অন্যান্য দল না কোরে হেযবুত তওহীদ কেন কোরবো?
হেযবুত তওহীদ ছাড়া অন্যান্য সংগঠনগুলো এই যে প্রচেষ্টা কোরছেন
দুনিয়ার সমস্ত জায়গায় আল্লাহর দীনকে আবার প্রতিষ্ঠা করার জন্য,
সেখানে আল্লাহর কোন সাহায্য দেখা যাচ্ছে? আল্লাহ মো’মেনদের
সঙ্গে ওয়াদা কোরেছেন, আমি তোমাদের সাথে। আমি তোমাদের
অভিভাবক, ‘আল্লাহু ওয়ালী উল্লাজীনা আমানু’ (সূরা বাকারা- ২৫৭),
আমি তোমাদের ওয়ালী। ওয়ালী মানে অভিভাবক। মো’মেনকে সাহায্য
করা আমার দায়িত্ব (সূরা রূম -৪৭)। আল্লাহ কখনো তাঁর দায়িত্ব পূরণ
না কোরে পারেন? দায়িত্ব পালন কোরতে ব্যর্থ হোতে পারেন?
তাহোলে যে-ই মো’মেন হবে বা যারাই মো’মেন হবে, তাকে সাহায্য
করা আল্লাহর দায়িত্ব। এই যে দুনিয়াময় প্রচেষ্টা চোলছে দুইশত বছর
থেকে, পৃথিবীর এক ইঞ্চি জায়গায় তারা আল্লাহর দীন
প্রতিষ্ঠা কোরতে পেরেছেন? এক ইঞ্চি জায়গায়? একটা ব্যতিক্রম আছে।
একটা মাত্র ব্যতিক্রম ছাড়া আর একটা জায়গায় এই সব সংগঠনের
কারো কারো একশ’-দেড়শ’ বছর প্রায় হোয়ে গেছে। এই একশ’
থেকে দেড়শ’ বছরে একটা ইঞ্চি জায়গায় তারা এসলাম কায়েম
কোরতে পেরেছেন? তাহোলে আল্লাহর সাহায্য নাই- যুক্তি। আল্লাহর
সাহায্য থাকলে তারা অবশ্যই পারতো।
উম্মতে মোহাম্মদীকে, রসুলকে আল্লাহ সাহায্য কোরলেন। তেইশ বছরের
ভেতরে সমস্ত আরব দীন প্রতিষ্ঠা হোয়ে গেলো। নবী যাওয়ার পর ৬০/৭০
বছরের মধ্যে অর্ধেক পৃথিবী হোয়ে গেলো। তারা যদি তখন জেহাদ বন্ধ
না কোরত, উম্মতে মোহাম্মদী তখন ‘লেইউজহেরাহু আলাদ্দীনে’র
প্রচেষ্টা, জেহাদ ত্যাগ না কোরতো, বাকি দুনিয়ায় দীন
প্রতিষ্ঠা হোয়ে যেতো। কোন সন্দেহ নাই। তারা যে ভুল কোরেছে,
বিরাট, সাংঘাতিক এক ভুল। তো এই একশ দেড়শ বছরে তারা এক
ইঞ্চি জায়গায় এসলাম প্রতিষ্ঠা কোরতে পারে নাই- এটাই প্রমাণ
যে তাদের প্রতি আল্লাহর কোন সাহায্য নাই। একটা জায়গায়
তারা কোরল, আফগানিস্তান। তারা সমস্ত দেশে এসলাম
প্রতিষ্ঠা কোরল। কোন এসলাম? ঐ বিকৃত এসলাম। বিকৃত এসলামের
নানা রকম Form (রূপ) আছে, বিকৃত হোলে যা হয়। বিকৃত হোলে নানান
রূপ ধরে। একটা নৌকা বা জাহাজের যদি হাল না থাকে, জাহাজ যেমন
বাতাস যে দিকে আসে সে দিকে ঘোরে, তেমনি হাল ছাড়া যে অবস্থা,
সেই। এই একটি রূপ হোল তালেবানদের, মোল্লা ওমরের এসলাম। তারা ঐ
বিকৃত এসলামটা প্রতিষ্ঠা কোরল, Circumstance,, পরিস্থিতি এমন
হোয়েছিলো যে, (Somehow they could do it)
তারা এটা কোরতে পারলো। তারপর কি হলো? আমেরিকা আক্রমণ
কোরল, তারা টিকলো? আল্লাহর সাহায্য কই? আল্লাহর সাহায্য
কোথায় আসলো? আমিতো ঐ সময় সমস্ত যুদ্ধটা TV তে যতটুকু
ওরা দেখিয়েছে, খুব লক্ষ্য কোরে দেখলাম, সমস্তটা। আমি কোথায়ও
আল্লাহর একটা বিন্দুমাত্র সাহায্য দেখলাম না। আমি আল্লাহর
একটা আঙ্গুল তুলতে দেখলাম না। আমেরিকা আসলো, বোমা ফেললো,
Ground soldiers (স্থল বাহিনী) এসে পোড়লো,
তালেবানরা ভেগে গেলো, হেরে গেলো। আল্লাহর সাহায্যের
একটা ফোঁটাও দেখলাম না কোথাও। আল্লাহতো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু
কোথায় সাহায্য? এই যে বিকৃত এসলামের Different forms (ভিন্ন ভিন্ন
রূপ), নানান ধরনের চেহারা, এর কোনটার জন্য আল্লাহ সাহায্য কোরবেন
না, কোরছেন না। কোরলে কোথাও না কোথাও তারা [এসলাম
প্রতিষ্ঠা] কোরতেন। আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠা হোতো। হয় নাই।
এখন প্রশ্ন কোরতে পারে যে, আমাদের দিয়েই যে হবে, তার প্রমাণ কী?
হেযবুত তওহীদের বয়স তের বছর, দেখা যাক। আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ
নবী তাঁর নিজের আরবে কোরতে তেইশ বছর লাগছে। আমাদের
তো অন্ততপক্ষে তার থেকে বেশি লাগার কথা। আমরা তো কেউ
নবী না, আমরা তো কেউ রসুল না, তাহোলে বেশি লাগার কথা,
তারপরে এখন তের বছরে আছি। Wait and See (অপেক্ষা কর এবং দেখ)।
তবে এটুকু বোলতে পারি, ইতোমধ্যে আমরা বহু চিহ্ন, বহু Sign
পেয়েছি যে, আল্লাহ আমাদের সাহায্য কোরছেন। অপরিসীম সাহায্য
কোরছেন আল্লাহ। যারা এই বিকৃত এসলামটাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য
চেষ্টা কোরছেন, তাদেরকে কিন্তু আমি হেয় কোরছি না। আমি মোটেই
হেয় কোরছি না। কারণ এই চেষ্টা, এই প্রচেষ্টার ভেতরে অসম্ভব
কোরবানি আছে। এদের ঈমান আছে। আল্লাহর রসুল এবং দীনের
প্রতি অপরিসীম ভালবাসা আছে এবং এদের ভিতরে কোরবানি, জেল
জুলুম, জান দেওয়া কিছুই কম নাই, সবই আছে। এদের আমি কোনভাবেই হেয়
কোরছি না। আমার বক্তব্য হোচ্ছে যে,
তোমরা যে দীনটাকে প্রতিষ্ঠা কোরতে চাচ্ছ সেটা তো আল্লাহর দীন
নয়, বিকৃত হোয়ে গেছে। কাজেই সেখানে আল্লাহর সাহায্য আসছে না।
কিছুই আসছে না। তাদের প্রচেষ্টার উপরে আমার শ্রদ্ধা, সব কিছু আছে।
আমি তাদের কোন অবস্থায় খাটো কোরছি না। আমি কারণ বোলছি।
That what you are trying to establish is wrong, perverted
(তোমরা যা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা কোরছ তা ভুল)।
পৃথিবীতে ধোরতে গেলে বহু, অসংখ্য সংগঠন আছে,
যারা পৃথিবীতে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠা কোরতে চেষ্টা কোরছে।
আমরাও একই ডাক দিচ্ছি। প্রশ্ন যেটা নিয়ে সেটা হোচ্ছে এত সব দল
থাকতে, সবাই যেখানে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা কোরছে,
সেখানে হেযবুত তওহীদে যোগ দেব কেন, হেযবুত তওহীদের
আন্দোলনে শরীক হবো কেন? এই প্রশ্ন। তার যে কয়েকটা কারণ
আমি বোললাম তা হোল- ১. অন্যদলগুলি যে এসলাম প্রতিষ্ঠিত
কোরতে চাচ্ছে সেগুলি বিকৃত এসলাম আর আমরা (হেযবুত তওহীদ)
চাচ্ছি আল্লাহ ও তাঁর রসুলের প্রকৃত এসলাম প্রতিষ্ঠা কোরতে।
২. অন্য সকল দল দীন প্রতিষ্ঠার
কর্মসূচী নিজেরা বানিয়ে নিয়েছে কিন্তু হেযবুত তওহীদের
কর্মসূচি আল্লাহর দেওয়া।
৩. এসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বললেও কোন দলের কাছেই আল্লাহর তওহীদ
নেই (যেটা ছাড়া এসলামই হয় না) আর হেযবুত তওহীদের কাছে আল্লাহর
পূর্ণ তওহীদ রয়েছে, যে কারণে এর নামই হেযবুত তওহীদ।
৪. এসলাম সমস্ত মানবজাতির জন্য কিন্তু কিছু সংগঠন তাদের
প্রচারণা চালায় শুধু শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে, এ আকীদা ভুল।
৫. হেযবুত তওহীদের সাথে আল্লাহর পূর্ণ সাহায্য আছে যা অন্য কোন
দলের ব্যাপারে নেই। (চোলবে….)
[যোগাযোগ: হেযবুত তওহীদ, ০১৬৭০১৭৪৬৪৩, ০১৭১১০০৫০২৫, ০১৯৩৩৭৬৭৭২৫,
০১৮৫৩৯৯৩২২২, ০১১৯১৩৬৭১১০]
No comments:
Post a Comment