DESHERPATRO

Monday, December 2, 2013

ধর্মব্যবসা ও ধর্ম নিয়ে অপ-রাজনীতির ইতিবৃত্ত

ধর্মব্যবসা ও ধর্ম নিয়ে অপ-রাজনীতির ইতিবৃত্ত

বুধবার, নভেম্বর 20, 2013, (দেশেরপত্র)

(একটি সত্য। একটি মহা সত্য। যে সত্য শত শত বছর আগে পথ হারিয়েছিল বিকৃতির অন্ধগলিতে। আজ আপনাদের সামনে মিথ্যার অন্ধকার ভেদ কোরে সেই সত্য উদ্ভাসিত হবে এনশাল্লাহ। সত্যকে উদ্ভাসিত করতে চাইলে মিথ্যাকে চিহ্নিত না করে উপায় নেই। মানবজাতির মুক্তির একমাত্র পথ যে এসলাম, সেটাও আজ মিথ্যার চাদরে আবৃত। সেই মিথ্যার নাম ধর্মব্যবসা।)আমাদের সমাজে বহু পন্থায় ধর্মকে পুঁজি কোরে স্বার্থ হাসিল করা হয়। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করা থেকে শুরু কোরে নামাজ পড়িয়ে, কোর’আন খতম দিয়ে, মিলাদ পড়িয়ে, জানাজা পড়িয়ে, খোতবা-ওয়াজ কোরে, পরকালে মুরিদানের জন্য জান্নাতের ওসিলা সেজে অর্থ রোজগার করা সব কিছুই ধর্মব্যবসার আওতাভুক্ত। আল্লাহ সর্বপ্রকার ধর্মব্যবসাকেই হারাম কোরেছেন। তিনি বলেন,“আল্লাহ যে কেতাব অবতীর্ণ কোরেছেন যারা তা গোপন করে এবং বিনিময়ে তুচ্ছমূল্য গ্রহণ করে তারা (১) নিজেদের পেটে আগুন ছাড়া কিছুই পুরে না, (২) কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সঙ্গে কথা বোলবেন না, (৩) আল্লাহ তাদের পবিত্রও কোরবেন না, (৪) তারা ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় কোরেছে, (৫) তারা হেদায়াতের পরিবর্তে পথভ্রষ্টতা, গোমরাহী ক্রয় কোরেছে, (৬) তারা দীন সম্পর্কে ঘোরতর মতভেদে লিপ্ত আছে (৭) আগুন সহ্য কোরতে তারা কতই না ধৈর্যশীল”।(সুরা আল বাকারা ১৭৫-১৭৬)

ধর্মব্যবসায়ীরা আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী নিকৃষ্টতম জাহান্নামী। তাদের অনুসরণ কোরতে আল্লাহ সরাসরি নিষেধ কোরেছেন। তিনি বোলেছেন, “তোমরা তাদের আনুগত্য করো, যারা তোমাদের কাছে বিনিময় চায় না এবং যারা সঠিক পথে আছে।” অর্থাৎ যারা এসলামের কাজ কোরে কোন বিনিময় আশা করে তাদের অনুসরণ করা আল্লাহর হুকুম পরিপন্থী। (সুরা ইয়াসীনের ২১)আল্লাহর রসুল শেষ যুগের আলেমদেরকে আসমানের নিচে সর্বনিকৃষ্ট জীব বোলে উল্লেখ কোরেছেন। তিনি বোলেছেন, এমন সময় আসবে যখন- (১) এসলাম শুধু নাম থাকবে, (২) কোর’আন শুধু অক্ষর থাকবে, (৩) মসজিদসমূহ জাঁকজমকপূর্ণ ও লোকে লোকারণ্য হবে কিন্তু সেখানে হেদায়াহ থাকবে না, (৪) আমার উম্মাহর আলেমরা হবে আসমানের নিচে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব, (৫) তাদের তৈরি ফেত্না তাদের ওপর পতিত হবে। [আলী (রা:) থেকে বায়হাকী, মেশকাত]

আমাদের দেশের মানুষ এসলামের ব্যাপারে ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণির উপর নির্ভরশীল। এই মাদ্রাসা শিক্ষিত মোল্লারা যা বলে মানুষ সেটাকেই বিশ্বাস করে, তারা ওয়াজ কোরে, ফতোয়া দিয়ে সাধারণ মানুষকে হাসাতে পারে, কাঁদাতে পারে, উত্তেজিত কোরতে পারে, কারও বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দিতে পারে এমন কি দাঙ্গাও বাধিয়ে দিতে পারে, ফতোয়া দিয়ে মানুষের বাড়ি-ঘর পোড়ানো এমন কি মানুষ হত্যা পর্যন্ত কোরতে পারে। কিন্তু সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষদেরকে কে বোলে দেবে যে এই মোল্লারা যে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা কোরছে, রাজনীতি কোরছে, সন্ত্রাস কোরছে সেটা আল্লাহ-রসুলের প্রকৃত এসলামই নয়? এ বিষয়টিই কোর’আন-হাদীসের ভিত্তিতে যুক্তি-প্রমাণসহ উপস্থাপন কোরেছেন হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এ যামানার এমাম এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। এই সত্যগুলি তুলে ধরায় মিথ্যার ধারক আলেম মোল্লা শ্রেণি মাননীয় এমামুয্যামানের উপর ক্ষিপ্ত হোয়ে যায়, কারণ তারা বুঝতে পারে যে তাদের জমজমাট ধর্মব্যবসার গুমর ফাঁস হোয়ে যাচ্ছে। তারা দেশের বহু স্থান থেকে মাননীয় এমামুয্যামান এবং তাঁর অনুসারীদেরকে কাফের, মুরতাদ, খ্রিস্টান ফতোয়া দেয়, হাজারো মিথ্যা অপবাদ আরোপ কোরে তাদের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষিপ্ত কোরে তোলে। ফলে হেযবুত তওহীদের বহু সদস্যকে অমানুষিক নির্যাতন করা হোয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হোয়েছে, মেরে পঙ্গু কোরে দেওয়া হোয়েছে, বাড়িঘর লুটপাট, ভাঙচুর করা হোয়েছে, ফসল ধ্বংস করা হোয়েছে, জমি জমা দখল কোরে নেওয়া হোয়েছে, অর্ধ-শতাধিক বাড়ি ভষ্মীভূত কোরে দেওয়া হোয়েছে, এমন কি নির্মমভাবে পিটিয়ে শহীদ কোরে ফেলা হোয়েছে হেযবুত তওহীদের মোজাহেদ সাইফুল্লাহ এবং মোজাহেদা রাবেয়া খাতুনকে। তবু এক মুহূর্তের জন্যও দমে না গিয়ে আমরা যামানার এমামের মাধ্যমে যে মহাসত্য লাভ কোরেছি সেটি গত ১৮ বছর ধোরে সাধ্যমত প্রচার কোরে যাচ্ছি। ব্যবসায়ীরা যেমন অধিক মুনাফা লাভের জন্য নিজেদের মধ্যে সিন্ডিকেট তৈরি করে, তেমনি ধর্মব্যবসায়ীরাও নিজেদের মধ্যে জোট সৃষ্টি কোরে স্বার্থ হাসিলের জন্য “ধর্ম গেল – ধর্ম গেল” জিকির তুলে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে। ধর্মের নামে উন্মাদনা, দাঙ্গা যুগে যুগে অশান্তির একটি মূল কারণ। সাম্প্রতিককালে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, মিশর, লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া ইত্যাদি দেশগুলিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর পিছনে একটি প্রধান কারণ ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস কোরি, প্রচলিত এসলামের বিকৃতিসমূহ এবং ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি বা ব্যবসা কোরছে তাদের মুখোস যদি খুলে দেয়া যায় তবে ধর্মীয় গোঁড়ামী, জঙ্গিবাদ, অপ-রাজনীতি, ধর্মব্যবসা সবকিছু নির্মূল হোয়ে যাবে। তখন আর মুফতি মোল্লারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মের নামে কোন উন্মাদনা সৃষ্টি কোরে সাধারণ মানুষকে দাঙ্গা ফাসাদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার কোরতে পারবে না।

ধর্ম এসেছে মানুষকে শান্তি দেয়ার জন্য, কোন গোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য নয়।মানুষের ইতিহাস সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়ের চিরন্তন দ্বন্দ্বের ইতিহাস। এই দ্বন্দ্বে কখনও সত্য জয়ী হয়েছে, কখনও জয়ী হোয়েছে মিথ্যা। সকল সত্যের উৎস হোচ্ছেন মহান আল্লাহ, তাঁর পক্ষ থেকেই মানুষ যুগে যুগে সত্যধর্ম লাভ কোরেছে। আদম (আ:) থেকে শুরু কোরে আখেরী নবী মোহাম্মদ (দ:) পর্যন্ত পৃথিবীর প্রতিটি জনপদে, প্রতিটি সমাজে আল্লাহ তাঁর নবী, রসুল, অবতার ও মহামানবগণকে প্রেরণ কোরেছেন। তাদের মাধ্যমেই সত্য এসেছে, সত্য জয়ী হোয়েছে। সত্যের রূপ হোচ্ছে শান্তি, ন্যায়, সুবিচার, আর মিথ্যার রূপ হোচ্ছে অশান্তি, অন্যায়, অবিচার। কালের বিবর্তনে নবী রসুলদের শিক্ষাকে যখন বিকৃত করা হোয়েছে তখনই বিজয়ী হোয়েছে মিথ্যা, বিস্তার ঘোটেছে অশান্তির। সত্যের ধারক নবীদের অন্তর্ধানের পর তাঁদের জাতির মধ্যে জন্ম নিয়েছে ধর্ম ব্যবসায়ী আলেম-পুরোহিত শ্রেণি। তাদের হাতে পড়েই ধর্ম বিকৃত হোয়ে মূল রূপ হারিয়ে ফেলেছে।একইভাবে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে পৃথিবী অন্যায়-অবিচার, রক্তপাতে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো। সেই ক্রান্তিলগ্নে মানবজাতির রহমতস্বরূপ আবির্ভূত হলেন বিশ্বনবী মোহাম্মদ (দ:)। তিনি এসে মানবজাতিকে আবার সত্য জীবনব্যবস্থার সন্ধান দিলেন। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম এবং কঠোর সংগ্রাম কোরে আরবজাতিকে এমন একটি জীবনব্যবস্থার মধ্যে আনলেন যে জীবনব্যবস্থা সমাজটিকে অভাবনীয় শান্তি আর সুবিচারে পূর্ণ কোরে দিল। প্রকৃত এসলামের অধীনে প্রতিটি মানুষ হোয়ে গেল একটি জাতি, এক পরিবার। সেই সমাজে কি আজকের মত কোন ধর্মজীবী মোল্লা, মুফতি, পুরোহিত শ্রেণি ছিল?

এসলামের ইতিহাস সম্পর্কে যাদের ন্যূনতম জ্ঞানও আছে তারাও জানেন, মোসলেম নামের বৃহত্তর জনসাধারণ থেকে আলাদা একটি শ্রেণি যারা অর্থের বিনিময়ে মসজিদগুলিতে নামাজ পড়াবে, মিলাদ পড়াবে, মৃত্যুর পর জানাজা পড়াবে, কবর জেয়ারত কোরবে, গরু কোরবানি কোরে দেবে, ফতোয়া দেবে, বিয়ে পড়াবে আর বৃহত্তর জনসাধারণ এসলাম সম্পর্কে কিছুই জানবে না, তারা এই শ্রেণিটির মুখাপেক্ষী হোয়ে থাকবে এমন বিভাজন এসলামে কোনকালেই ছিল না। তাহোলে কিভাবে জাতির মধ্যে এই শ্রেণিটির আবির্ভাব ঘোটল?ধর্মজীবীর জন্মকথা: সকল নবীর নিষেধাজ্ঞারসুলাল্লাহ তাঁর উম্মাহর উপর দিয়ে গেলেন বাকি পৃথিবীতে সত্যদীন প্রতিষ্ঠার কাজ। তাঁর উম্মাহ স্ত্রী-পুত্র, বাড়ি-ঘর সহায় সম্পত্তি সবকিছু কোরবান করে দিলেন মানবতার কল্যাণে। তারা পার্থিব কোন বিনিময়ের আশা না কোরে কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়াময় ছড়িয়ে পড়লেন। কঠোর সংগ্রাম করে তারা অর্ধ পৃথিবীতে সেই শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা কোরলেন। এরপর ঘটল এক মহা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। জাতি ভুলে গেল কেন তাদেরকে সৃষ্টি করা হোয়েছে। অর্ধেক পৃথিবীর সম্পদ হাতে পেয়ে জাতির নেতারা অন্যান্য রাজা-বাদশাহদের মতই ভোগবিলাসে লিপ্ত হয়ে পড়ল এবং এসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ত্যাগ কোরল। এ সময় জাতির মধ্যে বড় একটি অংশ দীনের মাসলা মাসায়েলের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আরম্ভ কোরল। তাদের কাজের ফলে জাতি হাজারো মাযহাব, ফেরকায় বিভক্ত হোয়ে পড়ল। এই আলেম শ্রেণির কাজের ফলেই জাতি দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বাদ দিয়ে মাযহাব ফেরকায় বিভক্ত হোয়ে নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও রক্তপাতে লিপ্ত হোয়ে গেল।আব্বাসীয়, উমাইয়া, ফাতেমীয় ইত্যাদি নামের শাসকরা তাদের যাবতীয় অন্যায় কাজের ন্যায্যতা প্রমাণের জন্য ঐসব আলেমদেরকে ঠিক কোরল। এই আলেমদের কাজ হোল শাসকের সকল অন্যায় কাজের ধর্মীয় ব্যাখ্যা দাঁড় কোরিয়ে সেগুলিকে জায়েজ করা, প্রয়োজনে জাল হাদীস তৈরি করা। যে কথা আল্লাহ বলেন নি সেটাই আল্লাহর নামে চালিয়ে দেয়া। অথচ আল্লাহ বোলেছেন, “দুর্ভোগ তাদের জন্য, যারা নিজ হাতে কেতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, ‘এগুলি আল্লাহর নিকট থেকে আগত। তাদের হাত যা রচনা কোরেছে তার জন্য তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং যা তারা উপার্জন করে, তার জন্যও তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। [বাকারা-৭৯]এভাবেই ধীরে ধীরে জাতির মধ্যে জন্ম নিল পৃথক একটি আলেম শ্রেণি যাদের কাছে বাঁধা পড়ল দীনের সকল কর্মকাণ্ড। তাদের হাতে পড়ে দীন বিকৃত হোতে শুরু কোরল। এজন্য কোন কালেই, কোন ধর্মেই ধর্মব্যবসা বৈধ ছিল না। পূর্ববর্তী অনেক নবীর এ সংক্রান্ত ঘোষণা পবিত্র কোর’আনে উল্লেখ আছে:১। নূহ (আ:) এর ঘোষণা: হে আমার সম্প্রদায়! এর পরিবর্তে আমি তোমাদের নিকট ধন সম্পদ চাই না। আমার পারিশ্রমিক আল্লাহর নিকট। [সুরা হুদ-২৯, সুরা শুআরা - ১০৯, সুরা ইউনুস - ৭২]২। হুদের (আ:) ঘোষণা: হে আমার সম্প্রদায়! আমি এর পরিবর্তে তোমাদের নিকট কোনো মজুরি চাই না। আমার পারিশ্রমিক তাঁরই নিকট যিনি আমাকে সৃষ্টি কোরেছেন। তোমরা কি তবুও বুঝতে চেষ্টা কোরবে না? [হুদ-৫১, সুরা শুআরা - ১২৭]৩। সালেহ (আ:) এর ঘোষণা: আমি তোমাদের নিকট এর জন্য কোনো পারিশ্রমিক চাই না। আমার মজুরি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রোয়েছে। [শুয়ারা-১৪৫]৪। লুতের (আ:) ঘোষণা: এর জন্য আমি কোনো মজুরি চাইনা। আমার মজুরি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে। [শুয়ারা-১৬৪]৫। শোয়েবের (আ:) ঘোষণা: আমি এর জন্য তোমাদের নিকট কোনো মূল্য চাই না। আমার মজুরি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে। [শুয়ারা-১৮০]

এবার দেখা যাক অন্যান্য ধর্মে ধর্মব্যবসা সম্পর্কে কী বলা হোয়েছে?সনাতন ধর্মগ্রন্থ মনুসংহিতার একাদশ অধ্যায়ে উল্লেখিত আছে:ন যজ্ঞার্থং ধনং শূদ্রাদ্ বিপ্রো ভিক্ষেত কর্হিচিৎ।যজমানো হি ভিক্ষিত্বা চাণ্ডালং প্রেত্য জায়তে।।২৪।।অনুবাদ: যজ্ঞের জন্য শূদ্রের নিকট ধন ভিক্ষা করা ব্রাহ্মণের কখনও কর্তব্য নয়। কারণ যজ্ঞ করতে মৃত্যুর পর প্রবৃত্ত হ’য়ে ঐভাবে অর্থ ভিক্ষা করলে চণ্ডাল হ’য়ে জন্মাতে হয়।যজ্ঞার্থমথং ভিক্ষিত্বা যো ন সর্বং প্রয”্ছতি।স যাতি ভাসতাং বিপ্রঃ কাকতাং বা শতং সমাঃ।।২৫।।অনুবাদ: যে ব্রাহ্মণ যজ্ঞের জন্য অর্থ ভিক্ষা করে তার সমস্তটা ঐ কাজে ব্যয় করে না, সে শত বছর শকুনি অথবা কাক হ’য়ে থাকে। সুতরাং সনাতন ধর্মে ধর্মব্যবসা নিষিদ্ধ।খ্রিস্টানদের চার্চে যেমন বেতনভুক্ত ফাদার বা প্যাস্টর থাকে এমন কোন শ্রেণির উল্লেখ বাইবেলে নেই। বরং ঈসা (আ:) ইহুদি রাব্বাই সাদ্দুসাই ফরিশিদের ধর্মবাণিজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিলেন। তিনি ইহুদি আলেমদের উদ্দেশ্যে বোলেছিলেন,“Woe to you, teachers of the law and Pharisees, you hypocrites! You are like whitewashed tombs, which look beautiful on the outside but on the inside are full of the bones of the dead and everything unclean. 28 In the same way, on the outside you appear to people as righteous but on the inside you are full of hypocrisy and wickedness. (Matt 23:27-28)“হে রাব্বাই ও ফরিশিগণ! হে মোনাফেকরা! আফসোস তোমাদের জন্য! কারণ তোমরা চুনকাম করা কবরের মত; বাইরে থেকে দেখতে সুন্দর বটে, কিন্তু ভিতরে মরা মানুষের হাড় ও সর্বপ্রকার নাপাকি ভরা। তদ্রƒপ তোমরাও বাইরে লোকদের কাছে নিজেদেরকে ধর্মপ্রাণ বোলে দেখিয়ে থাকো, কিন্তু ভিতরে তোমরা অধর্ম আর মোনাফেকিতে পরিপূর্ণ”। (ম্যাথু ২৩: ২৭-২৮)পবিত্র কোর’আনে শেষ নবীর প্রতি আল্লাহর হুকুম হোচ্ছ:ক. বল! আমি এর জন্য তোমাদের নিকট কোনো পারিশ্রমিক চাই না। এবং যারা মিথ্যা দাবি করে আমি তাদের দলভুক্ত নই। [সাদ - ৮৬]খ. তাদেরকেই (নবীদেরকেই) আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত কোরেছেন। সুতরাং তুমি তাদের পথ অনুসরণ কর; বল! এর জন্য আমি তোমাদের কাছে কোনো মজুরি চাই না। [আনআম - ৯০]এমন আরও বহু আয়াত, ধর্মগ্রন্থের উক্তি, রসুলাল্লাহর হাদীস উল্লেখ করা যায় যা থেকে প্রমাণিত হয়, দীনের কোনো কাজ কোরে নবী-রসুলগণ পারিশ্রমিক গ্রহণ কোরতেন না। সুতরাং তাঁদের উম্মাহর জন্যেও দীনকে স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা, এর বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করা কেবল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ বা হারামই নয়, এটি দীনকে ধ্বংস করার মত পদক্ষেপ।আসুন এবার দেখা যাক কিভাবে এই জাতিটি পৃথিবীময় একটি গোলাম জাতিতে পরিণত হোল:গোলামির যুগে ধর্মব্যবসার জাতীয়করণআল্লাহ এই উম্মাহর প্রতি কঠোর সাবধানবাণী উচ্চারণ কোরেছিলেন, “হে মো’মেনরা তোমাদের কি হোয়েছে যে, যখন তোমাদের বলা হয় আল্লাহর পথে অভিযানে বের হও, তখন যেন তোমরা ঝুঁকে পোড়ে মাটির সাথে মিশে যাও। তাহোলে কি তোমরা পরকালের পরিবর্তে এই জীবনকেই প্রাধান্য দিয়েছো? এই জীবনের ভোগ তো পরকালের জীবনের তুলনায় অতি সামান্য। যদি তোমরা সামরিক অভিযানে বের না হও তবে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দেবেন এবং তোমাদের স্থলে অন্য কোনো জাতিকে প্রতিষ্ঠা কোরবেন অর্থাৎ তোমাদের অন্য কোনো জাতির দাস, গোলাম বানিয়ে দেবেন (সুরা তওবা ৩৮-৩৯)।” এই হুঁশিয়ারী সত্বেও জাতি দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছেড়ে দিয়েছিল। সংগ্রাম ত্যাগের পরও প্রায় এক হাজার বছর পার হোয়ে গেল। এরই মধ্যে বিভিন্ন মাযহাবের এমাম, মোহাদ্দেস, মোফাসসেররা আল্লাহর দীনকে প্রায় সম্পূর্ণই বিকৃত কোরে ফেলেছে।আল্লাহ তাদেরকে দীর্ঘ সময় ধোরে সুযোগ দেয়ার পরও যখন জাতি সঠিক পথে ফিরলো না, তখন আল্লাহ তাঁর প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী ইউরোপের খ্রিস্টান জাতিগুলিকে দিয়ে এই জাতিকে সামরিকভাবে পরাজিত করালেন এবং কঠিন শাস্তি দিয়ে এ জাতিকে খ্রিস্টানদের গোলাম বানিয়ে দিলেন। তারা ক্রমে এ জাতির উপর তাদের তৈরি আত্মাহীন জড়বাদী ¯্রষ্টাহীন একটি জীবনব্যবস্থা চাপিয়ে দিলো। অথচ কোন মোসলেম আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে ইহুদি খ্রিস্টানদের তৈরি বিধান মেনে নিতে পারে না। কিন্তু এই জাতি তাই কোরল এবং কুফরিতে পতিত হোল। শুধু তাই নয়, জীবনে যেন এই জাতি আর মাথা তুলতে না পারে সেজন্য তারা একটা গভীর ষড়যন্ত্র কোরল। তারা শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে এ জাতিটিকে মানসিকভাবে তাদের অনুগত জাতিতে পরিণত কোরতে চাইল। তারা তাদের অধিকৃত মোসলেম দেশগুলিতে পাশাপাশি দু’টি শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন কোরল। একটি সাধারণ শিক্ষা এবং অপরটি মাদ্রাসা শিক্ষা।ধর্মনিরপেক্ষ সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থাটি তারা চালু কোরল স্কুল কলেজের মাধ্যমে। এ বিরাট এলাকা শাসন কোরতে যে জনশক্তি প্রয়োজন তা এদেশের মানুষ ছাড়া সম্ভব ছিল না; সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের কেরানীর কাজে অংশ নিতে যে শিক্ষা প্রয়োজন তা দেওয়ার জন্য তারা এতে ইংরেজি ভাষা, সুদভিত্তিক অংক, বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক, ইতিহাস, প্রধানতঃ ইংল্যান্ড ও ইউরোপের রাজারাণীদের ইতিহাস, ভূগোল, প্রযুক্তিবিদ্যা অর্থাৎ পার্থিব জীবনে যা যা প্রয়োজন হয় তা শেখানোর বন্দোবস্ত রাখলো; সেখানে আল্লাহ, রসুল, আখেরাত অর্থাৎ হাদীস কোর’আন সম্বন্ধে প্রায় কিছুই রাখা হোল না, সেই সঙ্গে নৈতিকতা, মানবতা, আদর্শ, দেশপ্রেম ইত্যাদি শিক্ষাও সম্পূর্ণ বাদ রাখা হলো। তাদেরকে এমনভাবে শিক্ষা দেওয়া হোল, যাতে তারা সব সময় শাসকদেরকে দেবতা জ্ঞান করে আর নিজেদেরকে মনে করে বর্বর, পশ্চাদপদ একটি জাতি। পাশাপাশি তাদের মন-মগজে এসলামের প্রতি বিদ্বেষভাব সৃষ্টি কোরে দেওয়া হয়।অবশিষ্ট বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে শাসকরা তাদের পছন্দমত একটি এসলাম শিক্ষা দেবার জন্য তাদের অধিকৃত সমস্ত মোসলেম দুনিয়ায় মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা কোরল।

অনেক গবেষণা কোরে তারা একটি বিকৃত এসলাম তৈরি কোরল যেটা বাহ্যিকভাবে দেখতে প্রকৃত এসলামের মতই কিন্তু ভেতরে, আত্মায়, চরিত্রে আল্লাহ-রসুলের প্রকৃত এসলামের একেবারে বিপরীত। এই শিক্ষাব্যবস্থার সিলেবাসে তারা এসলামের আত্মা তওহীদ অর্থাৎ আল্লাহর সার্বভৌমত্ব এবং দীন প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক সংগ্রামকে বাদ দিয়ে শুধু মাসলা মাসায়েল ও বিতর্কিত বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত কোরল, যাতে এই মাদ্রাসা-শিক্ষিত লোকগুলো সবসময়ই নিজেদের মধ্যে মতভেদ, তর্কাতর্কি ও কোন্দলে লিপ্ত থাকে এবং এটাকেই এসলাম মনে করে ও খ্রিস্টান শাসকদের বিরুদ্ধে কোনদিনও ঐক্যবদ্ধ হোতে না পারে। এখানে অংক, ভূগোল, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা কোন কিছুই রাখা হোল না, যেন মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে এসে আলেমদের রুজি-রোজগার কোরে বেঁচে থাকার জন্য এই দীন, ধর্ম বিক্রি কোরে রোজগার করা ছাড়া আর কোন পথ না থাকে। এই আত্মাহীন মৃত এসলামটিকে জাতির মন-মগজে গেঁড়ে দেওয়ার জন্য এই উপমহাদেশের ভাইসরয় ওয়ারেন হেসটিংকস ১৭৮০ সনে ভারতের তদানীন্তন রাজধানী কোলকাতায় আলীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা কোরলেন। প্রথম অধ্যক্ষপদে নিয়োজিত হোলেন উৎ. অ. ঝঢ়ৎরহমবৎ গ.অ। ১৪৬ বছর ধোরে নিজেদের তৈরি “এসলাম” শেখাবার পর ব্রিটিশরা যখন নিশ্চিত হোল যে, তাদের তৈরি করা বিকৃত এসলামটা তারা এ জাতির হাড়-মজ্জায় ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হোয়েছে তখন আলীয়া মাদ্রাসার ২৬ নং খ্রিস্টান অধ্যক্ষ গMr. Alexander Hamilton Harty ১৯২৭ সনে অধ্যক্ষপদ তাদেরই ছাত্র শামসুল ওলামা, কামাল উদ্দিন আহমদ এম.এ.আই.আই.এস এর হাতে ছেড়ে দেন। (আলীয়া মাদ্রাসার ইতিহাস, মূল- আঃ সাত্তার, অনুবাদ- মোস্তফা হারুণ, এসলামী ফাউণ্ডেশন, বাংলাদেশ, Reports on Islamic Education and Madrasah Education in Bengal” by Dr. Sekander Ali Ibrahimy (Islami Foundation Bangladesh), , মাদ্রাসা-ই-আলীয়ার ইতিহাস, মাওলানা মমতাজ উদ্দীন আহমদ, এসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ)। এই Syllabus I Curricullum ব্রিটিশ শাসকরা বাধ্যতামূলকভাবে এই উপমহাদেশের সর্বত্র বেশির ভাগ মাদ্রাসায় চালু কোরল। ব্রিটিশদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আরেকটি মোল্লা শ্রেণি আলীয়া মাদ্রাসায় অন্তর্ভুক্ত না হোয়ে পূর্ব থেকেই বিকৃত যে এসলামটি তাদের কাছে ছিল সেটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য ভারতের দেওবন্দে প্রতিষ্ঠা কোরল কওমী মাদ্রাসা। আলীয়া মাদ্রাসার অর্থায়ন কোরল ব্রিটিশরাজ, আর কওমী মাদ্রাসা চোলতে লাগল সমাজের ধনিক শ্রেণির খয়রাতের টাকায়। দুই দিকে দুই বিকৃতি প্রসারিত হোতে লাগল। হীনমন্যতায়, ক্ষুদ্রতায় কোনোটা কম, কোনোটা বেশি। এইসব মাদ্রাসা থেকে যারা বের হয় তাদেরকে টাইটেল দেয়া হোল মাওলানা, মোফাস্সের, মোহাদ্দেস, আল্লামা, মুফতি ইত্যাদি।যাই হোক, ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার অধীনে গোটা মোসলেম নামক জনসংখ্যাটি তিনটি ভাগে বিভক্ত হোয়ে গেল।১) সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত শ্রেণি২) মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত শ্রেণি৩) উভয় প্রকার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত বৃহত্তর জনসাধারণসর্বপ্রকার শিক্ষা-বঞ্চিত এই বৃহত্তর জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যের কষাঘাতে দিন দিন হীন থেকে হীনতর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হোয়ে গেল। তারা তাদের জাগতিক জীবনের দাপ্তরিক প্রয়োজনগুলি মেটাতে, আইন আদালত, জমি জমা রেজিস্ট্রি ইত্যাদির ক্ষেত্রে নির্ভরশীল হোয়ে পড়ল কেরাণি শিক্ষায় শিক্ষিত শ্রেণিটির উপর। আর ধর্মীয় জ্ঞান না থাকায় এবাদত বন্দেগি ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতাগুলি পালনের ক্ষেত্রে তারা নির্ভরশীল হোয়ে পড়ল মাদ্রাসা শিক্ষিত শ্রেণিটির উপর।ব্রিটিশরা বিশ্বরাজনৈতিক কারণে একটা সময়ে আমাদেরকে বাহ্যিক স্বাধীনতা দিয়ে চোলে গেছে। কিন্তু আমরা এখনও তাদের তৈরি আইন-কানুন, অর্থনীতি, দণ্ডবিধি, শিক্ষাব্যবস্থা ইত্যাদি সবকিছুই আমাদেরকে মেনে চোলতে হোচ্ছে।প্রকৃত আলেম কারাআলেম শব্দের অর্থ জ্ঞানী। প্রকৃত আলেম হোচ্ছেন মহান আল্লাহ। তাঁর একটি নামই হোচ্ছে ‘আলেম’। আল্লাহর সৃষ্টি এবং আল্লাহর দীন সম্পর্কে যারা জ্ঞান অর্জন কোরবেন তারাও আলেম। অথচ বর্তমানে কেবল ধর্মীয় জ্ঞানের অধিকারী তাদেরকেই আলেম বলা হয়। প্রকৃত আলেমের উদাহরণ হোচ্ছেন আসহাবে রসুলগণ যাদেরকে স্বয়ং রসুল নিজে এসলাম শিখিয়ে গেছেন। সুতরাং উম্মাহর সকল আলেমদের চরিত্র ও কাজ আসহাবদের মত হোতে হবে। তাহোলেই তারা দুনিয়াতেও হবেন সম্মানিত, আখেরাতেও হবেন সম্মানিত।প্রকৃত যারা আলেম তারা কখনও অহঙ্কারী হবেন না, কারণ অহঙ্কার কেবলমাত্র আল্লাহরই সাজে। তারা তাদের জ্ঞানকে খুবই সামান্য মনে কোরবেন এবং সর্বদা অতৃপ্ত থাকবেন। তারা নিজেদেরকে কখনওই আলেম বোলে মনে কোরবেন না, দাবি বা প্রচার করা তো দূরের কথা।২। তারা আল্লাহর দীন বিক্রি কোরে জীবিকা নির্বাহ কোরবেন না। এই জ্ঞান অন্যকে দেওয়া তারা নিজেদের ঈমানী দায়িত্ব বোলে মনে কোরবেন। আলী (রা:) কে রসুলাল্লাহ ‘জ্ঞান-নগরীর দ্বার’ বোলে আখ্যায়িত কোরেছেন। তিনি কি আজকের আলেমদের মতো তাঁর জ্ঞান বিক্রি কোরে জীবিকা নির্বাহ কোরতেন? জীবিকা অর্জনের জন্য তিনি কুলির কাজ কোরতেন এবং যাঁতার চাক্কি পিষে যবের আটা প্রস্তুত কোরতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী জান্নাতের রানী মা ফাতেমার (রা:) পবিত্র হাতে কড়া পড়ে গিয়েছিল। এই জ্ঞানের দুয়ার আলীকেই (রা:) আমরা দেখি সিংহের বিক্রমে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কোরতে। সুতরাং আজও এই দীনের যিনি যত বড় আলেম হবেন তিনি তত বড় যোদ্ধাও হবেন।অথচ খ্রিস্টানদের তৈরি করা এসলাম শিখে বর্তমান কূপমণ্ডূক মোল্লাদের অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না। ধর্মীয় বিকৃত জ্ঞান ছাড়া তাদের তো আর কিছুই শেখানো হয় নি। কাজেই ধর্মই তাদের জীবিকার মাধ্যম।১৩০০ বছর ধোরে এই জ্ঞানপাপী ওলামাদের গবেষণা, ফতোয়া, মাসলা-মাসায়েলের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং খ্রিস্টানদের ষড়যন্ত্রের ফলে আল্লাহ রসুলের এসলাম আজ সম্পূর্ণ বিকৃত ও বিপরীতমুখী হোয়ে গেছে। এখন কেউ যদি দুনিয়াতে চলমান অন্যায় অশান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এসলামের আশ্রয় গ্রহণ কোরতেও চায় সে পথও এই মোফাসস্রে মোহাদ্দেসরা বন্ধ কোরে দিয়েছেন।ধর্মব্যবসার মূলোৎপাটন আসন্ন১৪০০ বছর পর সেই হারিয়ে যাওয়া সত্য এসলামের জ্ঞান আল্লাহ আবার এ যামানার এমাম, এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীকে দান কোরেছেন। শেষ নবীর মাধ্যমে যে শেষ জীবন বিধান স্রষ্টা প্রেরণ কোরেছিলেন তা মানবজাতির জীবনে কার্যকরী করার ফলে এমন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হোয়েছিল যে মানুষ রাতে ঘুমানোর সময় ঘরের দরজা বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব কোরত না, রাস্তায় ধনসম্পদ হারিয়ে গেলেও তা যথাস্থানেই পাওয়া যেত, চুরি, ডাকাতি, হত্যা, রাহাজানী প্রায় নির্মূল হোয়ে গিয়েছিল, আদালতে মাসের পর মাস কোন অপরাধ সংক্রান্ত মামলা আসতো না। আর অর্থনৈতিক দিক থেকে প্রতিটি মানুষ স্বচ্ছল হোয়ে গিয়েছিল। এই স্বচ্ছলতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, যাকাত ও সদকা গ্রহণ করার মত লোক পাওয়া যেত না। আল্লাহর সেই প্রকৃত এসলাম আবার ফিরে এসেছে। সময় এসেছে ধর্মব্যবসায়ীদের কায়েম কোরে রাখা বিকৃত এসলামকে পরিত্যাগ কোরে প্রকৃত এসলাম গ্রহণ কোরে নেওয়ার। আসুন, যে নেয়ামত আল্লাহ আমাদের মাঝে প্রেরণ কোরেছেন আমরা তা গ্রহণ কোরে ধন্য হই।

[যোগাযোগ: হেযবুত তওহীদ, ০১৬৭০১৭৪৬৪৩, ০১৭১১০০৫০২৫, ০১৯৩৩৭৬৭৭২৫, ০১৮৫৩৯৯৩২২২, ০১১৯১৩৬৭১১০, ০১৭৮২১৮৮২৩৭, ০১৫৫৯৩৫৮৬৪৭- See more at: http://desherpatro.com/2013/11/20/%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%be-%e0%a6%93-%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%85%e0%a6%aa/#sthash.RHaF3Ol8.dpuf

No comments:

Post a Comment