(১) পীর মাশায়েখগণের প্রণীত ব্যবস্থাঃ
পীর মাশায়েখগণ যাদের প্রত্যেকের রয়েছে অসংখ্য মুরীদ
বা অনুসারী, নিজস্ব তরিকা, মাজহাব, সিলসিলা,
পীরানী প্রথা বজায় রাখার যথাযথ সিলেবাস, পীরের লিখিত
বইপুস্তক, পীরের দেয়া রের লিখিত বইপুস্তক, পীরের দেয়া জায়
রাখার যথাযথ সিলেবাস, পীরের লিখিত বইপুস্তক,।
(কিয়াসের কিছু কথা, নানাবিদ ওয়াকিয়া, কিসসা কাহিনী,
বাবাপীর, দাদাপীর ও বড়পীরের প্রবর্তিত কিছু নিয়ম কানুন ও
মানুষের নামে প্রবর্তিত তরিকার উপর প্রতিষ্ঠিত।
এসব পীর ও তাদের মুরিদরা ধর্মীয় জীবনে পীরের আনুগত্য করেন,
পীরের দেয়া তরিকা ও মাজহাবে জীবনের ধর্মীয়
ব্যাপারগুলি সম্পন্ন করেন।
আর প্রতিষ্ঠিত সংবিধান (যে সংবিধান আল কুরআন নয়) অনুসরণ
করেন,) বিচারভার অর্পণ করেন যার ফলে তাদের পক্ষে আর মুসলিম
থাকার আর কোন অবকাশ থাকে না।
ফলত: তাদের দ্বারা
ইসলাম কায়েম করা বা কায়েম রাখার আর কোন প্রশ্ন থাকে না।
পীরপ্রথা প্রকৃতপক্ষে পীরদের প্রদর্শিত মা’রেফাতের
পথে পরিচালিত আল কুরআন পরিপন্থী বংশানুক্রমিক
ধর্মব্যবসা বটে।
এ প্রথা ইহুদী ও খৃস্টানদের আহবার ও রোহবানদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত
ছিল (দেখুন- সূরা তাওবা/০৯: ৩৪-৩৫)। সে ব্যবসার একপক্ষে ছিল
ধর্মীয় প্রতারক ও অন্যদিকে তাওরাত যবুর
ইত্যাদি আসমানী কিতাবের জ্ঞানে অজ্ঞ সাধারণ ধর্মপ্রাণ
লোকেরা।
সেসব ইহুদী পীরেরা ধর্মের দোহাই দিয়ে সম্পদের পাহাড়
তৈরি করতো কিন্তু আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হবার বা রাখার
পথে কোন ব্যয় করতো না।
বর্তমান মুসলিম বিশ্বের পীর মুরিদদেরকে আমরা ইহুদীদের
সাথে তুলনা করতে চাই না।
তবে দু:খের বিষয় এসব পীর ও তাদের অন্ধভক্ত মুরিদরা কুরআন পড়তে,
জানতে ও কুরআন মতো জীবন গড়তে একেবারেই নারাজ।
বরং তারা পীরের সব সিলেবাস অনুসরণেই সন্তুষ্ট
এবং পীরদেরকে নজরান, হাদিয়া, তোহফা ও মানত প্রদান করে ।
পীরের শাফায়াতেই জান্নাত পাওয়ার জন্য আশ্বস্ত ও নিশ্চিন্ত।
তবে অনেকে মনে করেন পীর মুরিদদের আল কুরআনের
জ্ঞানে অজ্ঞতাই এ অবস্থা সৃষ্টির জন্য দায়ী।
পীর প্রথা দ্বারা দ্বীন কায়েম করা বা রাখাতো দূরের
কথা বরং পীর প্রথাই আল কুরআনকে অন্তরাল
করে দিয়ে পীরানী ব্যবস্থা চালু করে দিয়েছে।
হেদায়াহ এবং তাকওয়া দীনুল এসলামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্বন্ধে বর্তমানে আমাদের আকিদা যেমন বিকৃত ও ভুল, তেমনি তাক্ওয়া ও হেদায়াহ সম্বন্ধেও আমাদের ধারণা ভুল। কোন দুষ্ট প্রকৃতির গোনাহগার লোককে যদি উপদেশ দিয়ে মদ খাওয়া ছাড়ানো যায়, চুরি-ডাকাতি ছাড়ানো যায়, তাকে মুসল্লী বানানো যায়, সওম রাখানো যায় তবে আমরা বলি- লোকটা হেদায়াত হোয়েছে। ভুল বলি। কারণ আসলে সে হেদায়াত হয় নি, মুত্তাকী হোয়েছে। তাক্ওয়া এবং হেদায়াহ দু’টি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।
Sunday, July 28, 2013
(১) পীর মাশায়েখগণের প্রণীত ব্যবস্থাঃ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment