হেযবুত তওহীদের সদস্য-সদস্যাদের প্রতি নির্দেশ
বেসমেল্লাহের রাহমানের রহিম
মঙ্গলবার, অক্টোবর 29, 2013, 16:23জাতীয় সংবাদ, (দেশেরপত্র)
১৪০০ বছর আগে মহান আল্লাহ মানবজাতিকে অন্যায় অশান্তিমুক্ত একটি সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য একটি জীবনব্যবস্থা দান করেন। অর্ধ-পৃথিবীতে সেই বিধানগুলি প্রয়োগ করার ফলে অকল্পনীয় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোয়েছিল। সেই শান্তির রূপ কেমন ছিল সে সম্পর্কে শুধু একটি কথা বোলি, এক জন যুবতী নারী অলঙ্কার পরিহিত অবস্থায় একা শত শত মাইল পথ পরিভ্রমণ কোরতে পারতো, তার মনে কোনরূপ ক্ষতির আশঙ্কাও জাগ্রত হোত না। আজকের এই অশান্তির অগ্নিকুণ্ডে যারা বাস কোরছেন তাদের পক্ষে এমন একটি পরিবেশ কল্পনা করাও কষ্ট। সমস্ত মানবজাতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। চারিদিকে শুধু অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, শোষণ আর বঞ্চিতের হাহাকার। কারণ সেই সত্যগুলি অর্থাৎ সত্য বিধানগুলি আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। এসলামের নামে যেটি চোলছে সেটিও মানুষকে শান্তি দিতে অক্ষম কারণ সেটি আল্লাহ রসুলের প্রকৃত এসলাম নেই, বরং সেটি একটি বিকৃত ও বিপরীতমুখী এসলাম।এখন মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় সুসংবাদ হোচ্ছে, মহান আল্লাহ আমাদেরকে এই অশান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ দান কোরেছেন। তিনি এ যামানার এমামকে সেই হারিয়ে যাওয়া সত্যদীনের রূপরেখা দান কোরেছেন। যেই সত্যদীনের মাধ্যমে ১৪০০ বছর আগে আল্লাহর শেষ রসুল আইয়্যামে জাহেলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত মানুষগুলোকে সোনার মানুষে পরিণত কোরেছিল, সমাজে, রাষ্ট্রে সর্বরকম সুবিচার, ন্যায়, নিরাপত্তা এক কথায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোয়েছিল, সেই সত্যদীন আল্লাহ আবার যামানার এমামের মাধ্যমে আমাদেরকে দান কোরেছেন। বিশ্বকে আলোকিত করতে হোলে প্রথমে নিজে এই আলো ধারণ কোরতে হবে। আল্লাহ মোজেজা সংঘটন কোরে জানিয়ে দিয়েছেন যে, হেযবুত তওহীদ হক, হেযবুত তওহীদের এমাম হক এবং হেযবুত তওহীদ দিয়েই সারা পৃথিবীতে সত্যদীন প্রতিষ্ঠিত হবে এনশা’আল্লাহ। আমরা গত আঠার বছরে রাষ্ট্রের একটিও আইন ভঙ্গ করে নি, একটিও অপরাধ করে নি। যারা এই দেড় যুগে আমাদের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ কোরেছেন তারা বহু ত্যাগ স্বীকার কোরেও সত্যের উপর দাঁড়িয়ে আছেন। বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘোটেছে, সার্বিক পরিস্থিতিও অবনতিশীল। যে কোন সময় দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা কোরছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ। কিন্তু পরিস্থিতি যেমনই হোক আমরা যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের জীবন ও সম্পদ উৎসর্গ কোরে সত্যকে ধারণ কোরে পৃথিবীময় এই সত্যকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা কোরছি, তারা যেন আল্লাহ রসুলের নির্দেশিত নিুলিখিত শৃঙ্খলা থেকে সামান্য পরিমাণও বিচ্যুত না হোই।
নির্দেশাবলী (১) যেহেতু আপনারা সত্য নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাই সর্বাবস্থায় সত্যকে ধারণ কোরবেন এবং সত্যকে প্রকাশ কোরবেন। কোন অবস্থাতেই মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেবেন না।
২) একবার কাউকে কোন ওয়াদা দিলে জীবন দিয়ে হোলেও তা রক্ষা কোরবেন।
৩) রাষ্ট্রীয় আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোন কাজ কোরবেন না।
৪) মানুষের জন্য কষ্টের কারণ হয় এমন কোন কাজ কোরবেন না, কথাও বোলবেন না।
৫) ব্যবসা-বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে সততা অবলম্বন কোরবেন। ওজনে কম দেবেন না, কাউকে ঠকাবেন না, মিথ্যা কথা বোলবেন না, কোন দ্রব্যে ভেজাল মেশাবেন না।
৬) হেযবুত তওহীদের ভিতরে এবং বাইরের কাউকেই জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য কোরবেন না। কাজ শেষ হোলে শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দেবেন। শ্রম হবে উভয়ের সম্মতিতে এবং সেবার মানসিকতায়। নিজেরা যা খাবেন সেবক বা শ্রমিকদেরকেও তাই খেতে দেবেন।
৭) সুদের সঙ্গে কোনরূপ সম্পর্ক রাখবেন না। কেউ যদি ঋণগ্রস্ত থাকে বা অভাবে পড়ে তাকে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা কোরবেন।
৮) অন্য ধর্মের অনুসারীদেরকে হেয় কোরে কোন কথা বোলবেন না। অন্য ধর্মের অবতার, তাদের আচার অনুষ্ঠান ও উপাসনালয়ের অসম্মান কোরবেন না।
৯) জাতির ঐক্য নষ্ট হয় এমন কোন কাজ কোরবেন না বা কথা বোলবেন না। পরনিন্দা কোরবেন না। কারও মধ্যে অপছন্দনীয় কিছু দেখলে সেটা সরাসরি তাকেই বোলবেন।
১০) কোন অবস্থাতেই দীনের কাজের কোনরূপ বিনিময় গ্রহণ করা যাবে না; না খেয়ে থাকলেও না।
১১) আপনারা সকলে আল্লাহর তওহীদকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে সংগ্রাম কোরছেন, অনেকেই কঠিন দারিদ্র্যে নিপতিত হোয়েছেন। এ সময় সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে অর্থের অভাবে যেন কেউ এক বেলাও অনাহারে না থাকে।
১২) আল্লাহর রসুল বোলেছেন, সকল মো’মেন একটি দেহের ন্যায়, দেহের একটি অংশ আঘাত পেলে,যেমন পুরো শরীরই পীড়িত হয়। তাই আন্দোলনের কেউ অসুস্থ হোলে বা বিপদে পড়লে সকলে মিলে তাকে সুস্থ কোরে তুলতে চেষ্টা কোরবেন এবং বিপদ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা কোরবেন।
১৩) নারীরা পুরুষদের পাশাপাশি নিজেদের সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী জাতির সকল কাজে অংশ গ্রহণ কোরবেন। এক্ষেত্রে নারী পুরুষ উভয়েই আল্লাহ নির্ধারিত সীমারেখাগুলি মেনে চোলবেন।
১৪) আন্দোলন থেকে যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হোয়েছে তিনি যথাযথভাবে সেটি পালন কোরবেন। কোন কাজকেই ছোট বোলে মনে করা যাবে না। মনে রাখতে হবে হেযবুত তওহীদ আল্লাহর, এর পরিচালনা কোরছেন তিনি নিজেই। তাই আমাদের সমস্ত দায়িত্বই আসে আল্লাহর পক্ষ থেকে। সুতরাং আন্দোলনের কারও মধ্যে যেন নেতৃত্বের আকাক্সক্ষা জাগ্রত না হয়। মনে রাখবেন, নেতৃত্বের আকাক্সক্ষাকে আল্লাহ ও রসুল খুবই অপছন্দ করেন, এটা নেতৃত্বের প্রধান অযোগ্যতা। পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে যে, যারা নিজেদেরকে কৃতিত্বের অধিকারী মনে করেন আল্লাহ তাদেরকে অবশ্যই নেতৃত্ব থেকে বাদ দিয়ে দেবেন। সকল কৃতিত্বের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ।
১৫) আন্দোলনে কর্মক্ষম কেউ বেকার থাকতে পারবে না। মনে রাখতে হবে, কোন কাজই ছোট নয়। বৈধপথে যে কোন কাজ কোরে অর্থ উপার্জন সম্মানই বৃদ্ধি করে।
১৬) আপনারা কেউ যৌতুক নিয়ে বিয়ে কোরবেন না, এবং বিয়েতে আল্লাহর দেওয়া তিনটি শর্ত অবশ্যই পূরণ কোরবেন, বর ও কনের সম্মতি, দেনমোহর পূর্ণরূপে পরিশোধ করা, সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বিয়ে করা।আমাদের আন্দোলনের সকল সদস্য-সদস্যা এবং যারা আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হোয়ে নিজেকে আলোকময় কোরতে চান, তাদেরকেও উপরোক্ত সত্যগুলি ধারণ কোরতে হবে। হেযবুত তওহীদের সকলকে মনে রাখতে হবে, এগুলি কোন উপদেশবাণী নয়, এগুলি হেযবুত তওহীদের এমামের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি নির্দেশ। কাজেই নির্দেশগুলি ভঙ্গ কোরলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে অপরাধী হবেন। আল্লাহ আমাদেরকে প্রকৃত উম্মতে মোহাম্মদী হওয়ার তওফীক দান কোরুন।
এমামের নির্দেশক্রমে,
(মসীহ উর রহমান)আমীর, হেযবুত তওহীদ
- See more at: http://desherpatro.com/2013/10/29/%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%b9%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%b9%e0%a6%bf
No comments:
Post a Comment