DESHERPATRO

Wednesday, November 23, 2016

মালহামার!!!

নিম্নের এই লেখাটির ভিত্তি কতখানি?
চল্লিশ দিন সূর্য উদয় হইবে না
——-— — ———————
আমাদের হাতে মাত্র অল্প সময় বাকী আছে,, যখন মহাযুদ্ধ শুরু হইবে, যাহাতে বড় বড় শহরগুলির অধিকাংশ মানুষ নিহত হইবে (বিশেষত উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপ মহাদেশের) । পক্ষান্তরে যেসব শহরের মানুষ এটম বোমার আঘাত হইতে বাঁচিয়া যাইবে, তাহারাও অরাজকতা, গৃহযুদ্ধ, মহামারী এবং অনাহারে কুকুর-বিড়ালের মতো ঝাঁকে ঝাঁকে মৃত্যুবরণ করিবে । মালহামার পরে বড় বড় শহরগুলিতে জাহান্নামের সকল দরজা খুলিয়া দেওয়া হইবে । কেননা এসব মেগাসিটিতে কোটি কোটি মানুষ বসবাস করে অথচ এদের খাবার-পানি আসে গ্রাম থেকে । যুদ্ধের পরে যেহেতু খাবার-পানি সরবরাহ ব্যবস্থা অচল হইয়া পড়িবে, তখন শহরবাসীগণ জীবন বাঁচাতে ছিনতাই-ডাকাতি-লুটতরাজ শুরু করিবে । তাহারা সভ্যতা-ভদ্রতা কিংবা জাহান্নামের শাস্তির কথা বেমালুম ভুলিয়া যাইবে । কুকুর কুকুরকে খায় বলিয়া একটি কথা প্রচলিত আছে, তখনকার মেগাসিটিতে বসবাসকারীদের অবস্থা হইবে অনেকটা এই রকম । শহরবাসীদের কেউ যদি জানিতে পারে যে, আপনার গৃহে একটু খাবার বা পানি আছে, তবে হাজার হাজার লোক ঝাপাইয়া পড়িবে এবং দরজা ভাঙিয়া তাহা ছিনাইয়া নিবে । এই ব্যাপারে আপনারা পবিত্র কোরআনের সুরা ইসরার এই আয়াতটি পাঠ করিয়া দেখিতে পারেন, “এমন কোন শহর নগর নাই, যাহাকে আমি (অবাধ্যতার কারণে) কেয়ামত দিবসের পূর্বে ধ্বংস করিব না অথবা যাহাকে কঠোর শাস্তি দিব না। ইহা তো কিতাবে লিপিবদ্ধ হইয়া গিয়াছে (১৭:৫৮)” । খ্রীষ্টান ধর্মজাযকগণ বলেন (আকাশে ছড়ানো ব্যাঙের ছাতার মতো এটম বোমার ধোয়ার কারণে পৃথিবীতে সূর্যের আলো আসিতে না পারিবার কারণে) পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকিবে তিন দিন । পক্ষান্তরে মহানবী (সাঃ) বলিয়াছেন, চল্লিশ দিন (মানে অনেক দিন) পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকিবে । এই সময় পৃথিবীর তাপমাত্রা নামিয়া যাইবে হিমাঙ্কের নীচে এবং শীতে মারা যাইবে কোটি কোটি মানুষ । বিশ্বনবী (সাঃ) বলিয়াছেন, “এক বছর বৃষ্টিপাত এক-তৃতীয়াংশ কম হইবে, ফলে খাদ্য-শস্য এক-তৃতীয়াংশ কম উৎপাদিত হইবে । দ্বিতীয় বছর বৃষ্টিপাত দুই-তৃতীয়াংশ কম হইবে, ফলে খাদ্য-শস্য দুই-তৃতীয়াংশ কম উৎপন্ন হইবে । তৃতীয় বৎসর কোন বৃষ্টিপাত হইবে না, ফলে সেই বছর কোন ফসল উৎপাদিত হইবে না ।” আমি মনে করি, এই ঘটনা ঘটিবে মালহামার (মহাযুদ্ধ, ৩য় বিশ্বযুদ্ধ) পরে । পারমানবিক রেডিয়েশান থেকে পৃথিবীর জলবায়ুর মারাত্মক সর্বনাশ হওয়ার কারণে এই অবস্থা হইবে । আমি আমার স্বপ্নের কথা সাধারণত প্রকাশ করি না কিন্তু এই স্বপ্নটি আপনাদের কল্যাণে আসিবে ধারনা করিয়া প্রকাশ করিলাম । ইহার ফলে আমি যেমন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহাদুর্যোগ মোকাবেলার ব্যাপারে নিজেকে প্রস্তুত করিতে যথেষ্ট সময় পাইতেছি, আপনারাও তাহা করিবার সুযোগ পাবেন । নবী করীম (সাঃ)-এর ভবিষ্যৎবাণীকৃত মালহামা (মহাযুদ্ধ) এমন ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হইবে যে, তাহার তুলনায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে মনে হবে চীনাবাদামের মতো । শেষ নবীর (সাঃ) আরেকটি ভবিষ্যতবাণী হইল, মালহামার পরে একটি পাখিও যদি আকাশে উড়ে তাহা ভূপাতিত হইবে । ইহাতে আমরা ধরিয়া নিতে পারি যে, মালহামার (তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের) পরে পৃথিবীতে মিসাইল, জঙ্গী বিমান, সেটেলাইট ইত্যাদি উড়ন্ত কিছুর অস্তিত্ব থাকিবে না । তারপর থেকে যুদ্ধ হইবে স্থলপথে এবং জলপথে ঘোড়া এবং নৌকা দিয়ে । আজ থেকে দশ বিশ বছর পরে যখন মালহামা (মহাযুদ্ধ) শেষ হইবে, পৃথিবীর এখনকার মানুষদের মাত্র ক্ষুদ্র একটি ভগ্নাংশ তখন বাঁচিয়া থাকিবে । আমার মনে হয় এখন পৃথিবীর জনসংখ্যা যদি আটশ কোটি হয়, মালহামার পরে পৃথিবীর জনসংখ্যা হইবে পঞ্চাশ কোটি । আপনি যদি মুসলিম হন অথবা মুসলমানদের বন্ধু হন (যেমন খ্রীষ্টানরা), তবে যত দ্রুত সম্ভব শহর থেকে দূরবর্তী কোন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে চলিয়া যান, যেখানে আপনার স্ত্রী এবং সন্তানদের জন্য খাবার-পানির ব্যবস্থা আছে । অন্যথায় আপনার স্ত্রী এবং সন্তানদের অকাল মৃত্যুর জন্য আপনি দায়ী থাকিবেন ।
। আর পারমাণবিক যুদ্ধের পরে (অর্থাৎ হাজার হাজার এটম বোমা নিক্ষিপ্ত হওয়ার পরে) আপনারা যেই পৃথিবীকে দেখিবেন, তাহা হইবে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পৃথিবী । বিদ্যুৎ নাই, মোবাইল নাই, ইন্টারনেট নাই, বৃষ্টি নাই, খাবার নাই (এবং চাকরি নাই) ।
মূল - শায়েখ ইমরান নজর হোসেন,         
একানে কি বুঝলেন ভাই সহজ ভাষাই যদি আমাকেও বুঝাতেন

No comments:

Post a Comment