DESHERPATRO

Wednesday, August 14, 2013

মধ্যবর্তী সালাহ কি নাম না সময়?

মধ্যবর্তী সালাহ কি নাম না সময়?

আছরের সালাহ যত্নবান হতে আল্লাহ নিজ বলেছেন।
অনেকেই বলে "মাঝামাঝি সালাহ "নাকি একটা সালাহর নাম। এটা ভুল -রাসুল (দ) যে মেরাজ থেকে 5 ওয়াক্ত সালাহ নিয়ে আসলেন উহার মধ্যে মধ্যবর্তী সালাহ হলো "আছর সালাহ "
[বাকারা  ২৩৮]। সালাতের [অভ্যাসকে] কঠোরভাবে রক্ষা করবে ২৭১,বিশেষভাবে মধ্যবর্তী সালাতের এবং [অন্তরে]ভক্তি সহকারে আল্লাহ্র সামনে দাঁড়াবে।

২৭১। আগে ও পরে সালাত সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে নামাজের হুকুমবর্ণনা করার ইঙ্গিত করে যে, আল্লাহ্র আনুগত্যই হচ্ছে প্রকৃত উদ্দেশ্য।সামাজিকতা ও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের দ্বারা অন্যান্য কল্যাণলাভ ছাড়াও সেই লক্ষ্যের রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন একটা স্বতন্ত্রউদ্দেশ্য। এখানে সর্ব প্রকার সালাতের বিশেষত আসরের সালাতেরপ্রতি যত্নবান হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আল্লাহ্রউদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দাঁড়াতে বলা হয়েছে।

আকিদা ঠিক না থাকলে কোরান বিশ্লেষনকারী হলেও পাকল---কারন এখানে বলা হয়েছে যে সালাতুল উসায়তা মানে হলো মধ্যবর্তী সালাহ মানে সালাহ আছে আরো।এটা সালাহর নাম নয় এটা মধ্যবর্তী সালাহ র কথা বুঝানো হইছে সেই সালাহ টা কি? 

মধ্যবর্তী যদি আল্লাহ বলে থাকেন তাহলে এই সালাহর নাম কি? আর উসায়তা শব্দের অর্থ -ভারসাম্য, মাঝামাঝি, মধ্যবর্তী, (Balance)এই সময় টায় কোন সালাহ? আল্লাহ এই কথাই বুঝাইছেন।এখন যদি বাংলায় বলি "মাঝখানের সালাহ -এটা কি নাম? না এটা নাম নয় এটা মাঝামাঝি সময়কে বুঝানো হইছে। নিদিষ্ট একটি সালাহ আছে (মধ্যবর্তী সময়ে) সেই সালাহর কথা আল্লাহ্‌ বুঝিয়েছেন উক্ত আয়াতে। সেই সালাহ কি? সালাতুল উসতা এটা সালাহর নাম নয় ভাইয়া। এটা সালাহর মধ্যবর্তী সালাহকে নিদিষ্ট করে যন্তবান হতে বলেছে।
সেই সালাহ হলো *আসরের সালাহ *
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় রাসুলুল্লাহ (দ) ওফাতের পর ইতিহাস. সাক্ষ্য দেয় মোসলেম অমুসলিম কেউ সাক্ষী দেয় না যে সালাহ 3 ওয়াক্ত। রাসুলুল্লাহ (দ) কখনো তিন রাকাত সালাহ কায়েম করেনী। সালাহ 5 ওয়াক্ত কায়েম করেছেন। আর মনে রাখবেন সালাহ উদ্দেশ্য নয় সালাহ হলো প্রক্রিয়া টেনিং কিসের টেনিং জেহাদের টেনিং, আর জেহাদ কিসের জন্য? সারা দুনিয়া য় অন্যায় অবিচার নিমুল করে সত্য দীন প্রতিষ্ঠা এই জন্য আল্লাহ সালাহ দিয়েছেন।(ফাতাহ 28)

সালাহ রাসুল (দ) মেরাজ থেকে নিয়ে এসেছেন।পরে আল্লাহ যত্নবান হতে , সালাতে কম হলেও সমস্যা নেই (নেসা 101-102) ইত্যাদি জানিয়ে দিলেন। আগের কিতাব ও আল্লাহ বিশাস করতে বলেছেন।

আচ্ছা আদম (আ) এর উপর bidhan ছিলো ভাই বোন বিবাহ এখন কি তাই হবে?
রাসুল বিধান দেননি কিন্তু রাসুল (দ) আসহাব দের বুঝিয়েছেন। সেইগুলো আজ হাদিস। এর মধ্যে অনেক জাল হাদিসও আছে যা কোরান বিরুধী, এগুলো যারা অন্ধ তারা বুঝবেনা, যারা সঠিক আকিদার তারাই সত্যি বুঝবে।আর কোরান এর বিরুদ্ধে কখনো হাদিস যাবেনা। হাদিস রদ হবে কোরান রদ হবেনা। ।।।।।।।।। একই হাদিস 4/5 জন মুহাদ্দিস দারাও প্রমানিত। একই হাদিস। এগুলো কখনো মিথ্যা হইতে পারেনা। আর ঠিক এই যে কোরানের বিধান আগে পরে কিছু না পেলে আমরা হাদিসে যাবো।হাদিস কখনো কোরানের বিরুদ্ধে যাবেনা, বিরুদ্ধে গেলেই ওটা জাল হাদিস। আবার কোন হাদিস যদি নাই মিলে কিন্তু অনেক মুহাদ্দিস সমর্থন আছে তাইলে অইটা অর্থানুকূল বিবেচনা করে কোরানের আয়াতের সাদৃশ্য আছে কিনা তা দেখতে হবে।  আর কোরানের হুবহু বিরুধী সে সমস্ত হাদিস বাদ দিতে হবে তানাহলে জাতি প্রথভ্রষ্ট হতে পারে। তাই বর্তমান এর জাতি জাল হাদিস কে সত্য বলে মানার ফলে চুড়ান্ত প্রথভ্রষ্ট। এক থে পারেনা।

আল্লাহ মোসলেম উম্মাহ কে এক করে দাও ।(আমিন)

No comments:

Post a Comment