শেখ সাদী একটি জনপ্রিয় নাত এবং বিভ্রান্তি.....
১) বালাগাল উলাবিকামালিহি,
২) কাসাফাদদুজাবিজামালিহি
৩) হাসানাত জামিয়ুখিছালিহী
৪) ছাল্লু আলাইহিওয়ালিহী |
অর্থঃ
১) তিনি পৌঁছে গেছেন সর্বোচ্চ মর্যাদায় তাঁর সুমহান চরিত্রের দ্বারা
২) বিদুরিত হয়েছে সকল অন্ধকার তাঁর সৌন্দর্যের ছটায়
৩) সম্মিলন ঘটেছে তাঁর মাঝে সকল উন্নত চরিত্রের
৪) পেশ করুন তাঁর ও তাঁর আহালদের প্রতি দরুদ ও সালাম |
উপমহাদেশ সহ গোটা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এ নাতটি মুলতঃ কোনো কুরআন
হাদিসের অংশ নয় | বহুজনের এই বিভ্রান্তি কাটাতেই এই পোস্ট
টি তুলে ধরা হয়েছে | যাতে ছালেহীনদের বুঝ ও আমল সহীহ হয় |
অনুসন্ধান করে দেখে গেছেঃ- ৫৭৫ হিজরী তথা ১১৭৫ সালে পারস্যের
তদানিন্তন রাজধানী সিরাজনগরে জন্মগ্রহনকারী মহাকবি শেখ আবু
আব্দুল্লাহ মোশারফ উদ্দিন ইবনে মুসলে সাদি (বিশ্বের
কাছে যিনি শেখ সাদি হিসাবেই পরিচিত) বহুল পঠিত এ নাতটির
রচয়িতা | উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি সে সময়কার বিশ্ব সাহিত্যের
পাদপীঠ হাজারো সাহাবীর পদধন্য বাগদাদে চলে আসেন এবং জমানার
মুজাদ্দিদ গাউসুল আজম হযরত আবদুল কাদের
জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহির নিকট এলেমি শিক্ষা লাভ করেন |
মহান হজ্বব্রত পালন শেষে তিনি বিশ্ব ভ্রমনে বেড়িয়ে পড়লেন | বলা হয়
ইবনে বতুতার পর প্রাচে তিনি ই সবচেয়ে বড় পরিব্রাজক | ইতিহাস
ঘেটে দেখে গেছে যে তিনি একজন বীর মুজাহিদ ও বটে |
কেননে জেরুজালেমের পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দেস (আল আকসা)
নিয়ে খৃষ্টানদের সাথে ঐতিহাসিক যুদ্ধে তাঁর অংশগ্রহন ছিল |
জেরুজালেমের পথে প্রান্তরে দিবানিশি শেখ সাদীর কবিতা হামদ
রচনা মুসলীম মুজাহিদগন আবৃতি করে একে অপরকে উত্সাহ জোগাতেন |
বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সৃষ্টি তাঁর দুটি মহাগ্রন্থ গুলিস্তা এবং বোস্তা |
জন্মের ৮০০ বছর পরও এ মহাকবি আজও অমর তাঁর কালজয়ী সাহিত্য কর্মের
সুবাদে |
আমদের এ উপমহাদেশে রাসুল্লাল্লাহ
সাল্লাল্লহি আলাইহি ওয়সাল্লামের প্রতি সালাম ও দরুদ পেশের
পদ্বতি হিসাবে যে মিলাদ শরিফ মুঘল এবং তার ও আগে সুলাতানি আমল
থেকে প্রচলিত রয়েছে তাতে শেখ সাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহির এ
নাতটি ব্যাপক জনপ্রিয়ই কেবল নয় বরং আবাল বৃদ্ধ বণিতার কন্ঠস্থ ও
বটে |
চার লাইনের এ লাইনটি প্রথম তিন লাইন লিখে শেখ সাদী (রহঃ) আর
শেষ লাইনটি বানাতে পারছিলেন না | স্বয়ং রসুল্লাল্লাহ
সাল্লাল্লহি আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বপ্নে শেষ লাইনের শব্দগুলো শেখ
সাদীর মনে গেঁথে দিয়েছিলেন
বলে তিনি বিশ্ববাসীকে জানিয়ে গেছেন
হেদায়াহ এবং তাকওয়া দীনুল এসলামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্বন্ধে বর্তমানে আমাদের আকিদা যেমন বিকৃত ও ভুল, তেমনি তাক্ওয়া ও হেদায়াহ সম্বন্ধেও আমাদের ধারণা ভুল। কোন দুষ্ট প্রকৃতির গোনাহগার লোককে যদি উপদেশ দিয়ে মদ খাওয়া ছাড়ানো যায়, চুরি-ডাকাতি ছাড়ানো যায়, তাকে মুসল্লী বানানো যায়, সওম রাখানো যায় তবে আমরা বলি- লোকটা হেদায়াত হোয়েছে। ভুল বলি। কারণ আসলে সে হেদায়াত হয় নি, মুত্তাকী হোয়েছে। তাক্ওয়া এবং হেদায়াহ দু’টি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।
Wednesday, January 15, 2014
শেখ সাদী একটি জনপ্রিয় নাত এবং বিভ্রান্তি.....
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
প্রয়োজনীয় ইসলামী বই পেতে:
ReplyDeletewww.kamalahmedbagi.blogspot.com