ইসলামী স্বর্ণযুগ আজ কেন জঙ্গিযুগ?
কে এই সর্বনাশা কাজ করলো?
একটু ভাবুন
ধর্মীয় ব্যাপারে বা আল্লাহ রসুলের কটুক্তি গালিগালাজ করা বা অতি নাস্তিকতার কারনে তাদের মৃত্যূদন্ডের বিধান মহান আল্লাহ দেননি।। যেহেতু আল্লাহ দেননি সেহেতু রসুল(স) নিজে বিধান দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন?
যখনই আমরা পড়েছি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ তখনই বিধানদাতা হুকুমতা ইলাহ একজনই।। যখন নবী রাসুল বিধান দিতে পারবেন তখনই আমরা ইলাহর আসনে বসাইলাম তাই নয়কি?.... যেমন ঈসা(আ) এর উম্মাহ এ যাবৎ এটাই করে চলছে।আল্লাহর রসুল ঈসা(আ) কে ওরা আজও ইলাহর আসনে বসিয়ে নিয়মিত পুজা করতেছে। তবে সবাই না,অধিকাংশই এটা করে চলেছে।এক্ষেত্রে আমরা মুসলিমরাই বা কম কিসে?
আমরা পাণ্ডিত্য জাহির করিবার জন্য রসুল (স) ওফাতের প্রায় ২৩০ বছর পর হাদিস লোকমুখে শুনে শুনে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, তা নিয়ে লাফালাফি করি এবং হত্যাকান্ডও করতে দিধাবোধ করিনা।
আজ দুনিয়াময় রসুল(স) যা বলেননি তাও রসুল (স) এর পবিত্র জীবনীতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোরানে আল্লাহ যে বিধান দিয়েছেন তার উপর দিয়ে দুই লাইন জাহির করিবার জন্য নানান ভাবে হাদিস বানিয়ে রসুলের নামে চালানো হয়েছে, রসুল(স) যে হাদিস গুলো বলেছেন সেগুলো অতি বিশ্লেষণ এর ফলে চাপা পড়ে গেছে লক্ষাধিক হাদিসের নিচে।। আজ খুব কঠিন হয়েছে কোন টা রসুল(স) বলেছেন আর কোনটা জাহিরিরা রসুলের(স) নামে চালিয়েছে, ঠিক যেমনটি খ্রিস্টান দের বাইবেলের অবস্থা।। কোনগুলো আল্লাহর কথা কোনগুলো নবী রসুলদের কথা বুঝা খুবই মশকিল।
আল্লাহ বলেছেন কোরআন তিনিই রক্ষা করবেন। আল্লাহ জানেন আগের নবীর উম্মাহর মত মুসলিমরাও এরকম করবে তাই আল্লাহ কোরান রক্ষার দায়িত্ব নিলেন। আজও কোরান অবিকৃত। কোরানের বাহিরের কোন কথা আসলেই সেটা কোরান নামক হিকমাহ কষ্টিপাথর দিয়ে পরখ সহজেই করা যাবে। কোরানের সাথে ইংগিত, হুবুহু মিল রয়েছে এরকম হাদিস রসুল (স) বলেছেন, আর যেগুলো কোনই মিল নেই সেগুলো রসুলের(স) নামে চালানো হাদিস।কাজেই এগুলো গ্রহণযোগ্য নহে।
আজ দুনিয়াময় সন্ত্রাস করা হচ্ছে গুপ্ত হত্যার তো কথাই নেই। আসলে হাদিসের দোহাই দিয়ে যেভাবে এই হত্যা করা হচ্ছে এগুলোর বিরুদ্ধে রসুলের(স) হাদিস আছে। তাহলে সেগুলো যদি সত্য হয়,তাহলে গুপ্তহত্যা মুলক হাদিসের কি হবে? কে বা কারা এই সর্বনাশা কাজ করলো?
মোটকথা, বিশ্বনবী(স) এসেছিলেন প্রকাশ্য হয়ে গোপন হয়ে নন,গুপ্ত হত্যার জন্যও নয়, পুরা মানবজাতির জন্য রহমাতাল্লিল আলামিন -পৃথিবীর রহমতসরুপ হিসেবে।পুরা পৃথিবীর সকল মানুষের রসুল হয়ে,পৃথিবীর অন্যায় অবিচার সন্ত্রাস যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ করে ন্যায় সুবিচার সুখ শান্তি কায়েমের জন্য। সকল নৈরাজ্য সকল গুপ্তহত্যা রাহাজানি ডাকাতি চুরি বন্ধ করে সুশিল সমাজ গঠনের বন্দোবস্ত করতে। আজ দুনিয়াময় এগুলো কি হচ্ছে?
রসুলের(স) আনীত দ্বীনের মুল আকিদা হারিয়ে আজ মুসলিম জাতি নানান পথ মত দলে বিভক্ত। কিন্তু কেন?
ছিলো এক নেতা এক প্রভূর হুকুমত, সকল ধর্ম বর্ণ মিলে ছিলো সুখের পৃথিবী। অন্যান্য ধর্মালম্বীদের প্রার্থনালয় যেখানে মুসলিমদের রক্ষার দায়িত্বে ছিলো,অন্য ধর্মের স্বাধীনতাও ছিলো যে ইসলামে। বলা হতো ইসলামী স্বর্ণযুগ। আজ বলা হচ্ছে ইসলামী জঙ্গিযুগ। কে বা কারা ইসলামের মুল আকিদা উল্টিয়ে দিলো?
একটু ভাবুন।।।
সঠিক
ReplyDelete