DESHERPATRO

Tuesday, October 1, 2013

প্রচলিত সিস্টেম ধবংস মানেই দাজ্জাল ধবংস।

প্রচলিত সিস্টেম ধবংস মানেই দাজ্জাল ধবংস।
==×=====×=====×=====×=====×==

ইহুদী-খ্রিস্টানরা স্রষ্টাহীন যে সভ্যতা তেরি করলো সেই বস্তুবাদী সভ্যতাই যে রসুল বর্ণিত দাজ্জাল!! তার প্রমান;-দেখুন যদি দাজ্জালের অনুসারী না হন।

দাজ্জাল!!  ইহুদী-খ্রিস্টান বস্তুবাদী সভ্যতা।
====×===×==×====×===×====×==
এখানে চার টি বিষয় আছে (1)দাজ্জাল (2) ইহুদী-খ্রিস্টান (3) বস্তুবাদী (4) সভ্যতা

(1) দাজ্জাল!!
===×==×==
দাজ্জাল!! একটি আরবী শব্দ যার অর্থ চাকচিক্যময় প্রতারক। মানে উপরে চকচকা ভিতরে কুতসিত। বতমান এই ইহুদী-খ্রিস্টান বস্তুবাদী, আত্তাহীন সভ্যতাও তাই, উপরে ফিটফাট,ভিতরে সদরঘাট।
এই সভ্যতার সবই উপর থেকে দেখতে অনেক ভালো চাকচিক্যময়।  কিন্তু বস্তুবাদী সভ্যতার এই চাকচিক্যময় এর ভিতরে কুতসিত ভয়ংকর দানব  দাজ্জাল বাস করে। যে দাজ্জাল এর অনুসারীরা  মাঝে মাঝে মোসলেম মা,বোনদের, ইজ্জত লুটে নিয়ে যায়।।বিভিন্ন  বেশ্যালয়ে মোসলেম মা বোনদের বিক্রি করে দেয়,ভিবিন্ন মোসলেম দেশে এরা (দাজ্জালের অনুসারী রা) জোড় করে আমাদের মা বোন দের কে ধরে নিয়ে যায়, অমানবিক নিযাতন করে মেরে ফেলে। গভবতী করে, তাদের ঔরসজাত সন্তান জন্ম দেওয়ায়।। আজ দুনিয়াময় দাজ্জালের হলি খেলা চলছে।। আজ যারা আপনারা রাসুলুল্লাহ (দ)
এর রুপক হাদিস গুলো নিয়ে শাব্দিক ভেবে বসে আছেন তাদেরও দাজ্জাল ছাড়বে না মনে রাইখেন। আর মনে করতেছেন আল্লাহ ছেড়ে দেবে? এতো সোজা? আল্লাহর বলবে তুমি দুনিয়ায় আমার কোরানের সিস্টেমে চলেছো নাকি দাজ্জালের? (ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র পযন্ত? )
"যারা এই দাজ্জাল প্রতিরোধ করবে তারা দুই শহিদের মযাদা লাভ করবে ওহুদ ও বদরের (বোখারী,মোসলেম) "
বতমানে হেযবুত তওহীদ এর সদস্যরা এই পুরুষ্কার পাচ্ছে আল্লাহর দয়ায়।আল্লাহ আপনাদের সবাই কে এই সুযোগ গ্রহন করার তওফীক দান করুক।(আমিন)

(2) ইহুদী-খ্রিস্টান :-
=====×====×===
ইহুদী একটা আল্লাহর মনোনীত জাতি ছিলো। এই মনোনীত জাতিটা আল্লাহর কথা অমান্য করতে শুরু করলো, কেতাব কে বিকত করে বেচে খাওয়া শুরু করলো ইহুদী আলেমরা আর দীন কে খন্ড বিখন্ড করে 71 ফেরকা বানিয়ে ফেললো। (পরে এসে খ্রিস্টান রা যেরকম 72 বানিয়েছিল ,এবং আজকের আমরা মোসলেমরা 73 ফেরকা)
শরিয়াহ আইন মোটামুটি ঠিক থাকলেও আধ্যাত্মিক দিকটা ভারসাম্য ইহুদী জাতি হারিয়ে ভারসাম্যহীন হয়ে গেলো।

তারপর আল্লাহ ইহুদী জাতির মধ্যে আবার মরিয়ম তনয় ঈসা (আ) (Jesus)  কে পাঠালেন,প্রথভ্রষ্ট বনি এসরাইল এর মেষ গুলোকে উদ্ধারের জন্য ,আধ্যাত্মিক দিক টা হারিয়ে ভারসাম্যহীন হয়ে যাওয়ার ফলে, আল্লাহ পাঠালেন আধ্যাত্মিক দিকটা শোধরানোর জন্য। কিন্তু তিনি(ঈসা আ:) ব্যর্থ হলেন, সবশেষে ইহুদীরা ঈসা (আ) কে হত্যার ষড়যন্ত্র করলো মারার জন্য।
আল্লাহ তাকে সশরিরে উঠিয়ে নিলেন।তারপর আল্লাহ বিশাসঘাতক জুডাস এস্ক্যারিয়াস কে ঈসা আ: এর মত অনুরুপ চেহেরা দান করলেন। তারপর ইহুদীরা তাকে ঈসা আ: মনে করে ক্রুসে জুলিয়ে হত্যা করলো।

ঈসা আ: অনুসারী রা পালিয়ে গেলো আর তিনটি ভাগ হলো, এক ভাগ বললে সে আল্লাহর সন্তান, আরেক ভাগ বললো সে আল্লাহর রাসুল, শেষের ভাগ বললো না সে আল্লাহ।  এই যে ভাগ হলো। এর ভাগের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক তাকে রাসুল মানলো। আর বাকি সব ভিন্নমত পোষন করলো।
ইহুদীদের মধ্যে মি: পল ঈসা (আ) থাকতে ঈসা (আ) এর বিরুধীতা করতো। কিন্তু ঈসা (আ) চলে যাবার পর সে ঈসা (আ) এর প্রতি ঈমান আনে ।কেমন সেই ঈমান? সবনাশা কাণ্ড না তো? আসলে ঠিক তাই।  ঈসা (আ) এসেছিলো ইহুদী জাতির জন্য। শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে। আর আইন কানুন, শরিয়াহ অবিকৃত ছিলো, তাই দরকার ছিলোনা।
কিন্তু মি:পল ইহুদী জাতি থেকে ভাগ করে নতুন ধর্মের "খ্রিস্ট " নাম দিয়ে প্রচার করতে শুরু করলেন।(যা ঈসা জীবনেও শুনেনি।) জেরুজালেম এর বাহিরে ঈসা (আ) এর দায়িত্ব ছিলোনা।। এর বাহিরে প্রচার করতে লাগলো মিথ্যে ধর্মের কাহিনী। এই যে শুরু হলো জড়বাদী সভ্যতার জন্ম। কারন এখানে ধর্মের কোন শরিয়াহ নাই।। কিভাবে সে চলবে।।। মানে কি? অন্যায়, অবিচার। তাই হলো যারা এই জড়বাদী মিথ্যে ধর্ম গ্রহন করলো।
খালি আধ্যাত্মিক বিষয় আছে। কিন্তু শরিয়াহ রাষ্ট্রীয় আইন কানুন বিধান থাকলো না। মানেই অশান্তি।  মানুষ কে বাস করতে গেলে একটা সিস্টেম বা জীবনব্যবস্থা লাগবে। তাই তাদের নেই। এবার বুঝুন। আর বতমানে আমাদের দেশে সেই মহান আল্লাহর স্পষ্ট বিধান বাদ রেখে জুডিশিয়াল (ইহুদী) আইন আমরা মানি। কিন্তু কেন?

এই হলো সংক্ষেপে ইহুদী-খ্রিস্টান বস্তুবাদী মানুষ।
আপনারা আবার এটা মনে করবেন না যে ইহুদী-খ্রিস্টান ধর্মের লোক মারলেই দাজ্জাল ধ্বংস তাইনা? আসলে তা নয়। দাজ্জাল হলো সেই যে আত্তাহীন, স্রষ্টাহীন, বস্তুবাদী সভ্যতার জন্ম দিয়েছে।
তাহলে বুঝা গেল বতমানের যে (প্রচলিত সভ্যতা) সিস্টেম টা এই ইহুদী-খ্রিস্টান রা মিলে জন্ম দিয়েছে।
তাই এই বস্তুবাদী সভ্যতাকে ধবংস মানে ইহুদী-খ্রিস্টান জাতি কে ধবংস   করা নয়। জাতি ও সভ্যতা দুইটি আলাদা জিনিস। জাতি দাড়াই সভ্যতা উথিত হয়।

রাসুলুল্লাহ (দ) বলেছেন-"দাজ্জাল ইহুদী জাতির মধ্য হইতে উথিত হবে।"
আর খ্রিস্টান কোন ধর্মের নাম নয় এটা বানানো মি:পল এর বানানো।
প্রচলিত এই সভ্যতা (সিস্টেম ) ধবংস মানেই দাজ্জাল ধবংস করা। যারা করবে তারা মর্যাদাবান মানুষ।

(3)বস্তুবাদী :-
====×==×==
বস্তুবাদী সেইটাই,যে আজকের এই সভ্যতা শুধু একদিকে বস্তুর দিক,জড়ের দিক,ভোগ বিলাসের দিক, যন্ত্রের দিক ,মানে একদিকে যুগে, বামের টা ভাল মনে করে ,ডানের টা মন্ধ মনে করে এই সভ্যতা।  স্রষ্ট্রা যিনি সব বানাইলেন সেই সৃষ্টি সিকার করে লেকিন সেই মহান স্রষ্ট্রা কেই অসীকার।  দাজ্জালের চোখ দিয়ে আজ অনু পরমানু থেকে সবই দাজ্জাল দেখতে পারে কিন্তু যিনি আল্লাহ (স্রষ্ট্রা)  এই সব বানাইলেন তাকে দেখতে পারে না,অনুধাবন. বিশাস করতে পারেনা। এই হলো বস্তুবাদী একচক্ষু বিশিষ্ট ভয়ংকর কানা দাজ্জাল।(রাসুল বলেছেন মোমেন ছাড়া আর কেউ চিনতে পারবে না সে যদি শিক্ষিত ও হয় । কিন্তু মোমেন অশিক্ষিত হলেও দাজ্জালকে চিনবে ও কপালে কাফের লেখা পড়তে পারবে) আর কপালে কাফ, ফে,রে দিয়ে লেখা নয়। কাফ,ফে,রে দিয়ে লেখা থাকলে রাসুল বলতেন সবাই পড়তে পারবে কিন্তু না মোমেন ছাড়া কেউ পারবেনা।

আর দাজ্জাল যদি মানুষ  হয় তাইলে রাসুল মিথ্যে বলেছেন যে "দাজ্জাল মোমেন ছাড়া আর কেই দেখতে পারবেনা। (এর মানে কি বুঝেন? Visible or Non Visible? )
আর দাজ্জাল ভিজিবল নয় তা এতেই প্রমান। তাই বতমান এই বস্তুবাদী সভ্যতা কে কেই দেখতে পারেনা এবংকি ছুতেও পারেনা। তাই রাসুলের হাদিস অনুযায়ী হুবহু মিলে যায় যে" বতমান এই "বস্তুবাদী ইহুদী-খ্রিস্টান সভ্যতা ই সেই রাসুল বর্ণিত এক চক্ষু দানব দাজ্জাল!!!

এরপরেও যারা এই সত্য দেখেও অসীকার করবেন। তাদের কে আল্লাহ দেখবেন। (আমিন)
দাজ্জাল যে সত্যি এটা তার প্রমান আল্লাহর মো'জেজা
।রাসুল(দ) বলেছেন যে, দাজ্জাল প্রতিরোধ কারীর মৃত্যু নেই। দুই শহিদের মযাদা পাবে। ওহুদ ও বদরের। (বোখারী, মোসলেম) 
বতমানে হেযবুত তওহীদ নামক আন্দোলনের সদস্য ও সদ্যসা রা দাজ্জাল প্রতিরোধ করার কারনে জীবিত থাকছে।শহিদ হচ্ছে।(বাকারা 154;আলে-এমরান 169)দেখুন। এতেই প্রমানিত হয় যে ইহুদী-খ্রিস্টান বস্তুবাদী সভ্যতাই রাসুল বর্ণিত সেই একচক্ষু দানব দাজ্জাল!!!

(4)সভ্যতা :-
====×==×=
সভ্য অর্থ ভালো। ভালো মন্ধ নিয়ে গড়ে ঊঠে সভ্যতা।  তার পর সেই সভ্যতা (Culture, System) এর মধ্যে মানুষ চলে।
আর এই বর্তমান এই সভ্যতা যেটা ভালো মনে করে আমাদের দিচ্ছে তাই আমরা মনে করছি এই জড়বাদী সভ্যতাই অনেক ভালো। তাই আমরা নিচ্ছি আল্লাহ বিরুধী  হলেও নিতে পরওয়া করছিনা।
আজকের এই বস্তুবাদী, জড়বাদী সিস্টেম সভ্যতা নেওয়ার ফলে মানুষ ইচ্ছে থাকা সত্তেও ভালো হতে পারেনা। দিনে দিনে নাস্তিকবাদ এর জায়গা বেড়ে যাচ্ছে। যেন কিছুই হয়নি। এই জড়বাদী সভ্যতা যে দিক দিয়ে যাবে সেদিকে জড় বানিয়ে ছেড়ে দেবে।

এই হলো আজকের ইহুদী-খ্রিস্টান জড়বাদী,বস্তুবাদী
একচক্ষু ভয়ংকর দানব দাজ্জাল!!!  শিশু পযন্তও রক্ষা পায়না এই দাজ্জাল থেকে। যারা মোমেন তারা যদি অন্তর চক্ষু দিয়ে এই দাজ্জাল কে অবলোকন করে তাহলে অতি সহজেই চিনে প্রতিরোধ করে দুই শহিদের মযাদা পেতে পারেন। আল্লাহ সবাই কে এই মযাদা পাওয়ার সুযোগ করে দিক। (আমিন)

কে এই ভয়ংকর দাজ্জাল কে চিহ্নিত কোরেছেন?
দাজ্জাল চিহ্নিত কোরেছেন "এ যামানার এমাম এমামুয্যামান (The leader of the time) জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী।

যোগাযোগ,  হেযবুত তওহীদ_____
তওহীদ প্রকাশন।৩১/৩২ পি.কে.রায় রোড, পুস্তক ভবন,বাংলাবাজার, ঢাকা।
[ফোন নম্বর :- ০১৬৭০১৭৪৬৪৩, ০১৬৭০১৭৪৬৫১
০১৯৩৩৭৬৭৭২৫]
www.hezbuttawheed.com
www.tawheedprocation.org
- See more at: http://desherpatro.com

No comments:

Post a Comment