DESHERPATRO

Friday, January 10, 2014

হার্ট অ্যাটাক ! পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধৈর্যধারন করে পড়লে অনেক

হার্ট অ্যাটাক ! পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধৈর্যধারন করে পড়লে অনেক
কিছু জানতে পারবেন নিজেও বাঁচতে পারবেন অন্যকেও বাঁচাতে পারবেন
ধন্যবাদ ।
হার্ট অ্যাটাক ! কি ?
আমাদের পুরো শরীরে অনবরত রক্ত সরবরাহ করে চলেছে হৃৎপিন্ড। রক্তের
মাধ্যমে পুষ্টি পেয়ে বেঁচে থাকে আমাদের শরীরের কোষগুলো।
করোনারি আর্টারি নামে হৃৎপিন্ডের গায়ে থাকে দুটি ছোট ধমনী। এরাই
হৃৎপিন্ডে পুষ্টির যোগান দেয়। কোন কারনে এই
করোনারি আর্টারিতে যদি ব্লক সৃষ্টি হয় তাহলে যে এলাকা ঐ
আর্টারি বা ধমনীর রক্তের পুষ্টি নিয়ে চলে সে জায়গার হৃৎপেশি কাজ
করে না। তখনই হার্ট এটাক হয়ে থাকে। এর কেতাবি নাম
মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন।
হার্ট এটাকের লক্ষণ
এখন প্রথমেই যেই কথাটা মাথায় আসে বুঝবো কী করে যে হার্ট এটাক
হয়েছে কিনা। হার্ট এটাকের ক্ষেত্রে সাধারণত নিম্নলিখিত
ব্যাপারগুলো চোখে পড়েঃ
১) বুকের মাঝে অস্বস্তিকর চাপ অনুভব করা কিংবা বুকে ব্যথা হওয়া। এই
ব্যথা ক্রমেই শরীরের নানা অংশে যেমন বা হাতের দিক
দিয়ে ছড়িয়ে পড়া।
২) পেটের উপরের দিকে তুলনামূলক লম্বা সময় ধরে ব্যথা অনুভব করা।
৩) শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, মূর্ছা যাওয়া।
৪) অস্বস্তিকর চাপ কিংবা বুকে ব্যথার কারণে ঘামতে থাকা।
করনীয়ঃ- বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে হার্ট এটাক
সবচেয়ে বেশী শোনা এক ত্রাসের নাম। প্রত্যেকেই
কোনো না কোনোভাবে এই শব্দটার সাথে পরিচিত। হার্ট এটাকের
চিকিৎসার পুরোটাই ডাক্তার এবং হসপিটাল নির্ভর তবুও প্রাথমিক
চিকিৎসা করলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে।
১) যদি আপনি একা থাকেন সেক্ষেত্রে ঝুকি অনেক বেশি ।
লম্বা করে শ্বাস নিন। এবার কাশুন। লম্বা সময় নিয়ে দীর্ঘ কাশি দিন।
এর ফলে আপনার ফুসফুসে স্পাটাম/মিউকাস উৎপন্ন হবে।‘শ্বাস – কাশি,
শ্বাস – কাশি...’ এই প্রক্রিয়া প্রতি দুই সেকেণ্ডে একবার
করে করতে থাকুন, যতক্ষণ না কেউ আপনার
সাহায্যে এগিয়ে না আসে অথবা যতক্ষণ আপনার হৃদযন্ত্র একা একাই
স্বাভাবিকভাবে স্পন্দিত হতে থাকে।
লম্বা করে শ্বাস নেবার ফলে আপনি পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাবেন। আর
কাশির ফলে আপনার হৃদযন্ত্র সংকোচন-প্রসারণ হবে যার ফলে আপনার
হৃদপিণ্ডের ভিতর দিয়ে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
২) প্রথমেই ইমারজেন্সি নাম্বারে ফোন করুন (সেক্ষেত্রে অবশ্যই
আপনার ব্যবহৃত মোবাইলে অ্যাম্বুলেন্স – ফায়ার সার্ভিস –
হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ ফোন নাম্বার সেভ করে রাখুন আগে থেকেই)।
৩) হাতের কাছে অ্যাসপিরিন থাকলে দ্রুত নিয়ে চুষতে থাকুন
এবং গিলে ফেলুন। এখানে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে অ্যাসপিরিন
আপনার ডাক্তারের পরামর্শে নেওয়া।সরাসরি নাইট্রোগ্লিসারিন
ব্যবহার করা। তবে আগে থেকেই ডাক্তারের কাছ
থেকে নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহারের ব্যাপারে পরামর্শ নিয়ে রাখুন।
৪) প্রথমেই ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন ।
রোগী মূর্ছা গেলে তাকে শুইয়ে দিন এবং রোগীর উপর
চেপে থাকা কাপড় ঢিলা করে দিন। বুকের একটু উপরে হাত
রেখে কপালে চাপ দিয়ে চোয়াল উচু করে দিন (Like Pic B )
৫)তারপর কৃত্তিমভাবে হার্ট চালু করানো এবং কৃত্তিম শ্বাস প্রশ্বাসের
ব্যবস্থা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কৃত্তিম ভাবে হার্ট চালু
করানো প্রক্রিয়াটি অনেকটা এরকম -
ক) প্রথমে রোগীর এক পাশের হাঁটুর উপর ভর দিয়ে বসুন । তারপর বাম হাত
বুকের উপরে রেখে ডান হাত পুনরায় বাম হাতের উপর রাখুন। এরপর ডান
হাতের আঙ্গুলগুলোকে বা হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে রেখে বুকে চাপ দিন
(Like Pic E )
খ)হার্ট পাম্পিং এর সাথে সাথে অবশ্যই শরীরে কৃত্তিম
শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে, কেননা হার্ট যখন থেমে যায় তখন
শরীরের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব পড়ে। এজন্য রোগীর উপর
ঝুঁকে রোগীর মুখে মুখ লাগিয়ে বাইরে থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করুন।
(Like Pic C )
বাইরে থেকে সাহায্য না আসা পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াটা চালু রাখুন।
এতে খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে তেমনি দ্রুত
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। ধন্যবাদ । নতুন কিছু
জানতে বা শিখতে পারলে অবশ্যই পোস্ট টি শেয়ার করুন ।

No comments:

Post a Comment