DESHERPATRO

Wednesday, November 30, 2016

সুন্নাত কি? নবীর (দ)এর আদর্শ কি?

সুন্নাত কি? নবীর (দ)এর আদর্শ কি?

নবীর (দ)একমাত্র আদর্শ হলো আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা। (ফাতাহ 28;সফ 9;তাওবা 33) আর বাকী সব রাসুলের ফেতরাত (সভাব ধর্ম) অভ্যাস।  যা রাসুলের সুন্নাহই নয়। আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা বাদে যারাই এই দাড়ি-টুপি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বসে আছেন তারা বোকার সাগরেই আছেন।একজন দাড়ি-টুপি দিলেও দীন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না দিলেও করতে পারবে। তাহলে নবীর সুন্নাত যদি দাড়ি টুপি হয়, নবীর সুন্নাত সবার জন্য নয় কি? আবার মহিলারা দাড়ি টুপি দেয় না মানে তারা নবীর সুন্নাত মানে না তাইনা?
অহ! আল্লাহ বললেন আমার সুন্নাত!!!  এর মানে কি? আল্লাহ কি দাড়ি টুপি দেন নাকি?(নাউযুবেল্লাহ)
আল্লাহ বললেন আমার সুন্নাত আর আমরা বলি না রাসুলের সুন্নাত দাড়ি টুপি ইত্যাদি।  যেন আমরা আল্লাহর সাথে তর্কাতর্কি করছি, তাইনা?

সুন্নত অর্থ বিধি-বিধান,নিয়ম-নীতি,পদ্ধতি।দ্বীন ইসলামে সব সুন্নাতের মালিকআল্লাহ বা আল্লাহর সুন্নাত বা সুন্নাতাল্লাহ দেখুন সূরা- (৩৩:৩৮,৬১-৬২) (৩৫:৪৩)(৪০:৮৫) (৪৮:২২-২৩)।সুন্নাত শব্দ আল-কুরআনে আরো দেখুন সূরা- (৩:১৩৭-১৩৮) (৪:২৬)(১৫:১৩) (৮:৩৮) (১৭:৭৭) (১৮:৫৫) তে এসেছে কিন্তু দ্বীনের মধ্যে রসূলের কোনবিধান-নিয়ম (সুন্নাত) আছে বলে আল-কুরআনে কোন উল্লেখ নাই।নবীর জীবদ্দশায় নবীরচলাফেরা,উঠাবসা,খাওয়া-দাওয়া,আচার-ব্যবহার,পোষাক-পরিচ্ছদ তদানিন্তন প্রযুক্তি(টেকনিকস) ও হাতিয়ার (ইনেস্ট্রমেন্টস) এর উপর নির্ভরশীল ছিল।আল্লাহর রসূলআল-কুরআনের বিধানের এওতায় যে সব প্রযুক্তি ও হাতিয়ার প্রয়োগ ও ব্যবহার করেছেন সেসব প্রযুক্তি ও হাতিয়ার এখন সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়েছে।তাছাড়া নবী নিজের শরীরেরফেতরাত (সভাব ধর্ম) অনুসারে যা কিছু করেছেন দ্বীনের বিধান হিসাবে তা অন্যের উপরনবীর সুন্নাত বলে চাপিয়ে দেওয়া যেতে পারে না।তাই বর্তমান কালে আরব দেশীয়আলখেল্লা,মাটির বাশনে ভাত খাওয়া,জয়তুনের ডাল দিয়ে মেসাক করা,খেজুর খেয়ে উফতারকরা,যাতা দিয়ে গম ভাঙ্গা,মরু হাওয়া থেকে রক্ষা পাবার জন্য পরিহীত পাগড়ী আমাদেরদেশে পরা,ডান কাতে ঘুমিয়ে থাকা,খাবার পরে মিষ্টি খাওয়া,তীর-ধনুক,তলোয়ার আর ঘোড়াদিয়ে যুদ্ধ করা,একমুষ্ঠি দাড়ি রাখা ইত্যাদি কথিত জীবন ধারা কে নবীর সুন্নাত বলেচাপিয়ে দেওয়ার অধিকার কাহারো নাই।আল্লাহর রসূল যা বলেছেন,যা করেছেন ও যা সমর্থনকরেছেন তা যদি হাদিস বা সুন্নাত হয় তা হলে কুরআনের আয়াত কে পাঠ করেশুনিয়েছেন,কুরআন মুতাবেক কে চলেছেন,কে বাস্তবায়ীত করেছেন তার অস্তিত্ব থাকেনা।আসলেদ্বীন সর্ম্পকে বা দ্বীনের বিধান সর্ম্পকে নবী যা বলেছেন,তা হলো আল-কুরআন।আরআল-কুরআন অনুসারে তিনি তদানিন্তন মুমিনদের পরিচালনার জন্য যে নিবর্বাহি আদেশ-নিষেধকরেছেন,যে কর্মকান্ড করেছেন বা সমর্থন করেছেন তা সবই তার আখলাক বা চরিত্র এবং সবইতখনকার আদেশ-নিষেধ হিসাবে তখনকার মুমিনদের জন্য প্রযোজ্য ছিল তবে হাঁ নবীর আখলাকেরকোন সত্য সঠীক বিবরণ যদি থাকে তবে তা আমাদের জন্য উদাহরণ ও অনুপ্রেরণার উৎস কিন্তুসে বিবরণের মধ্যে এমন কোন বিধান বা শরিয়াত থাকতে পারেনা যা আল-কুরআনে নাই।
হাদিস আমরা নেবো কিন্তু যদি কোরানের নীতির বিরুদ্ধে গেলে মেবোনা। কারন আজ জাল হাদিসে ভরে গেছে। কোরানে আছে হাদিসে যাবোনা। কোরানে পাই কিন্তু বুঝিনা তারপরে সুন্দর সমাধান নেবো হাদিস থেকে তাও আবার কেতাবুল্লাহর সাথে মিল রেখে।
কোন সময় মিল থাকেনা হাদিসের সাথে কিন্তু ইংগিত, উপমার সাথে মিলে যায়।কিছু সত্য ঘঠনা যা অনুপ্রেরণা যোগায়।

সংক্ষেপে বুঝতে গেলে রাসুলের সুন্নাহ হইলো আদম (আ) থেকে প্রত্যেক নবী রাসুল দের বেলায় যে দায়িত্ব ছিলো অর্থাৎ তওহীদ প্রতিষ্ঠা। (আল্লাহর সার্বভৌমত্ব,জীবনের সবাংগনে আল্লাহর বিধান/আইন প্রতিষ্ঠা করা ভুল আইন বিধান ভেংগে দিয়ে) এই হলো আল্লাহর সুন্নাহ নীতি,আদর্শ। যেটা আল্লাহর দায়িত্ব ছিলো সেটা তার খলিফা-প্রতিনিধি দিয়ে করিয়ে নিচ্ছে। মানে খলিফাতুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর প্রতিনিধি।
(দেখুন- তাওবা 33-39;ফাতাহ 28;সফ 9)

সুন্নাহ পালনে মহিলা ও পুরুষের কেন ভাগাভাগি)?
—————————
কেন মহিলাদের অধিকার নাই রাসুলের সুন্নাহ পালনে?
কোরান অনুযায়ী মহিলা পুরুষের একই সুন্নাহ, ,আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেটা কি পরিবর্তন হওয়ার?
পুরুষের মহিলার সুন্নাহ কোন ভাগাভাগি নেই। কাজ একই কিন্তু এই কাজের, দীন প্রতিষ্ঠার কিছু ভিন্নতা রয়েছে, দায়িত্বের কিছু ভিন্নতা রয়েছে, যেমন পুরুষ সে রাষ্টের খলিফা হতে পারে।। মহিলা হতে পারেনা।। আল্লাহর প্রতিনিধি হয়ে,খলিফা হয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত পুরুষ ই আল্লাহ ও তার রাসুলের আদর্শ মানলো।।। মহিলারা অই কাজে সাথে থেকে সহযোগী হবে মানে সে (মহিলা) সুন্নাহ পালন করলো।।। কারন আপনি যদি রাসুলের সুন্নাহ কে দাড়ি মধ্যে আটকিয়ে রাখেন তাহলে মহিলারা কি সুন্নাহ থেকে আলাদা নয়?

তাই কোন ভাগাভাগি নেই দীনে। । কিছু অভ্যাস গত দিক ছাড়া। যেমন আপনি পানজাবি পড়েন, মেয়েরা পানজাবি পড়েন না। তাইলে রাসুলের সুন্নাহ মানেনা। আজকে যারা মনচুক্তি সুন্নাহ বানিয়ে ভাগাভাগি করেছে।। তাতে শুধু পুরুষ রাই জান্নাতি মেয়েরা জাহান্নামী।

হাজার হাজার হাদিস বানিয়ে নিয়েছে।। রাসুল যেগুলো বলেন নি, সেগুলো বলিয়ে নেওয়াচ্ছে।
মানে মহা বেদাতী। ।।

অনেকেই বলে থাকে মা আয়েশা, মা ফাতেমা,মা খাদিজা এদের সুন্নাহ এরা মানে।।। তাহলে মা গনও কি সুন্নাহ বানানোর অধিকার রাখে?  না রাখেন না। বরং রাসুল যেভাবে সবাইকে বলেছেন তারা সেইভাবে কাজ করে গেছেন।।। তারা ব্যক্তিগত বিষয়ে এতো চুলছেরা বিশ্লেষন কোরতো না আজকের মতো।।। তারা চিন্তা করতো কিভাবে সারা দুনিয়ায় আল্লাহর আইন বিধান হুকুম প্রতিষ্ঠা করা যায়।। এই টা হলো রাসুলের দায়িত্ব, আদর্শ, সুন্নাহ. ,এই জন্য রাসুল আদিষ্ঠ হোয়েছিল (ফাতাহ 28’সফ 9 ,তাওবা 33 দেখুন)

আল্লাহ নিজে বলেছেন তোমরা ভাগাভাগি হইয়োনা, আল্লাহর রজ্জু শক্তভাবে সবাই মিলে ধরো। (আলে-এমরান 103,সফ -4)

এর পরেও কি বলবেন যে এসলামে কোন ভাগাভাগি আছে? সালাহ থেকে শুরু করে সমস্ত কাজে কোন বিভাজন নেই এসলামে। যারা বিভাজন করলো তারা কোরানের আলে-এমরান 103 কেই অসীকার করলো  এবং কাফের হয়ে গেলো। কাফের হোওয়ার পর আর কিছু কবুল হোওয়ার কথা নয়।

আল্লাহ সবাইকে সত্য বুঝার তওফীক দাও। (আমিন)

হাবিব বিন আব্দুস ছোবহান।

1 comment: