DESHERPATRO

Saturday, January 18, 2014

একটিমাত্র ফেরকা বাদে সমস্ত ফেরকা, মাযহাব আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে”

একটিমাত্র ফেরকা বাদে সমস্ত ফেরকা, মাযহাব আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে”

শুক্রবার, জানুয়ারী 17, 2014, 18:25বিশেষ নিবন্ধমন্তব্য যোগ করুন (দেশেরপত্র)

আল্লাহর রসুল (দ:) একদিন মরুভূমির বুকে একটি সরল-সোজা লাইন থেকে ডান দিকে কতকগুলি এবং বাম দিকে কতকগুলি লাইন টানলেন এবং বোললেন-শয়তান এই রাস্তাগুলিতে ডাকতে থাকবে। এই বোলে তিনি কোর’আন থেকে এই আয়াত পড়লেন- নিশ্চয়ই এই হোচ্ছে আমার (আল্লাহর) সহজ-সরল পথ সেরাতুল মোস্তাকীম। সুতরাং এই পথেই চলো, অন্য পথে চলো না, (অন্যপথে) চোললে তা তোমাদের তার (আল্লাহর) পথ থেকে (চতুর্দিকে) বিচ্ছিন্ন কোরে দেবে। এইভাবে তিনি (আল্লাহ) নির্দেশ দিচ্ছেন যেন তোমরা সাবধানে পথ চোলতে পার (কোর’আন- সুরা আল-আনাম ১৫৪ এবং হাদিস- আব্দাল্লাহ বিন মাসউদ (রা:) থেকে- আহমদ, নিসায়ী, মেশকাত)। আল্লাহ ও তার রসুলের (দ:) সরাসরি আদেশকে অমান্য কোরে সেরাতুল মোস্তাকীমকে ত্যাগ কোরে এই জাতি আজ অতি মুসলিম হোয়ে শতধা বিচ্ছিন্ন হোয়ে গেছে। আজ দুনিয়াময় মোসলেম বোলে যে জাতিটি পরিচিত সেটা বহু ভাগে বিভক্ত। এর প্রত্যেক ভাগ অর্থাৎ ফেরকা, মাযহাব, বিশ্বাস করে যে সেই ভাগটাই শুধু প্রকৃত এসলামে আছে, বাকি সব মাযহাব, ফেরকা পথভ্রষ্ট, ঠিক যেমন অন্যান্য ধর্মের লোকেরা নিশ্চিত যে তাদের ধর্মই সঠিক, অন্য সব ধর্মের মানুষ নরকে যাবে। কিন্তু আসলে অন্যান্য সব ধর্ম যেমন তাদের নবীদের (দ:) দেখানো পথ থেকে বিচ্যুত হোয়ে পথভ্রষ্ট হোয়ে গেছে, মুসলিম নামধারী এই জাতিও তার নবীর (দ:) প্রতিষ্ঠিত পথ থেকে তেমনি ভ্রষ্ট হোয়ে গেছে যতখানি পথভ্রষ্টতা, বিকৃতি আসলে, পূর্বে আল্লাহ নতুন নবী পাঠিয়েছেন, এই জাতিতে ততখানি বিকৃতি বহু পূর্বেই এসে গেছে। নতুন নবী আসেন নি, কারণ, নবুয়্যত শেষ হোয়ে গেছে এবং শেষ রসুলের (দ:) প্রতিষ্ঠিত পথে, প্রকৃত এসলামে আবার ফিরে যাওয়ার জন্য অবিকৃত কোর’আন ও রসুলের হাদিস আছে যা অন্যান্য ধর্মে নেই।

শেষ এসলামের বিভক্তিগুলির মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাগ হোচ্ছে শিয়া মাযহাব। এই মাযহাবের পণ্ডিতরাও কোর’আন-হাদিসের চুলচেরা বিশ্লেষণে সুন্নী পণ্ডিতদের চেয়ে পেছনে পড়ে নেই এবং তাদের পাণ্ডিত্যের ফলে শিয়া মাযহাবও অগণিত ফেরকায় বিভক্ত হোয়ে গেছে সুন্নীদের মত। ফলে প্রকৃত এসলামের উদ্দেশ্য থেকে শিয়া-সুন্নী উভয় মাযহাবই বহু দূরে। কে বেশি দূরে কে কম দূরে এ পরিমাপ করা আমাদের উদ্দেশ্যও নয়, আমাদের সাধ্যও নয়, আমরা শুধু এইটুকুই জানি যে মহানবীর (দ:) কথিত একটিমাত্র ফেরকা বাদে শিয়া-সুন্নীসহ আর সমস্ত ফেরকা, মাযহাব আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে, অর্থাৎ মহানবীর (দ:) এসলামে নেই। সেই একমাত্র ফেরকা কোন্ ফেরকা তা পেছনে দেখিয়ে এসেছি। সুন্নীরা যেমন বিশ্বনবীর (দ:) প্রকৃত সুন্নাত ত্যাগ কোরে আল্লাহ-রসুলের নিষিদ্ধ ‘চুলচেরা বিশ্লেষণ’ কোরে উম্মাহটাকে টুকরো টুকরো কোরে ভেঙ্গে দিলেন এবং হাত থেকে তলোয়ার ফেলে দিয়ে তসবিহ নিয়ে খানকায়, হুজরায় ঢুকে উম্মাহর বর্হিমুখী (ঊীঃৎড়াবৎঃ) গতিকে অন্তর্মুখী কোরে একে স্থবির কোরে দিলেন (ওহঃৎড়াবৎঃ), তেমনি শিয়ারাও তাদের মাযহাবকে চুলচেরা বিশ্লেষণ কোরে বহু ভাগে ভাগ কোরে দিলেন এবং নবীর (দ:) প্রকৃত সুন্নাহ অর্থাৎ দীনকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বাদ দিয়ে বহু পূর্বের এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে নিয়ে মাতম করাটাকেই সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম-কর্ম হিসাবে গ্রহণ কোরলেন। মাতম করা কোন জীবন্ত জাতির মুখ্য কাজ হোতে পারে না, মৃত জাতির হোতে পারে।

  See more at: http://desherpatro.com/2014/01/17/%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%ae-4/#sthash.XU5IyjYX.dpuf

No comments:

Post a Comment