DESHERPATRO

Wednesday, March 2, 2016

“হুঁশিয়ার ইসলাম ডুবে তব সূর্য্য”

“হুঁশিয়ার ইসলাম ডুবে তব সূর্য্য”

১৮ জানুয়ারী, ২০১৫ ইং ০০:০০ মিঃ

দশ দিগন্তে g আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী

চারদিকে মুসলমান ধর্ম সম্প্রদায় এবং মুসলিম দেশগুলোর অবস্থা দেখে কবি নজরুল ইসলামের একটি কবিতার দু’লাইন মনে পড়ছে। “বাজিছে নাকাড়া, হাঁকে নকীবের তূর্য্য, হুঁশিয়ার ইসলাম ডুবে তব সূর্য্য।” ইসলামি শক্তির নবজাগরণের নামে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সুদূর ইউরোপ পর্যন্ত যা ঘটছে তাকে ইসলামের বা মুুসলমানদের নবজাগরণ বলা যায় না। বলা যায় ইসলাম ধর্মের নামের আড়ালে ইসলামিস্ট বা জিহাদিস্ট পরিচয়ে একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপের আবির্ভাব। এরা প্রকৃত ইসলামের অনুসারী নয়। ইসলামের নামের কলঙ্ক। এদের কার্যকলাপ ও বর্বরতায় সারা বিশ্বে প্রকৃত ইসলামের সূর্য্য আজ অস্তগামী এবং ইসলাম ও সন্ত্রাস সমার্থ বোধক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জওহরলাল নেহেরু একবার বলেছিলেন “ক্রীড (creed) নির্ভর কোনো ধর্ম বা তত্ত্ব বেশিদিন অভিন্ন ও অবিকৃত থাকতে পারে না।” মহানবীর (দ:) আমলে ইসলাম ছিল বিশ্বাস ও যুক্তি নির্ভর। রসুলের জমানা ও খেলাফতের প্রাথমিক যুগের অবসানের পর ইসলামও বিশ্বাসের চাইতে অপরিবর্তনীয় আচরণ নির্ভর ধর্ম হয়ে ওঠে এবং তাদের মধ্যে বিভক্তি বা ফেরকা সৃষ্টি শুরু হয়। শিয়া, সুন্নি ইত্যাদি মজহাব ছাড়াও ইসলাম ৭৩ ফেরকায় বিভক্ত হয় এবং পরস্পরের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী বিবাদে জড়িত হয়। প্রকৃত ইসলাম থেকে তারা দূরে সরতে থাকে। শেষ পর্যন্ত যে সন্ত্রাসকে মহানবী (দ:) ঘৃণা করতেন সেই সন্ত্রাসই ইসলামের ছদ্মবেশে বিশ্বে মাথা তুলতে শুরু করে।

এটা কম্যুনিজমের বর্তমান পরিণতির বেলাতেও দেখা যায়। মার্কসবাদের ভিত্তি ছিল শ্রেণি-সংগ্রাম; শ্রেণি- সন্ত্রাস নয়। কালক্রমে ইসলামের শিয়া সুন্নিদের মতো বিশ্ব কম্যুনিস্টরা লেনিনবাদী, ট্রটস্কিবাদী, মাওবাদী, নকশালপন্থী ইত্যাদি নানা গ্রুপে বিভক্ত হয়। এই গ্রুপগুলো নিজেদের মধ্যে যতোটা আত্মঘাতী বিবাদে লিপ্ত, ততোটা বুর্জোয়া শ্রেণি শত্রুদের বিরুদ্ধেও নয়। চীনে কম্যুনিস্ট নেতা মাওজেদুং কম্যুনিস্ট আন্দোলনকে নতুন চরিত্র দান করেছিলেন; তা লেনিনবাদী কম্যুনিজম থেকে ভিন্ন। কিন্তু তিনিও জনযুদ্ধ, লংমার্চের মাধ্যমে চীনে কম্যুনিস্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। সন্ত্রাস, গলাকাটা, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার বর্বরতার অনুসরণ করেননি।

কিন্তু ভারতে পঞ্চাশের দশকে যে মাওবাদীদের আবির্ভাব ঘটলো তারা মাওয়ের গণসম্পৃক্ত আন্দোলনের মোটেই অনুসারী ছিল না। তারা টেরোরিজমকে মাওবাদের খোলস পরায়। এই তথাকথিত মাওবাদীদের ভেতর থেকে আরো একটি অংশের জন্ম হয়, তাদের নাম হয় নকশালপন্থী। তারা আরো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। এভাবে ভারতে—বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে ও ত্রিপুরায় এক সময় কম্যুনিস্ট আন্দোলন ও সন্ত্রাসবাদ সমার্থবোধক হয়ে দাঁড়ায়, এবং নেহেরু সরকারের মতো একটি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক সরকারও এক সময় পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসের দায়ে কম্যুনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

এই নকশালপন্থীদের অনুসরণেই বাংলাদেশেও (স্বাধীনতা-পূর্ব ও স্বাধীনতা-পরবর্তী আমলে) কম্যুনিস্ট আন্দোলনের বিভ্রান্ত ও বিচ্ছিন্ন গ্রুপগুলোর মধ্য থেকে সর্বহারা পার্টি, হক-তোয়াহা গ্রুপ, দেবেন-মতিন গ্রুপ ইত্যাদি নানা চরম সন্ত্রাসী দল জন্ম নেয় এবং সারা দেশে চরম অরাজকতার জন্ম দেয়। তাদের মুখে ছিল শ্রেণিশত্রু নিধনের ডাক। তাদের জনসমর্থন ছিল না। সাধারণ মানুষকে হত্যা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ঘৃণা থেকেই এই বামপরিচয়ধারী সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর একটার পর একটার পতন ঘটে।

আমরা চল্লিশ বছর আগে বাংলাদেশে বাম সন্ত্রাসের তাণ্ডব দেখেছি, এখন দেখছি ডান সন্ত্রাসের তাণ্ডব। বাম সন্ত্রাসের খোলস ছিল কম্যুনিজম বা সাম্যবাদের বিকৃতি। এখন ডান সন্ত্রাসের খোলস হচ্ছে ইসলাম। যা প্রকৃত শান্তির ধর্ম ইসলামের বিকৃতি। ইসলামের জেহাদ যেমন সন্ত্রাস ও গুপ্তহত্যা নয়। তেমনি কম্যুনিজমের বা মার্কসবাদের শ্রেণি-সংগ্রাম ও সন্ত্রাস ও নিরীহ মানুষ হত্যা নয়। হজরত মোহাম্মদ (দ.) ইসলাম প্রচারের জন্য অবিশ্বাসীদের ঘরে আগুন দেয়া, গুপ্ত হত্যা, নারী ও শিশু হত্যার নির্দেশ করেননি। তিনি অবিশ্বাসীদের সঙ্গে সংঘাত এড়ানোর জন্য মক্কা ত্যাগ করে মদীনায় চলে গেছেন। তাদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পরই মাত্র অস্ত্র ধারণ করেছেন।

ইসলাম প্রচারের জন্য মহানবী (দ:) সম্মুখযুদ্ধ করেছেন। মানুষকে নিজের দলে টেনেছেন। তিনি মক্কায় সন্ত্রাসী পাঠিয়ে তাদের ঘরে আগুন লাগাননি, তাদের নারী ধরে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়নি। গোপনে কারো গলাকাটা হয়নি। অন্যদিকে রাশিয়ায় কিংবা চীনে সন্ত্রাসবাদের সাহায্যে কম্যুনিস্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রাশিয়ায় লেনিনের নেতৃত্বে জারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয়েছে; জনগণ সাম্যবাদী বিপ্লবে সামিল হয়েছিল। চীনে মাও জে দুং লক্ষ লক্ষ লোক নিয়ে লঙ মার্চ করেছেন। নিজের পুত্র-কন্যা হারিয়েছেন।

মাও কখনো গলাকাটা সন্ত্রাস ও নিরীহ মানুষের উপর চোরাগোপ্তা হামলার আশ্রয় নেননি। বিস্ময়ের কথা, গত শতকের শেষ অর্ধাংশ জুড়ে এবং এই শতকের প্রথমার্ধেও মানুষ দেখেছে ভারতে মাওবাদ, নকশালপন্থা ইত্যাদি নামে কমিউনিস্ট-আদর্শের বিকৃত অনুসারীদের চরম মানবতাবিরোধী সন্ত্রাস। অন্যদিকে পরবর্তীকালে দেখেছে ইসলামের খোলসধারী মনুষ্যত্ববোধহীন জামায়াত, হিজবুত, হেফাজত নামধারী সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশে হিংস  ও পাশবিক কার্যকলাপ। ধর্ম হিসেবে ইসলাম এবং তত্ত্ব হিসেবে কমিউনিজম পৃথিবীতে এসেছে শান্তি ও সাম্য প্রচারের জন্য। কিন্তু আজ এই দু’টি ব্যবস্থায় একশ্রেণির অনুসারীর বিকৃত চিন্তা ও মানবতা বিরোধী কার্যকলাপ এই একটি পবিত্র ধর্ম ও একটি মানবতাবাদী আদর্শের চরম অবমাননা ঘটিয়ে চলেছে।

আজ তাই ইসলামের প্রকৃত অনুসারীদের থেকে বিকারগ্রস্ত ও হিংস্র  ইসলামিস্টদের পার্থক্য বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন। সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেই একেক সময় বিকারগ্রস্ত ধর্মান্ধদের অভ্যুত্থান ঘটেছে। এরা সন্ত্রাসী। ধর্মের শত্রু এবং মানবতারও শত্রু। একজন মুসলমান এবং একজন ইসলামিস্ট, একজন হিন্দু এবং একজন উগ্র হিন্দুত্ববাদী (যার মাথা তোলা এখন ভারতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে) এবং একজন জুইস ও একজন জায়োনিস্টের মধ্যে পার্থক্য আকাশ পাতাল।

একজন সাধারণ মুসলমান, একজন সাধারণ হিন্দু এবং একজন সাধারণ ইহুদি তারা সকলেই শান্তিপ্রিয় মানুষ। তারা একে অন্যের প্রতি বা একে অন্যের ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না। একে অন্যের উপর আধিপত্য বিস্তার করার ইচ্ছা পোষণ করে না। কিন্তু একজন ইসলামিস্ট, একজন হিন্দুত্ববাদী ও একজন জায়োনিস্টের ব্যাপারে একথা সত্য নয়। তাদের অধিকাংশই ধার্মিক নয়, ধর্মান্ধ, তারা মানবতার শত্রু এবং মানবতা বিরোধী কার্যকলাপে আগ্রহী ও আসক্ত। নিজেদের হিংসা, জীঘাংসা ও অপরাধকে ঢাকা দেয়ার জন্য তারা ধর্মের মুখোশ ধারণ করে।

প্যারিসে একটি কার্টুন-সাপ্তাহিকে এই উত্তেজক বিশ্বপরিস্থিতিতে মহানবীকে (দ:) নিয়ে কার্টুন প্রকাশ নিঃসন্দেহে উস্কানিমূলক। একে যতোই মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলা হোক আমি তার সঙ্গে সহমত পোষণ করি না। ব্যক্তিস্বাধীনতার সঙ্গেও একটি সামাজিক দায়িত্ববোধ জড়িত। সেই দায়িত্ববোধহীন ব্যক্তিস্বাধীনতা বা মত প্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা ক্ষতিকর এবং সংহারক। সেই সংহারক শক্তির সাম্প্রতিক প্রকাশ আমরা দেখেছি, দু’জন ইসলামিস্ট বা জিহাদিস্টের হাতে প্যারিসের ওই পত্রিকায় ১২ জন কার্টুন সাংবাদিকের নির্মম হত্যাকাণ্ডে। এই হত্যাকাণ্ডের, এই বর্বরতার নিশ্চয়ই নিন্দা জানাতে হয়।

ইসলাম এবং প্রকৃত জেহাদ এই ধরনের নৃশংস প্রতিহিংসাপরায়ণতা সমর্থন করে না। এই বর্বরতা মহানবীর (দ:) প্রতি উদ্দেশ্যপরায়ণ একদল ইউরোপিয়ান কার্টুনিস্টের আরও ধৃষ্টতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে। তার প্রমাণ ফরাসী কার্টুন-পত্রিকাটি আবারও মহানবীকে (দ:) নিয়ে কার্টুন প্রকাশের ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন পশ্চিমা দেশগুলো এর ফলে প্রোপাগান্ডা চালানোর সুযোগ পেয়েছে যে, ইসলাম অসহিষ্ণু ধর্ম। অন্যের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় এই ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করে না।

ইসলামিস্ট নামধারী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের সম্মান ও নিরাপত্তা আজ উদ্ধার করা প্রয়োজন। মহানবীকে (দ:) নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে যেসব পশ্চিমা বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক কটাক্ষ করেন, কার্টুনিস্ট কার্টুন আঁকেন প্রকৃত মুসলমানদের উচিত্ তাদের উসকানির ফাঁদে পা না দেওয়া। এই ধৃষ্টতাকে উপেক্ষা করা অথবা শান্তিপূর্ণভাবে সভা মিছিল করে বা পত্রিকায় বিকৃতি দিয়ে তার তীব্র প্রতিবাদ করা এবং সাধারণ মানুষের সামনে এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত উসকানির স্বরূপ তুলে ধরা। মহানবীর (দ:) প্রতি ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে এই অজুহাতে ১২ জন কার্টুনিস্টকে নৃশংসভাবে হত্যা করা স্বয়ং মহানবী (দ:) বেঁচে থাকলে অনুমোদন করতেন না কিনা আমার সন্দেহ আছে। তিনি বারবার বলেছেন, “তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না; ক্ষমা হচ্ছে ইসলামের সবচাইতে বড় ভিত্তি।”

বর্তমানে বাংলাদেশেও ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি এবং অসহিষ্ণুতার প্রকট প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন কট্টর মৌলবাদী গ্রুপ আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকির ফাঁসির দাবিতে এখনো সোচ্চার। লতিফ সিদ্দিকি অবশ্যই কিছু দায়িত্বহীন কথা বলে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন। সেজন্য তার বিচার হতে পারে, শাস্তিও হতে পারে। তার বদলে তার জন্য একেবারে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি তোলা কি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়? এই দাবি কি ইসলাম-সম্মত?

লতিফ সিদ্দিকিকে বাংলাদেশের ধর্মান্ধরা হাতে পেলে প্যারিসের কার্টুনিস্টদের মতোই তারও পরিণতি ঘটতে পারতো। এই অবস্থা কোনো আধুনিক সভ্য সমাজে কাম্য নয়। বাংলাদেশে তাই বিকৃতমনা ইসলামিস্ট ও জিহাদিস্টদের কবল থেকে প্রকৃত ইসলাম, মানবতা ও শান্তির ধর্ম ইসলামকে রক্ষা করা প্রয়োজন। এজন্য শক্তিশালী রিফর্ম আন্দোলন আবশ্যক। কিন্তু এই রিফর্ম আন্দোলনটি কে বা কারা করবেন? আমার পরিচিত মুক্তবুদ্ধির বহু আলেম এখন সামান্য বৈষয়িক সুযোগ সুবিধার লোভে উগ্র জিহাদিস্টদের শিবিরে গিয়ে ঢুকেছেন এবং উগ্র কথাবার্তা বলছেন। বিএনপি সরকারের বিরোধিতায় কাজে এদের লাগাবার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে সরকার জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ে এই দানবশক্তির কাছে নতজানু।

শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বে এই দানবশক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করা প্রয়োজন। নইলে শীঘ্রই তা বিশ্বে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের (ইসলামিস্ট, জায়োনিস্ট ও হিন্দুত্ববাদীদের) সমন্বিত অভ্যুত্থান হিসেবে মাথা তুলে গণতন্ত্র ও মানবতার জন্য গত শতকের নািসবাদের চাইতেও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

প্যারিস হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে পশ্চিমা ধনবাদ ও আধিপত্যবাদের এক সুচতুর পরিকল্পনা। সেই চক্রান্তের ফাঁদে দিয়েছে দুটি জিহাদিস্ট তরুণ। এ রকম অসংখ্য তরুণকে দানব-শিশু হিসেবে তৈরি করছে পর্দায় অন্তরালের জিহাদিস্টরা। এদের বিরুদ্ধে সকল দেশের সাধারণ মুসলমানদের সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। নইলে কবি নজরুলের হুঁশিয়ারিই অচিরেই সত্যে পরিণত হবে। “হুশিয়ার ইসলাম, ডুবে তব সূর্য্য।”

n লন্ডন, ১৭ জানুয়ারি শনিবার, ২০১৫

 

No comments:

Post a Comment