্রণ কোরতে পেরেছে। এটা সম্ভবও ছিল না । কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা , যানবাহন ইত্যাদি এমন ছিলনা যে অল্প সময়ের মধ্যে পৃথিবীর যে কোনো স্থানের সাথে যোগাযোগ করা যায় বা অল্প সময়ের মধ্যে সেখানে যাওয়া যায়। ইহুদি-খ্রিস্টান সভ্যতার বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি সেটা সম্ভব কোরেছে। আর কোরেছে বোলেই মানব ইতিহাসে এই প্রথম এমন একটি মহাশক্তিধর দৈত্য-দানবের আবির্ভাব হোয়েছে যেটা সমস্ত পৃথিবীকে পদানত কোরেছে।এক সময় রোমান সাম্রাজ্য পৃথিবীর এক উল্লেখযোগ্য অংশ শাসন কোরতো, অন্য সময় পারসিক শক্তি বিরাট এলাকার অধিপতি ছিল। তারও আগে বর্তমানের আফগানিস্তান থেকে পূর্বে বোর্ণিও পর্যন্ত বিশাল এলাকা ভারতীয় সভ্যতার অধীনে ছিল। কিন্তু কোনো একক মহাশক্তিই কখনো সমস্ত পৃথিবীতে আধিপত্য কোরতে পারে নি। কিন্তু বর্তমানে পাশ্চাত্য সভ্যতা এই অসম্ভবকেই সম্ভবে পরিণত কোরেছে। পৃথিবীর এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে দাজ্জাল যেতে পারে না, যা ইচ্ছা কোরতে পারে না। সমস্ত পৃথিবী আজ তার হাতের মুঠোয়। কাজেই পাশ্চাত্যের ইহুদি-খ্রিস্টান সভ্যতাই যে রসুল বর্ণিত সেই দাজ্জাল তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। যারা এই যুক্তি মানতে নারাজ যে, দাজ্জালের হাদীসগুলি মোটেও রূপক নয় বরং এটি একটি স্বাভাবিক বর্ণনা তাদের কাছে একটা প্রশ্ন করি: যদি এটি স্বাভাবিক বর্ণনা হয় তবে সমস্ত পৃথিবীকে চামড়া দিয়ে কিভাবে মোড়ানো সম্ভব আর যদি মোড়ানো সম্ভবও হয় তবে মোড়ানোর পরে পৃথিবীতে আলো, বাতাস ইত্যাদি কিভাবে আসবে এবং মানুষসহ সকল প্রাণী কিভাবে বাঁচবে? সমস্ত পৃথিবী চামড়া দিয়ে মুড়িয়ে যদি দাজ্জাল হাতে নেয় তবে সে দাড়াবে কোথায়, হাঁটবে কিসের উপর ইত্যাদি নানা প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয় আপনার কাছে নেই। আপনার মধ্যে তর্ক কোরবার বিকৃত মানসিকতা না থাকলে নিশ্চয় একটু ভাবলেই বুঝতে পারবেন যে, দাজ্জালের হাদীসগুলি অবশ্যই রূপক ভাবে বর্ণিত এবং দাজ্জাল ইহুদি-খ্রিস্টান ‘সভ্যতা’ বৈ কিছু নয়। আল্লাহ সকলকে দাজ্জালকে চেনার সৌভাগ্য দান করুন। আমীন।।
[যোগাযোগ: হেযবুত তওহীদ, ০১৬৭০১৭৪৬৪৩, ০১৭১১০০৫০২৫, ০১৯৩৩৭৬৭৭২৫, ০১৮৫৩৯৯৩২২২, ০১১৯১৩৬৭১১০, ০১৭৮২১৮৮২৩৭, ০১৫৫৯৩৫৮৬৪৭]
See more at: http://desherpatro.com/2013/10/20/%e0%a6%aa%e0%a7%83%e0%a6%a5%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%86%e0%a6%9c-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%87-2/#sthash.WoxnS368.dpuf
No comments:
Post a Comment