সালাহ যে আর্মির ট্রেনিং এর চেয়ে উত্তম ট্রেনিং তার প্রমান
অর্থাৎ সালাহ হলো দীনুল এসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য জেহাদের ট্রেনিং।
লেখেছেন-বাজিছে দামামা,বাঁধরে আমামা।
আশা করি সবাই পড়বেন .....
আমেরিকার এক বিখ্যাত ইসলাম বিদ্বেষী লেখকের ব্লগ পড়ছিলাম।
গৎবাঁধালেখা, কিন্ত একটা লেখায় চোখ
আটকে গেলো।
বিষয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং।তিনি মুসলিমদের
তুলনা করছেনএকটা বিশাল আর্মির সাথে, এবং তার
বক্তব্যের সপক্ষে খুব সুন্দর সব
যুক্তি দিয়েছেন।
তার লেখাটার সারমর্ম হল মুসলিমদের শুধুই একটা আলাদা ধর্মের
অনুসারী হিসেবে দেখলে আমেরিকানরা ভুল করবে। মুসলিমদের
দেখতে হবে একটা সুসংহত আর্মির মত। আর
তা না করলে মুসলিমরা অচিরেই
পুরো অ্যামেরিকা দখলে নিয়ে নেবে সুবহানাল্লাহ পুরোই আমার
মনের কথা।
মুসলিমেরা যে একটা মিলিটারি তা প্রমাণ
করতে তিনি বলেছেন -
মুসলিমরা রাত শেষ হবার আগেই ,বিছানা থেকে উঠে মসজিদের
দিকে চলে যায়,
এবং তারা মিলিটারির মত রুটিন মাফিক স্ট্রেচিং আর ড্রিল করে।
( তিনি ফজরের সালাতের কথা বলছেন)। কোন কিছুই তাদের এ
থেকে বিরত রাখতে পারেনা।
কঠিন ঠাণ্ডা, অসুখ, বৃষ্টি , ছুটি কোন অজুহাতই নয়।
বিশ্বের কোন মিলিটারিতেও বোধহয় এতো কড়াকড়ি নেই।
আরো ভয়াবহ ব্যাপার হোল
তারা এটা প্রতিদিন পাঁচবার করে।মিলিটারিও ফেইল।
আর্মিরা যেমন একত্রে সংঘবদ্ধ
হয়ে মার্চ করে, মুসলিমরাও অণুরূপ জামাতে সমন্বিত
(synchronized)ভাবে একতাবদ্ধ হয়ে নামাজ পড়ে। তাদের লাইন
ঠিক করা, একত্রে সকল স্টেপ ফলো করা আর্মিকেও হার মানায়।
এরপর তিনি আর্মিরা কেন মার্চ
করে সে বিষয় একটু আলোকপাত করলেন।
আমরা তো সবাই আর্মির মার্চ দেখেছি।কোন সময়
চিন্তা করে দেখেছেন কেন তারা এটা করে? এটা করে কি লাভ হয়?
আধুনিক যুদ্ধখেত্রে একত্রে মার্চ করার কোন ব্যবহার
নেই,বরং এটা করা বোকামি। তাহলে কেন?
কারণ একদল মানুষ যদি কোন কাজ একইভাবে বারবার করে তাদের
মাঝে একটা মানসিক (emotional) এবং ভৌত
(physical) বন্ধন সৃষ্টি হয়।
তারা নিজেদের ব্যক্তিসত্ত্বার
পরিবর্তে গ্রুপকে বেশি প্রাধান্য
দিতে শিখে। শুধু মার্চ অথবা ড্রিল নয়,যেকোন সমন্বিত কর্মকাণ্ড
(যেমন একত্রে খেলা, গান গাওয়া, জামাতে সালাত ইত্যাদি )
মানুষের মাঝে সংবদ্ধতা (group
coherence) তৈরি করে।
তিনি আরও লিখেছেন, নামাজের ওয়াক্ত হবার
সাথে সাথেই মুসলিমরা যেখানেই যে অবস্থাই
থাকুক না কেন, তারা সবাই একদিকে মুখ ফেরায় আর নামাজ পড়ে।
ফলে বিশ্বব্যাপী তাদের মাঝে এক একাত্মতা তৈরি হয়েছে, যা অন্য
কোন
ধর্ম/জাতি অথবা বিশ্বাসের মানুষের মাঝে দেখা যায়না। আর এই
কারণেই মুসলিমরা মাত্র ১৪০০ বছরের মাঝেই
বিশ্বের সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে,এবং তাদের কখনোই পরাজিত
করা যায়না।
একটা লোহার খণ্ড কখন
চুম্বকে রূপান্তরিত হয়? যখন তার মাঝে যত ইলেক্ট্রন আছে, সব
একদিকে মুখ
করে।আলহামদুলিল্লাহ, এভাবে কোন সময় চিন্তা করিনি, আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালা মুসলিমদের দৈনিক কর্মকাণ্ডে কি এক অনুপম শিক্ষা রেখেছেন। এই জন্যই বোধহয় সে সুদুর আফ্রিকা, সেখানেও যদি একজন মুসলিমের কষ্টের কথা শুনি, এই বাংলাদেশে বসে আমাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়।
সবশেষে, সত্যিকারের অজুহাত ব্যতীত আর
জামাতের সালাহ ছাড়বেন না।
[সংগৃহীত]
আমার বক্তব্য :-
পুরা লেখা থেকে পড়ে এটাই বুঝলাম যে আমাদের সবাইকে এক জামাতে থেকে এক এমামের নেতৃত্বে থেকে সালাহ অর্থাৎ জেহাদের ট্রেনিং করে সারা দুনিয়ায় শান্তি অর্থাৎ এসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে।। সেটা কিভাবে??? সেটা এই ভাবে যে, প্রত্যেক টা মুসলেম সেনিক কে জেহাদের ট্রেনিং এর জন্য সালাহয় দাড়াতে হবে,সালাহ নিজের মধ্যে এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে, সুন্দর চরিত্র যাতে গঠন হয়। মহান মানুষ, অন্যায়ের বিপক্ষে সত্য কে টিকিয়ে রাখার অংগীকার এর চরিত্র গঠন করবে আত্মিক এই সালাহ। এই সালাহ ছাড়া কারো পক্ষে চরিত্র ভালো করা সম্ভব নয়।এই সালাহয় একত্রিত করার জন্য আল্লাহ মসজিদ নির্ধারণ করেছেন, (কিন্তু আজকের মসজিদগুলো নিষ্প্রাণ, আলেম মোল্লারা আজ ধর্মব্যবসায়ী, সুদ ঘুষের টাকায় মসজিদ হয়)
এই মুসল্লি দের হওয়ার কথা ছিলো রাষ্ট্রের শাসক,কথা ছিলো, প্রত্যেক টা দুর্দর্শ সেনিক, অন্যায়ের বিপক্ষে, এসলামের আইন কানুন অর্থাৎ কোরান দিয়ে গোটা বিশ্ব কে শাসন করা।
কই??? কিছু হচ্ছে???
কিছুই হচ্ছে না, আজকের মুসল্লি দের পাঁচবার ট্রেনিং। নিষ্ফল হচ্ছে তাদের সালাহ। যা চরিত্র হবার কথা ছিলো তার বিপরীত,আজ গোটা দুনিয়ায় আল্লাহর হুকুমত প্রতিষ্ঠিত নেই।।যে দুনিয়া বানাইলো তার হুকুমত অর্থাৎ আইন কানুন বিচার, দন্ডবিধি, Panel Code, ইত্যাদি যদি নাই থাকে তাইলে মহান আল্লাহ এই মহান মহান সেনিক দিয়ে কি করবেন??? পাচ বার মার্চ করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কি লাভ হলো যদি আল্লাহর হুকুমত নাই প্রতিষ্ঠিত হয়????
যারা খালি নামাজ নামাজ করে মইরা যাইবেন লেকিন এসলাম অর্থাৎ পুরাপুরি জীবন বিধান ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করবেন না,তাদের বলি- আপনাদের কি এই পাঁচবার দোউরানো আল্লাহ কবুল করবেন????
হেযবুত তওহীদ মোজাহেদ,
মোহাম্মাদ হাবিব বিন আব্দুস ছোবান।
ALLAH HEZBUT TAWHEED A THAKAR TAUFIK DAN KORUN. AMIN
ReplyDelete