DESHERPATRO

Monday, December 12, 2016

জয়নাব মহানবীর ফুফাতো বোন ছিলেন

বিকৃত ভাবনা বাদ দিয়ে বাস্তবে আসুন!
ইতিহাস ভালেমতো পড়ে কথা বলুন!

জয়নাব মহানবীর ফুফাতো বোন ছিলেন।
জায়নাবের গোটা পরিবার প্রথম যুগে মক্কায় কালেমায় বিশ্বাস স্থাপন করে।
সুতরাং রসুল তাহাদের অভিবাভক হন।

এমতাবস্থায় আপনাদের (নাস্তিকদের) অভিযুক্ত চরিত্র মোতাবেক কোন লোক তার ফুফাতো বোনকে বিয়ে করার জন্য প্রথমে নিজের পালক পুত্রের সাথে বিয়ে দিবে না!

আপনাদের নাস্তিকদের সমস্যা এই যে তিনি কেন করবেন?

কাঠখোট্টা উত্তর;
মিয়া বিবি রাজি
তগো কিরে পাজি?

তারপরও উত্তরটা দিবো;
আপনি পুরুষ না কি মহিলা বোঝতাছিনা্
ধরলাম
আপনি মেয়ে,

আপনার মামাতো ভাই যদি আকাশ চুম্বি ব্যক্তিত্যধারী হন, সেই সাথে ভালো মানুষ, তদুপরি সুন্দর।
সেক্ষেত্রে কি তাকে মনে মনে কামনা করা অস্বাভাবিক?
কিন্তু আমার রসুল এর থেকে মুক্ত ছিলেন।
তাই তিনি বিষয়টা আচ করতে পেরেও তার বোনকে বিয়ে দিলেন তাঁর সব থেকে প্রিয় পাত্রের সাথে।
এই ভাবনা থেকেই এটা করলেন যে,
হয়তো জায়নাবের চিন্তার পরিবর্তন আসবে।
বিয়ের পর যা স্বভাবিক।

কিন্তু তার ধারনা বাস্তবায়িত হয় নি।
আল্লাহ যে বিষয়ে নবী রসুলদের সরাসরি জানান বা বোঝান এর বাহিরে অন্য সমস্ত ক্ষেত্রে তারা আমাদের মতো মানুষ মাত্র। সুতরাং ধারণা ভুল হতেই পারে!

এবার আসেন
কে এই পালক পূত্র?

নাম তার যায়েদ ইবনে হারিসা।
নবী মোহাম্মদ তখন সদ্য বিবাহিত এক যুবক মাত্র।
স্ত্রী খাদিজা এক কিশোর কৃতদাসকে স্বীয় পতি মোহাম্মদকে উপহার দিলেন।

মোহাম্মদ তাকে পিতৃস্নেহে পালন করতে লাগলেন।

এই যায়দ ও এক সম্ভ্রান্ত বংশের ছেলে।
ভাগ্যদোষে বেদূঈন মরু ডাকাতের কবলে পড়ে কৃতদাসরূপে বিক্রি হন।
ক্রয় করেন খাদিজার ফুফাতো ভ্রাতুস্পূত্র।

তারপর খাদিজা হয়ে মোহাম্মদের হাতে।

এই যায়দের সাথে মোহাম্মদের সম্পর্ক পাঠকরা ইতিহাস থেকে জেনে নিবেন!

আমি শুধু বলবো মা আয়েশার বাণী
"যদি যায়দ বেচে থাকতেন তবে রসুলাল্লাহ তাকেই স্থলাভিষিক্ত করে যেতেন।"

এখন জায়নাব কেন সংসার করলেন না যায়দের সাথে?

তোমরা নাস্তিকরা না নারী স্বাধীনতা নারীমুক্তির কথা বলো!

ইনিও তার ধারণা মেতাবেক কোন কৃতদাসের সাথে দাম্পত্য সম্পর্কে স্বাচছ্যন্দ অনুভব করেন নি!

মানে
তখনো জায়নাবের দৃষ্টিভঙ্গী রাসুলের ইপ্সীত দৃষ্টিভঙ্গীতে রূপান্তর ঘটে নি।

এমতাবস্থায় এ বৈবাহিক সম্পর্ক অকার্যকর হয়ে পড়ে।

এহেন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের উপায় নিয়ে রসুল মোহাম্মদ ভাবতে থাকেন।

এই প্রথমবারের মতে তিনি জায়নাবের মনের আকাঙ্খার বিযয়ে ভাবলেন।

যেহেতু তার ফুফাতো বোন,
আগে কোন বাধাই ছিলনা।

কিন্তু এখন পালক পুত্রের পরিত্যক্তা স্ত্রী।

তাই প্রচলিত মূল্যবোধকে তিনি ভয় করলেন।
যে মূল্যবোধটি পরিত্যাজ্য!

এই খানেই আল্লাহ হস্তক্ষেপ করলেন।

আল্লাহ মোহাম্মদকে মনে করিয়ে দিলেন,
"লোকনিন্দার ভয় করা রসুলদের নিকট কাম্য নয়, বরং আল্লাহকেই ভয় করতে হবে।"

No comments:

Post a Comment